বাংলা ভাষায় কয়টি খাঁটি বাংলা উপসর্গ আছে?
A
উনিশ
B
কুড়ি
C
একুশ
D
বাইশ
উত্তরের বিবরণ
উপসর্গ
বাংলা ভাষায় যেসব শব্দখণ্ড বা শব্দাংশ ধাতুর পূর্বে বসে নতুন শব্দ গঠন করে, সেগুলোকে বলে উপসর্গ।
• বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১. খাঁটি বাংলা উপসর্গ,
২. সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ এবং
৩. বিদেশি উপসর্গ।
• খাঁটি বাংলা উপসর্গ:
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত নিজস্ব উপসর্গকে খাঁটি বাংলা উপসর্গ বলা হয়। খাঁটি বাংলা উপসর্গ ২১টি।
যথা: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (ঊনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
[বাংলা উপসর্গের মধ্যে আ, সু, বি, নি এই চারটি উপসর্গ তৎসম শব্দেও পাওয়া যায়।]
• সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ:
বাংলা ভাষায় যেসকল সংস্কৃত উপসর্গ ব্যবহার করা হয় তাদের সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ বলে। সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ ২০টি।
যথা: প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, আ।
• বিদেশি উপসর্গ:
আরবি, ফারসি, ইংরেজি, হিন্দি এসব ভাষার বহু শব্দ দীর্ঘকাল ধরে বাংলা ভাষায় প্রচলিত আছে।
এছাড়া কিছু বিদেশি উপসর্গও বাংলায় চালু আছে।
• বিদেশি উপসর্গ অনির্দিষ্ট বা অনির্ণেয়।
যেমন:
- আরবি উপসর্গ: আম, খাস, লা, গর, বাজে এবং খয়ের।
- ফারসি উপসর্গ: কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম।
- উর্দু উপসর্গ: হর।
- ইংরেজি উপসর্গ: হেড, সাব, ফুল, হাফ।
উৎস: প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ড. হায়াৎ মামুদ এবং মাধ্যমিক বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি (২০২২ সংস্করণ)।
0
Updated: 3 months ago
নিঃশ্বাসের স্বল্পতম প্রয়াসে উচ্চারিত ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছকে কী বলে?
Created: 1 month ago
A
যৌগিক ধ্বনি
B
অক্ষর
C
বর্ণ
D
মৌলিক স্বরধ্বনি
অক্ষর (Syllable)
-
মানুষের কণ্ঠযন্ত্রের সামান্য প্রয়াসে উচ্চারিত ক্ষুদ্রতম ধ্বনি বা শব্দাংশকে অক্ষর বা সিলেবল বলা হয়।
-
অক্ষর প্রধানত দুই ধরনের হয়ে থাকে—
(ক) মুক্তাক্ষর
(খ) বদ্ধাক্ষর
মুক্তাক্ষর
-
যখন একটি অক্ষর কেবলমাত্র একটি স্বরবর্ণ দ্বারা গঠিত হয়, তখন তাকে মুক্তাক্ষর বলে।
-
একে স্বরান্ত অক্ষর বা অযুগ্ম ধ্বনিও বলা হয়।
-
মুক্তাক্ষরের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, এর উচ্চারণ শেষে মুখ খোলা থাকে এবং অক্ষরকে চাইলে দীর্ঘায়িত করে উচ্চারণ করা যায়।
-
উদাহরণ: “ভালোবাসো যদি বলিবে না কেন?”
এখানে (ভা), (লো), (বা), (সো), (য), (দি), (ব), (লি), (বে), (না), (কে), (ন)—মোট ১২টি অক্ষরই মুক্তাক্ষর। -
মুক্তাক্ষর সাধারণত U চিহ্ন দিয়ে প্রকাশ করা হয়।
বদ্ধাক্ষর
-
যে সব অক্ষরের সমাপ্তি ঘটে ব্যঞ্জনধ্বনি বা অর্ধস্বরধ্বনি দিয়ে, সেগুলোকে বদ্ধাক্ষর বলা হয়।
-
একে যুগ্মাস্বরান্ত বা ব্যঞ্জনান্ত ধ্বনিও বলা হয়।
-
উদাহরণ: “সোম বার দিনরাত হরতাল।”
এখানে (সোম্), (বার্), (দিন্), (রাত), (হর্), (তাল্)—এই ৬টি অক্ষর বদ্ধাক্ষর। -
বদ্ধাক্ষরকে সাধারণত ( – ) চিহ্ন দিয়ে বোঝানো হয়।
উৎস: বাংলা কবিতার ছন্দ বিশ্লেষণ এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা — ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 1 month ago
কোন যতিচিহ্নের থামার প্রয়োজন নেই?
Created: 3 weeks ago
A
প্রশ্নবোধক চিহ্ন
B
হাইফেন
C
পূর্ণচ্ছেদ
D
কোলন
নিচের যতিচিহ্নগুলোর থামার প্রয়োজন নেই:
-
হাইফেন
-
ইলেক বা লোপ চিহ্ন
-
ব্র্যাকেট
অন্যদিকে, যে যতিচিহ্নগুলোতে প্রায় এক সেকেন্ডের বিরাম প্রয়োজন:
-
দাঁড়ি বা পূর্ণচ্ছেদ
-
প্রশ্নবোধক চিহ্ন
-
বিস্ময় চিহ্ন
-
কোলন
-
কোলন-ড্যাস
-
ড্যাস
0
Updated: 3 weeks ago
'অতি উচ্চ ধ্বনি' এর এক কথায় প্রকাশ কী হবে?
Created: 3 weeks ago
A
অত্যাসন্ন
B
উতরোল
C
মহানাদ
D
অট্টহাস্য
‘অতি উচ্চ ধ্বনি’-এর এক কথায় প্রকাশ হলো মহানাদ। এই শব্দ দ্বারা অত্যন্ত জোরালো বা তীব্র শব্দ বা ধ্বনিকে বোঝানো হয়, যা সাধারণত দূর পর্যন্ত শোনা যায়।
অন্যদিকে—
-
অতি উচ্চ বিকট হাসি — অট্টহাস্য
-
অতি উচ্চ রোল — উতরোল
-
অতি আসন্ন — অত্যাসন্ন
0
Updated: 3 weeks ago