মানুষের শরীরের রক্তের গ্রুপ কয়টি?
A
চারটি
B
পাঁচটি
C
তিনটি
D
দুইটি
উত্তরের বিবরণ
মানুষের রক্তকে মূলত চারটি ভাগে ভাগ করা যায়, যথা O, A, B এবং AB। রক্তের গ্রুপ বা ব্লাড গ্রুপ নির্ধারণ করা হয় লোহিত রক্ত কণিকার (RBC) প্লাজমা মেমব্রেনে থাকা অ্যান্টিজেনের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতির উপর ভিত্তি করে।
মানুষের রক্তে প্রধানত A এবং B ধরণের অ্যান্টিজেন থাকতে পারে, যা রক্তের শ্রেণীবিন্যাস নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ।
-
O রক্তের গ্রুপ
-
O গ্রুপের RBC-এর ঝিল্লিতে কোন অ্যান্টিজেন নেই।
-
O রক্তের গ্রুপের ব্যক্তি সাধারণত সর্বজনীন রক্ত দাতা হিসেবে পরিচিত।
-
তারা শুধুমাত্র O রক্তের গ্রুপ থেকে রক্ত গ্রহণ করতে পারে।
-
-
AB রক্তের গ্রুপ
-
AB গ্রুপের RBC-তে A এবং B দুটি অ্যান্টিজেনই থাকে।
-
AB রক্তের গ্রুপকে সর্বজনীন গ্রহীতা বলা হয়, কারণ তারা সব রক্তের গ্রুপ গ্রহণ করতে পারে।
-
শুধুমাত্র AB গ্রুপের ব্যক্তিদের রক্ত দিতে পারে।
-
-
A রক্তের গ্রুপ
-
A গ্রুপের RBC-তে A অ্যান্টিজেন থাকে।
-
A গ্রুপের ব্যক্তি শুধুমাত্র A এবং O রক্তের গ্রুপ থেকে রক্ত গ্রহণ করতে পারে।
-
তারা রক্ত দিতে পারে A এবং AB রক্তের গ্রুপের ব্যক্তিদের।
-
-
B রক্তের গ্রুপ
-
B গ্রুপের RBC-তে B অ্যান্টিজেন থাকে।
-
B গ্রুপের ব্যক্তি শুধুমাত্র B এবং O রক্তের গ্রুপ থেকে রক্ত গ্রহণ করতে পারে।
-
তারা রক্ত দিতে পারে B এবং AB রক্তের গ্রুপের ব্যক্তিদের।
-
0
Updated: 1 month ago
মানবদেহে রোগ প্রতিরোধে প্রাথমিক প্রতিরক্ষাস্তরের (First line of defence) অন্তর্ভুক্ত নয় কোনটি?
Created: 2 months ago
A
লাইসোজাইম (LYSOZYME)
B
গ্যাসট্রিক জুস (GASTRIC JUICE)
C
সিলিয়া (CILIA)
D
লিম্ফোসাইট (LYMPHOCYTES)
ইম্যুনাইজেশন
ইম্যুনাইজেশন হলো মানুষের শরীরকে সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রক্রিয়া। অন্যভাবে বলতে গেলে, এটি শরীরের প্রতিরক্ষামূলক ক্ষমতা বাড়ানোর একটি প্রক্রিয়া।
মানবদেহে রোগজীবাণু বা পরজীবী আক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য সাধারণত তিনটি স্তরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকে।
১. প্রথম স্তরের প্রতিরক্ষা (Primary Defense):
প্রথম স্তরের প্রতিরক্ষা মূলত রোগজীবাণুকে দেহের ভিতরে প্রবেশ করতে না দেওয়াই। এর মধ্যে রয়েছে:
-
ত্বক: বাহ্যিক বাধা হিসেবে কাজ করে।
-
সিলিয়া ও মিউকাস: শ্বাসনালিতে ধুলো ও জীবাণু আটকায়।
-
লাইসোজাইম এনজাইম: লালা ও চোখের জল জীবাণু ধ্বংস করে।
-
অম্ল (Acid) ও রক্ত জমাট: পেটের অম্ল এবং রক্তের জমাট জীবাণু ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
২. দ্বিতীয় স্তরের প্রতিরক্ষা (Secondary Defense):
যদি রোগজীবাণু প্রথম স্তর অতিক্রম করতে পারে, তবে দ্বিতীয় স্তরের প্রতিরক্ষা সক্রিয় হয়। এতে অন্তর্ভুক্ত:
-
ফ্যাগোসাইটিক কোষ: শ্বেতরক্তকণিকা থেকে তৈরি ম্যাক্রোফেজ ও নিউট্রোফিল রোগজীবাণু খায়।
