বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সবচেয়ে বেশি গ্যাসটি হল -
A
অক্সিজেন
B
কার্বন-ডাইঅক্সাইড
C
নাইট্রোজেন
D
হাইড্রোজেন
উত্তরের বিবরণ
বিশ্বব্রহ্মাণ্ড এবং পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের গ্যাসের গঠন নিয়ে তথ্যগুলো নিম্নরূপভাবে উপস্থাপন করা যায়।
• বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সবচেয়ে বেশি গ্যাস হলো হাইড্রোজেন, যা মহাবিশ্বের মৌলিক গঠনের প্রায় ৭৫% (ভর) তৈরি করে। Hydrogen gas is abundantly found in stars, including our Sun, and acts as the primary fuel for nuclear fusion reactions. এটি আন্তঃনাক্ষত্রিক মহাকাশেও প্রচুর পরিমাণে থাকে এবং আণবিক মেঘের (molecular clouds) একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যেখানে নতুন তারকা গঠিত হয়।
• মহাবিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক গ্যাস হলো হিলিয়াম (Helium)। হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম একত্রে মহাবিশ্বের প্রায় ৯৯.৯% উপাদান গঠন করেছে।
• তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে অক্সিজেন (Oxygen)।
• অন্যদিকে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে সবচেয়ে বেশি গ্যাস হলো নাইট্রোজেন (Nitrogen)। বিভিন্ন গ্যাসের শতকরা হার নিম্নরূপ:
• নাইট্রোজেন - ৭৮.০২%
• অক্সিজেন - ২০.৭১%
• আরগন - ০.৮০%
• কার্বন ডাই অক্সাইড - ০.০৩%
• জলীয় বাষ্প - ০.৪১%
• অন্যান্য গ্যাসসমূহ - ০.০২%
• ধূলিকণা ও কণিকা - ০.০১%
0
Updated: 1 month ago
বায়ুমন্ডলের ওজনস্তর অবক্ষয়ে কোন গ্যাসটির ভূমিকা সর্ব্বোচ্চ?
Created: 2 weeks ago
A
কার্বন ডাই-অক্সাইড
B
জলীয় বাষ্প
C
নাইট্রিক অক্সাইড
D
ক্লোরোফ্লোরো কার্বন
ওজোনস্তরের ক্ষয় ঘটে মূলত ওজোন অণুর সঙ্গে হ্যালোজেন যৌগের প্রভাবকীয় বিক্রিয়ার কারণে, যার ফলে বায়ুমণ্ডলের সুরক্ষামূলক স্তরটি ধীরে ধীরে ভেঙে যায়। এই হ্যালোজেন যৌগগুলোর প্রধান উৎস হলো মানবসৃষ্ট হ্যালোকার্বন হিমায়ন পদার্থের সালোক বিভাজন। সূর্যালোকের উপস্থিতিতে এই যৌগগুলো ভেঙে ক্লোরিন (Cl) ও ব্রোমিন (Br) মুক্ত করে, যা ওজোন অণুর সঙ্গে বিক্রিয়া করে তাকে ধ্বংস করে ফেলে।
-
ওজোনস্তর ক্ষয়ের প্রধান দায়ী যৌগ হলো CFC (Chlorofluorocarbons), যা সাধারণত রেফ্রিজারেন্ট, এয়ার কন্ডিশনার, এবং স্প্রে প্রপেলান্টে ব্যবহৃত হয়।
-
ফ্রেয়ন (Freon), হ্যালোআলকেন (Haloalkane) এবং অন্যান্য হ্যালোকার্বন পদার্থ সূর্যালোকের অতিবেগুনি রশ্মিতে ভেঙে ক্লোরিন পরমাণু উৎপন্ন করে, যা একটির পর একটি ওজোন অণু ধ্বংস করে।
-
একটি মাত্র ক্লোরিন পরমাণু প্রায় এক লক্ষের বেশি ওজোন অণু ধ্বংস করতে সক্ষম।
-
এই ধরনের যৌগগুলোকে Ozone Depleting Substances (ODS) বলা হয়, কারণ এগুলো ওজোনস্তরের অবক্ষয়ে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখে।
-
ওজোনস্তর ক্ষয়ের ফলে পৃথিবীতে অতিবেগুনি রশ্মির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, যা ত্বক ক্যান্সার, চোখের ছানি, এবং ফসলের ক্ষতি ঘটাতে পারে।
-
এই ক্ষয় রোধে ১৯৮৭ সালে Montreal Protocol গৃহীত হয়, যার মাধ্যমে ধীরে ধীরে ODS ব্যবহারে বিশ্বব্যাপী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
0
Updated: 2 weeks ago
গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়ার ফলে বায়ুমণ্ডলে কোন গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে?
