টেলিভিশনে যে তরঙ্গ ব্যবহৃত হয় -
A
রেডিও ওয়েভ
B
অবলোহিত রশ্মি
C
আলট্রা ভায়োলেট
D
দৃশ্যমান রশ্মি
উত্তরের বিবরণ
টেলিভিশনে শব্দ ও ছবি প্রেরণের জন্য একটি প্রেরক ষ্টেশন প্রয়োজন, যেখানে শব্দ এবং ছবি প্রেরণের জন্য দুটি পৃথক প্রেরক যন্ত্র থাকে। এই যন্ত্রগুলোর সাহায্যে শব্দকে এবং ছবিকে তড়িৎ সংকেতের মাধ্যমে তাড়িত চৌম্বক তরঙ্গ হিসেবে আকাশে প্রেরণ করা হয়।
-
শব্দ প্রেরণ: শব্দ প্রেরণকারী যন্ত্র মাইক্রোফোনের মাধ্যমে বক্তার শব্দ সংগ্রহ করে। মাইক্রোফোনে একটি পাতলা ধাতব পদার্থ থাকে, যাকে ডায়াফ্রাম বলা হয়। আসা শব্দ এই ডায়াফ্রামকে কম্পিত করে, এবং এই যান্ত্রিক কম্পন তড়িৎ সংকেতে রূপান্তরিত হয়। এরপর এই সংকেতকে তাড়িত চৌম্বক তরঙ্গে রূপান্তরিত করে প্রেরক এন্টেনার মাধ্যমে আকাশে প্রেরণ করা হয়।
-
ছবি প্রেরণ: সম্প্রচার বা প্রেরণযোগ্য দৃশ্য লেন্সের মাধ্যমে টেলিভিশন ক্যামেরার পর্দায় ফেলা হয়। টেলিভিশন ক্যামেরা এই ছবিকে তড়িৎ সংকেতে রূপান্তরিত করে। তারপর এই সংকেতকে তাড়িত চৌম্বক বেতার তরঙ্গে (রেডিও তরঙ্গ) রূপান্তরিত করে প্রেরক এন্টেনার মাধ্যমে আকাশে ছড়িয়ে দেয়া হয়।
অতএব, শব্দ ও ছবি প্রেরণের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত তাড়িত চৌম্বক তরঙ্গ হলো রেডিও ওয়েভ।

0
Updated: 10 hours ago
নিচের কোন বর্ণের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম?
Created: 1 week ago
A
কমলা
B
হলুদ
C
লাল
D
বেগুনি
তাড়িতচৌম্বকীয় বর্ণালির এক ক্ষুদ্র অংশ আমাদের চোখে দৃশ্যমান হয়, যাকে দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ বা দৃশ্যমান বিকিরণ বলা হয়। এই আলোই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে রঙের অনুভূতি প্রদান করে।
-
দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিসর 4×10⁻⁷ মিটার থেকে 7×10⁻⁷ মিটার।
-
ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের কারণে আলোর বিভিন্ন বর্ণ দেখা যায়।
-
দৃশ্যমান আলোকে সাধারণত বেগুনি, নীল, আসমানী, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল—এই সাতটি ভাগে বিভক্ত করা হয়।
-
বেগুনি আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম, তাই এর প্রতিসরণ, বিচ্যুতি ও বিক্ষেপণ সবচেয়ে বেশি।
-
লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি, তাই এর প্রতিসরণ, বিচ্যুতি ও বিক্ষেপণ সবচেয়ে কম।
-
তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বেশি হবে, প্রতিসরণ, বিচ্যুতি ও বিক্ষেপণ তত কম হবে।
উৎস:

