কোন মাধ্যমে শব্দের গতি সবচেয়ে বেশি?
A
শূন্যতায়
B
লোহা
C
পানি
D
বাতাস
উত্তরের বিবরণ
শব্দ একটি যান্ত্রিক তরঙ্গ, যার জন্য চলার পথে কোনো না কোনো মাধ্যমের প্রয়োজন হয়। এটি শূন্য মাধ্যমে ছড়াতে পারে না, অর্থাৎ মহাশূন্যে শব্দের বেগ শূন্য থাকে। শব্দের গতি মূলত তার চলার মাধ্যমের ওপর নির্ভর করে।
মাধ্যম অনুযায়ী শব্দের বেগের তারতম্য দেখা যায়:
-
কঠিন পদার্থে শব্দ সবচেয়ে দ্রুত গতি অর্জন করে। যেমন, লোহা ও ইস্পাতের ভেতর দিয়ে শব্দ খুব দ্রুত ছড়ায়।
-
তরল পদার্থে, যেমন পানিতে, শব্দের গতি তুলনামূলকভাবে কম হয় কঠিনের চেয়ে।
-
বায়বীয় পদার্থে, যেমন বাতাসে, শব্দের গতি আরও কম হয়।
-
আর শূন্য মাধ্যমে (যেখানে কোনো কণার অস্তিত্ব নেই), শব্দ একেবারেই ছড়াতে পারে না।
এইভাবে দেখা যায়, শব্দের গতি সবচেয়ে বেশি কঠিনে, তারপর তরলে, এরপর গ্যাসে, এবং শূন্যে একদমই নয়।
উৎস: নবম-দশম শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান পাঠ্যবই

0
Updated: 1 month ago
প্রকৃতিতে সবচেয়ে শক্ত পদার্থ কোনটি?
Created: 2 months ago
A
পিতল
B
হীরা
C
ইস্পাত
D
গ্রানাইট
হীরকের ব্যবহার
-
কার্বন একটি অধাতু ও বিজারক প্রকৃতির মৌল।
-
কার্বনের কঠিন ও স্ফটিকাকার দানাদার রূপগুলোর মধ্যে হীরক (হীরা) ও গ্রাফাইট অন্যতম।
-
হীরক হলো প্রকৃতিতে পাওয়া সবচেয়ে কঠিন বা শক্ত পদার্থ।
-
এই কঠিনতা ও ধারযুক্ত গঠনের কারণে হীরক সাধারণত কাচ কাটার কাজে ব্যবহৃত হয়।
অতিরিক্ত তথ্য:
-
উল্লেখযোগ্যভাবে, প্রকৃতিতে পাওয়া সবচেয়ে শক্ত ধাতু হলো টাংস্টেন।
উৎস: রসায়ন বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ।

0
Updated: 2 months ago
মানবদেহের রক্তচাপ নির্ণায়ক যন্ত্র-
Created: 2 months ago
A
স্ফিগমোম্যানোমিটার
B
স্টেথস্কোপ
C
কার্ডিওগ্রাফ
D
ইকোকার্ডিওগ্রাফ
হৃৎপিণ্ডের সংকোচন ও প্রসারণের কারণে রক্ত যখন ধমনির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়, তখন ধমনিপ্রাচীরে যে চাপ সৃষ্টি হয় তাকে রক্তচাপ বলা হয়।
-
সাধারণত রক্তচাপ বলতে ধমনির রক্তচাপকেই বোঝানো হয়।
-
যখন হৃৎপিণ্ড সঙ্কুচিত অবস্থায় থাকে (সিস্টোল), তখন ধমনিতে যে উচ্চ চাপ থাকে তাকে সিস্টোলিক রক্তচাপ বলা হয়।
-
আর যখন হৃৎপিণ্ড বিশ্রামে থাকে (ডায়াস্টোল), তখন ধমনিতে যে নিম্ন চাপ থাকে তাকে ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ বলে।
-
রক্তচাপ পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র হলো স্ফিগমোম্যানোমিটার।
অন্যদিকে,
-
হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের শব্দ শোনা ও নির্ণয়ের যন্ত্র হল স্টেথোস্কোপ।
-
আর হৃৎপিণ্ডের গতি নির্ণয়ের যন্ত্র হলো কার্ডিওগ্রাফ।
উৎস: সাধারণ বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 2 months ago
মাইটোকন্ড্রিয়ায় কত ভাগ প্রোটিন?
Created: 1 month ago
A
৭০%
B
৭২%
C
৭৩%
D
৮০%
মাইটোকন্ড্রিয়া:
-
মাইটোকন্ড্রিয়া হলো কোষের সেই অঙ্গাণু যা শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজ করে।
-
এটি শ্বসনের মাধ্যমে কোষের জন্য শক্তি প্রস্তুত করে।
-
মাইটোকন্ড্রিয়ার গঠন প্রায় ৭৩% প্রোটিন, ২৫-৩০% লিপিড এবং অল্প পরিমাণে ডিএনএ, আরএনএ, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে।
-
যেহেতু শক্তি উৎপাদনের সমস্ত প্রক্রিয়া এখানে সংঘটিত হয়, তাই মাইটোকন্ড্রিয়াকে ‘শক্তি উৎপাদনের কারখানা’ বা ‘পাওয়ার হাউস’ হিসেবে পরিচিত।
তথ্যসূত্র: নবম-দশম শ্রেণির জীববিজ্ঞান।

0
Updated: 1 month ago