নিচের কোনটি নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ?
A
এয়ো
B
কবিরাজ
C
সন্তান
D
কৃতদার
উত্তরের বিবরণ
নিত্য স্ত্রী বাচক শব্দ - সধবা, বিধবা, স্বপত্নী, সতীন, ডাইনি, বাঁইজি, কলঙ্কিনী, শাকচুন্নি, কুলটা, অসর্ম্পস্যা, অন্তস্বত্তা, সৎমা, এঁয়ো, সুজলা, সুফলা, রূপসী, অঅর্ধাঙ্গিনী।
0
Updated: 1 month ago
কোনটি জাতি বিশেষ্য?
Created: 1 month ago
A
পদ্মা
B
ফুল
C
হিমালয়
D
গীতাঞ্জলি
বাংলা ব্যাকরণে জাতি-বিশেষ্য হলো এমন বিশেষ্য যা কোনো নির্দিষ্ট নামকে নির্দেশ না করে, প্রাণী বা অপ্রাণীর সাধারণ নাম বোঝায়। এটি সাধারণ-বিশেষ্য নামেও পরিচিত।
-
জাতি-বিশেষ্যের উদাহরণ:
-
মানুষ, গরু, ছাগল
-
ফুল, ফল
-
নদী, সাগর, পর্বত
-
-
নাম-বিশেষ্যের উদাহরণ (নির্দিষ্ট নাম):
-
পদ্মা, হিমালয়, গীতাঞ্জলি
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'কেউকেটা' বাগ্ধারার অর্থ কী?
Created: 1 month ago
A
বিশিষ্ট ব্যক্তি
B
নির্মম আত্মীয়
C
নীরস ও অনমনীয়
D
তোষামোদকারী
'কেউকেটা' বাগ্ধারার অর্থ হলো বিশিষ্ট ব্যক্তি। এর পাশাপাশি আরও কিছু বাগ্ধারা রয়েছে যেগুলোর ভিন্ন অর্থ রয়েছে।
-
কংস-মামা: নির্মম আত্মীয়
-
কাঠখোট্টা: নীরস ও অনমনীয়
-
খয়ের খাঁ: তোষামোদকারী
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বাংলা ভাষার নিজস্ব লিপি কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
সংস্কৃত
B
হিন্দি
C
বাংলা
D
উর্দু
বাংলা ভাষার নিজস্ব লিপি হলো বাংলা লিপি, যা বাংলা ভাষার ধ্বনি ও শব্দকে লিখিতভাবে প্রকাশ করে। এটি ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও সমৃদ্ধ লিপি। বাংলা লিপি সময়ের সঙ্গে বিকশিত হয়ে আজকের আধুনিক রূপ পেয়েছে, যা বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গসহ বিশ্বের বহু বাংলা ভাষাভাষীর যোগাযোগ ও সাহিত্যচর্চার মূল মাধ্যম। বাংলা লিপি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নিচে তুলে ধরা হলো—
-
উৎপত্তি: বাংলা লিপির উৎপত্তি ব্রাহ্মী লিপি থেকে। খ্রিষ্টীয় নবম থেকে দশম শতাব্দীতে পূর্ব ভারতের গৌড় অঞ্চলে বাংলা লিপির প্রাথমিক রূপ গড়ে ওঠে। এটি প্রথমে ‘গৌড়ীয় লিপি’ নামে পরিচিত ছিল, যা পরবর্তীতে বাংলা লিপিতে রূপান্তরিত হয়।
-
লিপির গঠন: বাংলা লিপি একটি ধ্বনিগত লিপি, অর্থাৎ প্রতিটি বর্ণ একটি নির্দিষ্ট ধ্বনিকে নির্দেশ করে। বাংলা লিপিতে মোট ৫০টি বর্ণ রয়েছে—এর মধ্যে স্বরবর্ণ ১১টি এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯টি।
-
স্বরবর্ণ: অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ, ও, ঔ
-
ব্যঞ্জনবর্ণ: ক, খ, গ, ঘ, ঙ ... হ পর্যন্ত মোট ৩৯টি
-
-
লিখনপদ্ধতি: বাংলা লিপি বাম দিক থেকে ডান দিকে লেখা হয়। প্রতিটি অক্ষর ‘মাত্রা’ বা ‘শিরোরেখা’ দ্বারা উপরের দিকে যুক্ত থাকে। এই শিরোরেখাই বাংলা লেখার বিশেষ বৈশিষ্ট্য।
-
সংখ্যা পদ্ধতি: বাংলা লিপির নিজস্ব সংখ্যা আছে—০ থেকে ৯ পর্যন্ত। যেমন: ০ (শূন্য), ১ (এক), ২ (দুই), ৩ (তিন), ৪ (চার), ৫ (পাঁচ), ৬ (ছয়), ৭ (সাত), ৮ (আট), ৯ (নয়)।
-
সংযুক্ত বর্ণ: বাংলা লিপিতে দুটি বা তার বেশি ব্যঞ্জনবর্ণ মিলিয়ে সংযুক্ত বর্ণ তৈরি হয়, যেমন — “ক্ত”, “ন্দ্র”, “স্ত্র” ইত্যাদি। এগুলো বাংলা উচ্চারণের বৈচিত্র্য প্রকাশ করে।
-
স্বরচিহ্ন: স্বরবর্ণ যুক্ত হলে বর্ণের আকার পরিবর্তিত হয়। যেমন: ক + ি = কি, ক + ে = কে, ক + ো = কো। এভাবে স্বরচিহ্নগুলো বর্ণের উচ্চারণ নির্ধারণ করে।
-
লিপির ব্যবহার: বাংলা লিপি শুধু বাংলা ভাষার জন্য নয়, এর কাছাকাছি কিছু ভাষা যেমন আসামি ও মৈথিলি ভাষার ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলেছে। তাই একে “পূর্ব ভারতের সাধারণ লিপি” বলেও অনেকে উল্লেখ করেন।
-
আধুনিক রূপান্তর: মুদ্রণযন্ত্রের উদ্ভাবনের পর বাংলা লিপিতে কিছু পরিবর্তন আনা হয়, যাতে ছাপাখানায় ব্যবহার সহজ হয়। বর্তমানে ডিজিটাল বাংলা লেখায় ইউনিকোড পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়, যা বাংলা লিপিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি দিয়েছে।
-
গুরুত্ব: বাংলা লিপি আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির পরিচয় বহন করে। এটি শুধু লিখনের মাধ্যম নয়, বরং আমাদের সাহিত্য, শিক্ষা ও জাতীয় ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
সব মিলিয়ে বলা যায়, বাংলা লিপি হলো বাংলা ভাষার নিজস্ব ও মৌলিক লিপি, যা দীর্ঘ ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের প্রতীক। এটি আমাদের জাতীয় পরিচয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিশ্বে বাংলা ভাষার গৌরব বহন করছে।
0
Updated: 2 weeks ago