‘নাটিকা’ শব্দটি কোন অর্থে স্ত্রীবাচক?
A
সমার্থে
B
বিপরীতার্থে
C
ক্ষুদ্রার্থে
D
বৃহদার্থে
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় কিছু শব্দ স্ত্রীলিঙ্গ রূপ ধারণ করে মূলত ক্ষুদ্রার্থে ব্যবহার বোঝাতে। যেমন—
-
নাটক → নাটিকা
-
কাব্য → কাব্যিকা
-
ছাত্র → ছাত্রিকা
এখানে "নাটক" মানে পূর্ণাঙ্গ নাট্যরূপ, আর "নাটিকা" মানে ছোট নাটক বা সংক্ষিপ্ত নাট্যাংশ। তাই ‘নাটিকা’ শব্দটি স্ত্রীবাচক রূপ হলেও প্রকৃতপক্ষে এর ক্ষুদ্র অর্থ প্রকাশ করে।
সেই জন্য উত্তর হবে ক্ষুদ্রার্থে।

0
Updated: 13 hours ago
‘অবশেষ’ শব্দটিতে ‘অব’ উপসর্গটি কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
Created: 1 week ago
A
সম্যক
B
প্রতিকুল
C
অল্পতা
D
নিম্নে
• 'অব' একটি তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ।
বিভিন্ন অর্থে 'অব' উপসর্গের ব্যবহার:
- অল্পতা অর্থে = অবশেষ, অবসান, অবেলা।
- হীনতা অর্থে = অবজ্ঞা, অবমাননা।
- নিম্নমুখী অর্থে = অবতরণ।
- সম্যকভাবে অর্থে = অবরোধ, অবগাহন।

0
Updated: 1 week ago
উপসর্গের সঙ্গে প্রত্যয়ের পার্থক্য-
Created: 2 months ago
A
অব্যয় ও শব্দাংশ
B
নতুন শব্দ গঠনে
C
উপসর্গ থাকে সামনে, প্রত্যয় থাকে পিছনে
D
ভিন্ন অর্থ প্রকাশে
উপসর্গ ও প্রত্যয়ের মধ্যে মূল পার্থক্য
উপসর্গ হলো সেই অর্থহীন শব্দাংশ যা মূল শব্দের আগে বসে নতুন অর্থসহ শব্দ তৈরি করে, আর প্রত্যয় হলো অর্থহীন শব্দাংশ যা মূল শব্দের পরে যোগ হয়ে নতুন শব্দের সৃষ্টি করে।
উপসর্গ
-
উপসর্গ হলো এমন ছোট ছোট অর্থহীন অংশ যা শব্দের শুরুতে বসে এবং নতুন অর্থবহ শব্দ তৈরি করে।
-
উদাহরণস্বরূপ, ‘অজানা’ শব্দে ‘অ’, ‘অভিযোগ’ শব্দে ‘অভি’, ‘বেতার’ শব্দে ‘বে’ অংশগুলো উপসর্গ।
-
উপসর্গ নিজে কোনো নির্দিষ্ট অর্থ বহন করে না, কিন্তু এটি নতুন শব্দে অর্থের দ্যোতনা বা বৈচিত্র্য আনে। তাই বলা হয়, “উপসর্গের নিজস্ব অর্থ নেই, তবে অর্থ প্রকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”
-
বাংলায় প্রায় পঞ্চাশের বেশি উপসর্গ ব্যবহৃত হয়।
-
ভাষার গতিপথ অনুযায়ী, উপসর্গকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়—
১. খাঁটি বাংলা উপসর্গ,
২. সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ,
৩. বিদেশি উপসর্গ।
প্রত্যয়
-
প্রত্যয় হলো শব্দ বা ধাতুর শেষে যুক্ত হওয়া অর্থহীন অংশ যা নতুন শব্দ গঠনে সহায়তা করে।
-
যেমন: ‘বাঘ’ + ‘আ’ = ‘বাঘা’, ‘দিন’ + ‘ইক’ = ‘দৈনিক’।
-
প্রত্যয় মূলত দুই প্রকার—
১. কৃৎ প্রত্যয়:
ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয় এমন শব্দাংশ যা ক্রিয়ারূপ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
যেমন: ‘চল’ + ‘ন্ত’ = ‘চলন্ত’, ‘কৃ’ + ‘তব্য’ = ‘কর্তব্য’।
বাংলায় কৃৎ প্রত্যয়ের দুটি রূপ পাওয়া যায়—বাংলা কৃৎ প্রত্যয় ও সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়।
২. তদ্ধিত প্রত্যয়:
শব্দের শেষে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে।
যেমন: ‘চোর’ + ‘আ’ = ‘চোরা’, ‘কেষ্ট’ + ‘আ’ = ‘কেষ্টা’, ‘ডিঙি’ + ‘আ’ = ‘ডিঙা’, ‘হাত’ + ‘আ’ = ‘হাতা’।সূত্র: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)

0
Updated: 2 months ago
‘যতই পরিশ্রম করবে ততই ফল পাবে”
Created: 1 month ago
A
জটিল বাক্য
B
নির্দেশক বাক্য
C
সরল বাক্য
D
যৌগিক বাক্য
যে বাক্যে একটি প্রধান খণ্ডবাক্য এবং এক বা একাধিক আশ্রিত বাক্য পরস্পর সাপেক্ষভাবে ব্যবহৃত হয় তাকে জটিল বা মিশ্রবাক্য বলেঃ 'যতই করিবে দান, তত যাবে বেড়ে'।

0
Updated: 1 month ago