0
Updated: 1 week ago
কোন রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য খুবই কম?
Created: 1 day ago
A
গামা রশ্মি
B
রঞ্জন রশ্মি
C
বিটা রশ্মি
D
আলফা রশ্মি
গামা রশ্মি (γ-রশ্মি):
- গামা রশ্মি সাধারণ অর্থে কোনো কণিকা নয়, এটি সাধারণ আলোকের ন্যায় তড়িৎ চৌম্বক তরঙ্গ।
- α-কণা বা β-কণা বিচ্ছুরণের পর নিউক্লিয়াসের অভ্যন্তরে শক্তির পূর্ণবিন্যাসের ফলে γ-রশ্মির উদ্ভব ঘটে।
- গামা রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য খুবই কম, এমনকি রঞ্জন রশ্মি অপেক্ষাও কম হয়।
- এরা প্রধানত পরোক্ষভাবে পদার্থকে আয়নিত করে। বহু দীর্ঘ পথে ঐ আয়নীকরণ সংঘটিত হয় বলে গামা রশ্মির আপেক্ষিক আয়নীকরণ ক্ষমতা খুব কম।
- রঞ্জন রশ্মির ন্যায় তা বিভিন্ন পদার্থের মধ্য দিয়ে চলাচল করতে পারে।
- গামা রশ্মি (γ-রশ্মি) বিকিরণের ফলে মৌলের নিউক্লিয়াসের কোন পরিবর্তন ঘটে না, কারণ গামা রশ্মি (γ-রশ্মি) হলো বিদ্যুৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ।
- গামা রশ্মির (γ-রশ্মি) কোন ভর বা চার্জ নেই।
উৎস: উচ্চ মাধ্যমিক রসায়ন প্রথম পত্র, হাজারী নাগ।
গামা রশ্মি (γ-রশ্মি)
বৈশিষ্ট্য:
প্রকৃতি: গামা রশ্মি কোনো কণা নয়, বরং সাধারণ আলোর মতো এক প্রকার তড়িৎ চৌম্বক তরঙ্গ (electromagnetic wave)।
উৎপত্তি: আলফা (α) কণা বা বিটা (β) কণা নির্গত হওয়ার পর নিউক্লিয়াসের অভ্যন্তরে শক্তির পুনর্বিন্যাসের ফলে গামা রশ্মির উদ্ভব ঘটে।
তরঙ্গদৈর্ঘ্য: এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য অত্যন্ত কম, এমনকি রঞ্জন রশ্মির (X-ray) চেয়েও কম।
আয়নীকরণ ক্ষমতা:
গামা রশ্মি প্রধানত পরোক্ষভাবে (indirectly) পদার্থকে আয়নিত করে।
এটি দীর্ঘ পথ অতিক্রম করার কারণে এর আপেক্ষিক আয়নীকরণ ক্ষমতা (relative ionizing power) খুব কম।
ভেদ্যতা: রঞ্জন রশ্মির মতোই গামা রশ্মি বিভিন্ন পদার্থের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করতে পারে (penetrate)।
নিউক্লিয়াসের উপর প্রভাব: গামা রশ্মি বিকিরণের ফলে মৌলের নিউক্লিয়াসের কোনো পরিবর্তন ঘটে না, কারণ এটি বিদ্যুৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ।
ভর ও চার্জ: গামা রশ্মির কোনো ভর (mass) বা চার্জ (charge) নেই।

0
Updated: 1 day ago
GPS সিস্টেম কোন তরঙ্গ ব্যবহার করে?
Created: 3 weeks ago
A
রেডিও ওয়েভ
B
আল্ট্রাভায়োলেট
C
এক্স-রে
D
ইনফ্রারেড
GPS হলো আধুনিক যুগের একটি অত্যন্ত কার্যকর নেভিগেশন ব্যবস্থা, যা স্যাটেলাইট ও রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোনো স্থানের অবস্থান নির্ধারণে সাহায্য করে। এটি যোগাযোগ, পরিবহন, সামরিক ও দৈনন্দিন জীবনের নানা ক্ষেত্রে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
-
GPS এর পূর্ণরূপ Global Positioning System।
-
এটি একটি স্যাটেলাইটভিত্তিক নেভিগেশন সিস্টেম, যা পৃথিবীর কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান স্যাটেলাইটের মাধ্যমে কাজ করে।
-
GPS স্যাটেলাইটগুলো L-band microwave frequencies (১–২ GHz)-এ রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে সিগন্যাল পাঠায়।
-
এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা অবস্থান (Location), নেভিগেশন (Navigation) এবং সময় (Time) সম্পর্কিত তথ্য পান।
-
পৃথিবীর যেকোনো স্থান থেকে নিজস্ব অবস্থান নির্ণয় করা যায় এবং যেকোনো বস্তুর অবস্থানও সঠিকভাবে জানা সম্ভব।
অন্যান্য তরঙ্গ ও ব্যবহার:
-
আল্ট্রাভায়োলেট (UV): জীবাণুনাশক, পানি বিশুদ্ধকরণ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম জীবাণুমুক্তকরণে ব্যবহৃত হয়।
-
এক্স-রে (X-ray): চিকিৎসায় হাড় ও অভ্যন্তরীণ অঙ্গের ছবি তুলতে ব্যবহৃত হয়।
-
ইনফ্রারেড (Infrared): রিমোট কন্ট্রোল, নাইট ভিশন ক্যামেরা এবং তাপ সনাক্তকরণে ব্যবহৃত হয়।

0
Updated: 3 weeks ago