-
প্রদাহ সাড়া ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি: সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রদাহ ও জ্বরের মাধ্যমে সহায়তা করে।
-
কমপ্লিমেন্ট, ইন্টারফেরন ও ন্যাচারাল কিলার সেল: রোগজীবাণুর ধ্বংসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৩. তৃতীয় স্তরের প্রতিরক্ষা (Tertiary / Specific Immune Response):
তৃতীয় স্তরের প্রতিরক্ষা বিশেষভাবে নির্দিষ্ট জীবাণু বা অ্যান্টিজেনের বিরুদ্ধে কাজ করে। এটি ইমিউনিটি জনিত সাড়া (immune response) নামে পরিচিত। এর মধ্যে রয়েছে:
-
লিম্ফোসাইট: B ও T কোষ, যা বিশেষ জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে।
-
MHC অণু (Major Histocompatibility Complex): অ্যান্টিজেনকে শনাক্ত করে সঠিক সেলকে সক্রিয় করে।
-
ক্লোনাল সিলেকশন: নির্দিষ্ট জীবাণুর বিরুদ্ধে সেলগুলো প্রজনন করে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা গঠন করে।
উৎস: জীববিজ্ঞান-প্রথম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, ড. মোহাম্মদ আবুল হাসান।
0
Updated: 2 months ago
পৃথিবীর প্রথম বাণিজ্যিক যোগাযোগ কৃত্রিম উপগ্রহ কোনটি?
Created: 3 months ago
A
আর্লিবার্ড হল
B
এস্ট্রোলার হল
C
ওবেরী হল
D
কসমস
পৃথিবীর প্রথম বাণিজ্যিক যোগাযোগের কৃত্রিম উপগ্রহ ছিল ইনটেলসেট-১, যেটি আর্লি বার্ড (Early Bird) নামেও পরিচিত।
এই উপগ্রহটি ১৯৬৫ সালের ৬ এপ্রিল মহাশূন্যে পাঠানো হয়।
নাসা এটি পৃথিবীর উপরে একটি নির্দিষ্ট কক্ষপথে (geosynchronous orbit) স্থাপন করে।
উৎস: নাসার ওয়েবসাইট
0
Updated: 3 months ago
হৃৎপিণ্ড কোন ধরনের পেশি দ্বারা গঠিত?
Created: 2 months ago
A
ঐচ্ছিক
B
অনৈচ্ছিক
C
বিশেষ ধরনের ঐচ্ছিক
D
বিশেষ ধরনের অনৈচ্ছিক
হৃৎপিণ্ডের গঠন
হৃৎপিণ্ড মানুষের দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। এটি বক্ষগহ্বরের বাম দিকে, দুই ফুসফুসের মাঝখানে অবস্থিত এবং দেখতে কিছুটা ত্রিকোণাকার ও ফাঁপা।
-
হৃৎপিণ্ড হৃৎপেশি (cardiac muscle) নামের এক ধরনের বিশেষ অনৈচ্ছিক পেশি দিয়ে তৈরি।
-
পুরো হৃৎপিণ্ডকে বাইরের দিকে পেরিকার্ডিয়াম নামে পাতলা আবরণ ঢেকে রাখে।
-
এর প্রাচীর তিনটি স্তর দ্বারা গঠিত—
বহিঃস্তর (এপিকার্ডিয়াম)
-
এটি বাইরের স্তর, যোজক কলা দিয়ে তৈরি।
-
স্তরে কিছুটা চর্বি থাকে।
-
আবরণী কলা দিয়ে এটি আবৃত থাকে।
মধ্যস্তর (মায়োকার্ডিয়াম)
-
বহিঃস্তর ও অন্তঃস্তরের মাঝখানে অবস্থান করে।
-
এটি শক্ত ও অনৈচ্ছিক হৃৎপেশি দিয়ে গঠিত।
-
হৃৎপিণ্ডের সংকোচন-প্রসারণ মূলত এই স্তরের কাজের মাধ্যমেই ঘটে।
অন্তঃস্তর (এন্ডোকার্ডিয়াম)
-
এটি ভেতরের স্তর।
-
হৃৎপিণ্ডের সব প্রকোষ্ঠ ও কপাটিকা এই স্তর দিয়ে আবৃত থাকে।
-
এ স্তর হৃৎপিণ্ডকে ভেতরে থেকে মসৃণ রাখে এবং চারটি প্রকোষ্ঠে বিভক্ত করে।
উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি
0
Updated: 2 months ago