A
নতুন চাঁদ
B
কন্যাকুমারী
C
গড্ডলিকা
D
নেমেসিস
উত্তরের বিবরণ
রাশিদা আখতারের লেখা একটি উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হলো 'কন্যাকুমারী'।
এদিকে,
-
'নতুন চাঁদ' হলো কাজী নজরুল ইসলামের একটি কাব্যগ্রন্থ।
-
'গড্ডলিকা' নামক গল্পগ্রন্থটির রচয়িতা রাজশেখর বসু।
-
আর নাট্যজগতে নুরুল মোমেনের লেখা 'নেমেসিস' একটি গুরুত্বপূর্ণ নাটক হিসেবে পরিচিত।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর) এবং 'কন্যাকুমারী' উপন্যাস (রাশিদা আখতার)।

0
Updated: 1 week ago
কাজী ইমদাদুল হক-এর 'আবদুল্লাহ' উপন্যাসের উপজীব্য কী?
Created: 1 month ago
A
চাষী জীবনের করুণ চিত্র
B
কৃষক সমাজের সংগ্রামশীল জীবন
C
তৎকালীন মুসলিম মধ্যবিত্ত সমাজের চিত্র
D
মুসলিম জমিদার শ্রেণীর জীবন কাহিনী
কাজী ইমদাদুল হকের 'আবদুল্লাহ' উপন্যাসের 'তৎকালীন মুসলিম মধ্যবিত্ত সমাজের চিত্র' অঙ্কিত হয়েছে।
• 'আবদুল্লাহ' উপন্যাস:
- 'আবদুল্লাহ' কাজী ইমদাদুল হক রচিত একটি উপন্যাস।
- এটি মোসলেম ভারত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতো। ১৯৩৩ সালে এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
- উপন্যাসটি রচনাকালীন সময়ে কাজী ইমদাদুল হকের মৃত্যু হলে, কাজী আনোয়ারুল কাদির ইমদাদুল হকের খসড়া অবলম্বন করে অসমাপ্ত উপন্যাসটি সমাপ্ত করেন।
- উপন্যাসটিতে চিত্রিত হয়েছে গ্রামীণ মুসলিম সমাজের পিরভক্তি, ধর্মীয় কুসংস্কার, পর্দাপ্রথা, সম্প্রদায়বিদ্বেষ ইত্যাদির বিরুদ্ধে মানবতাবাদী প্রতিবাদ৷
- শিল্পের বিচারে 'আবদুল্লাহ্' উৎকৃষ্ট উপন্যাস নয়, তবে বাংলার সামাজিক বিবর্তনের, বিশেষ করে বাঙালি মুসলমানের অগ্রযাত্রার সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা সুচারুভাবে ফুটে উঠায় গ্রন্থটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে।
----------------------------
• কাজী ইমদাদুল হক:
- কাজী ইমদাদুল হক ১৮৮২ সালে খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
- 'আবদুল্লাহ' উপন্যাসের লেখক হিসেবেই তাঁর সমধিক পরিচিতি।
- আবদুল্লাহ উপন্যাস রচনা করেই তিনি ঔপন্যাসিক হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
- বাঙালি মুসলমান সমাজের কল্যাণসাধন ছিল ইমদাদুল হকের সাহিত্য সাধনার মূল লক্ষ্য।
- তিনি বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা (১৯১৮) প্রকাশনা কমিটির সভাপতি ছিলেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ:
- আঁখিজল,
- মোসলেম জগতে বিজ্ঞান চর্চা,
- ভূগোল শিক্ষা প্রণালী (দু ভাগ),
- নবীকাহিনী (প্রবন্ধমালা),
- কামারের কান্ড,
- আবদুল্লাহ।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা-ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনভিত্তিক উপন্যাস কোনটি?