Created: 2 months ago
A
ওজোন
B
কার্বন ডাই-অক্সাইড
C
অক্সিজেন
D
কার্বন মনো-অক্সাইড
পরিবেশ দূষণ (Environmental Pollution)
-
পরিবেশ দূষণ হলো সেই অবস্থা যখন প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট পদার্থ পরিবেশকে বিষময় করে, ফলে জীবজগতের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।
-
মাটি, পানি, বায়ু প্রভৃতি প্রাকৃতিক উপাদানের ভৌত, রাসায়নিক ও জৈব পরিবর্তন পরিবেশ দূষণের প্রধান কারণ।
-
দূষিত পদার্থের বৃদ্ধির ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হয়।
-
মানব কর্মকাণ্ডের কারণে ধরিত্রী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। যেমন:
-
জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও নগরায়ন
-
অপরিকল্পিত শিল্পায়ন
-
বনজ সম্পদ ধ্বংস
-
বর্জ্য ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা দুর্বল
-
নদী-নালা, খাল-বিল ভরাট
-
ইটভাটা, ভূমিক্ষয়
-
যানবাহন ও রাসায়নিক সার, কীটনাশক অতিরিক্ত ব্যবহার
-
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব (Effects of Climate Change)
-
অপরিকল্পিত নগরায়ন ও শিল্পায়ন জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম কারণ।
-
গ্রিনহাউস প্রভাবের কারণে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, তাপমাত্রা বাড়ে, হিমালয়ের বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়।
-
ফলে উপকূলবর্তী দেশসমূহ (বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা ইত্যাদি) ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
-
ভবিষ্যৎ প্রভাব:
-
সমুদ্রপৃষ্ঠের উঁচু হওয়ার ফলে ভূমি বিলীন হওয়া
-
জীবন ও সম্পদের ক্ষতি
-
খরা, নদীর প্রবাহ হ্রাস, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস
-
পানযোগ্য পানির অভাব
-
মৎস্য সম্পদ ক্ষয়
-
ফসল উৎপাদন হ্রাস
-
অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে মারাত্মক ক্ষতি
-
উৎস: গার্হস্থ্য বিজ্ঞান প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 2 months ago
প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান হলো-
Created: 6 months ago
A
নাইট্রোজেন গ্যাস
B
মিথেন
C
হাইড্রোজেন গ্যাস
D
কার্বন মনোক্সাইড
প্রাকৃতিক গ্যাস
প্রাকৃতিক গ্যাস হলো শক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস, যা প্রধানত মিথেন গ্যাস দ্বারা গঠিত। এটি মূলত পেট্রোলিয়াম কূপ বা ভূগর্ভ থেকে উত্তোলন করা হয়। পৃথিবীর গভীরে তাপ ও চাপের প্রভাবে দীর্ঘ সময়ে এই গ্যাস তৈরি হয়।
এই গ্যাস জ্বালিয়ে তাপশক্তি উৎপন্ন করা যায়, যা বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়—বিশেষ করে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। যেহেতু এটি ভূগর্ভে জমে থাকা জীবাশ্ম পদার্থ থেকে তৈরি হয়, তাই একে জীবাশ্ম শক্তির একটি রূপও বলা হয়।
0
Updated: 6 months ago