Created: 1 week ago
A
অগ্নিসাক্ষী
B
চিলেকোঠার সেপাই
C
আরেক ফাল্গুন
D
অনেক সূর্যের আশা
‘আরেক ফাল্গুন’ উপন্যাস
বাংলা সাহিত্যের প্রখ্যাত লেখক জহির রায়হান রচিত একটি স্মরণীয় উপন্যাস হলো ‘আরেক ফাল্গুন’। এই উপন্যাসটি মূলত বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের পটভূমিতে লেখা, যেখানে ভাষা আন্দোলনের উত্তাল সময়, বিশেষ করে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারির ঘটনাবলি এবং সেসময়ের রাজনৈতিক আবহ উপজীব্য হিসেবে উঠে এসেছে। এটি ১৯৬৮ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়।
এই রচনায় লেখক ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত সময়কালে ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণ, প্রেম-ভালোবাসা, সংগ্রাম ও জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাকে জীবন্তভাবে উপস্থাপন করেছেন। উপন্যাসটির এক উল্লেখযোগ্য সংলাপ হলো:
"আসছে ফাল্গুনে আমরা কিন্তু দ্বিগুণ হবো" — যা ভবিষ্যতের আন্দোলনে জনগণের দৃঢ় সংকল্পকে নির্দেশ করে।
উপন্যাসে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রসমূহ
-
মুমিন
-
আসাদ
-
রসুল
-
সালমা
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্য ও চলচ্চিত্র
-
‘চিলেকোঠার সেপাই’: আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের বিখ্যাত রাজনৈতিক উপন্যাস, যা ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে লেখা।
-
‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’: মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র, যেটি পরিচালনা করেন সুভাষ দত্ত।
-
‘অনেক সূর্যের আশা’: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় উপমহাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন নিয়ে লেখা সরদার জয়েনউদ্দিন-এর একটি বিশিষ্ট উপন্যাস।
জহির রায়হান: সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
-
জন্ম: ১৯৩৫, ফেনী জেলার মজিপুর গ্রামে।
-
পূর্ণ নাম: মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ।
-
পেশা: সাহিত্যিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার।
প্রাপ্ত সম্মাননা
-
উপন্যাস ‘হাজার বছর ধরে’-র জন্য আদমজী সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।
-
১৯৭২ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন।
জহির রায়হানের উল্লেখযোগ্য উপন্যাসসমূহ
-
শেষ বিকেলের মেয়ে
-
হাজার বছর ধরে
-
আরেক ফাল্গুন
-
বরফ গলা নদী
-
আর কত দিন
-
কয়েকটি মৃত্যু
পরিচালিত চলচ্চিত্রসমূহ
-
সোনার কাজল
-
কাঁচের দেয়াল
-
বেহুলা
-
জীবন থেকে নেয়া
-
আনোয়ারা
-
সঙ্গম
-
বাহানা
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago
'উদাসীন পথিকের মনের কথা' কোন জাতীয় রচনা?
Created: 1 week ago
A
নাটক
B
কাব্য
C
আত্মজৈবনিক উপন্যাস
D
গীতি কবিতার সংকলন
উদাসীন পথিকের মনের কথা
• ‘উদাসীন পথিক' এই ছদ্মনামে মীর মশাররফ হোসেন ব্যক্তিগত জীবনের পটভূমিতে স্বীয় পারিবারিক ইতিহাস ও সমসাময়িক বাস্তব ঘটনার চিত্র তুলে ধরেছেন এ গ্রন্থে।
• “উদাসীন পথিকের মনের কথা” (১৮৯০) কে প্রকৃতপক্ষে উপন্যাস বা আত্মজীবনীমূলক রচনা এর কোনোটাই বলা যায় না। বরং বলতে হয়, গ্রন্থটি লেখকের আত্মজীবননির্ভর কতিপয় বাস্তব ও কাল্পনিক ঘটনার মিশেল উপন্যাসসুলভ সাহিত্যিক উপস্থাপনা।
• এতে লেখকের পারিবারিক ইতিবৃত্ত বর্ণনা এবং নিজের মাতা-পিতাকে যথেষ্ট শ্রদ্ধার সঙ্গে চিত্রিত হতে দেখা যায়। উদাসীন পথিকের মনের কথায় হিন্দু-মুসলমানের যে মিলন-কামনা আছে, তার গভীর তাৎপর্য স্বীকার করতে হয়।
---------------------------
• মীর মশাররফ হোসেন:
- মীর মশাররফ হোসেন ছিলেন ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক।
- ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়ায় তাঁর জন্ম।
- মশাররফ হোসেন ছাত্রাবস্থায় সংবাদ প্রভাকর ও কুমারখালির গ্রামবার্তা প্রকাশিকা-র মফঃস্বল সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেন।
- তিনি আজিজননেহার ও হিতকরী নামে দুটি পত্রিকাও সম্পাদনা করেন।
- মীর মোশাররফ ছিলেন বঙ্কিমযুগের অন্যতম প্রধান গদ্যশিল্পী ও উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের পথিকৃৎ।
তাঁর রচিত সাহিত্যকর্ম:
• নাটক:
- বসন্তকুমারী,
- জমীদার দর্পণ,
- বেহুলা গীতাভিনয়,
- টালা অভিনয়।
• উপন্যাস:
- বিষাদ-সিন্ধু।
• আত্মজীবনীমূলক রচনা:
- উদাসীন পথিকের মনের কথা,
- গাজী মিয়াঁর বস্তানী,
- আমার জীবনী,
- কুলসুম জীবনী ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 week ago