সুষম খাদ্যে শর্করা, আমিষ ও চর্বিজাতীয় খাদ্যের অনুপাত?
A
৪ : ১ : ১
B
৪ : ২ : ২
C
৪ : ২ : ৩
D
৪ : ৩ : ২
উত্তরের বিবরণ
খাদ্য গ্রহণ নীতিমালা সংক্রান্ত বিষয়গুলো বোঝার জন্য বলা যায় যে, সুষম খাদ্য নির্বাচন বা balanced diet নির্বাচন করা একজনের উন্নত জীবনযাপনের জন্য অপরিহার্য।
প্রত্যেকের জানা উচিত খাদ্য গ্রহণ নীতিমালা, কারণ খাদ্যের পুষ্টিমান, ক্যালরি, পারিবারিক আয় এবং খাদ্য নির্বাচন সম্পর্কিত সম্যক জ্ঞান না থাকলে প্রত্যেক পরিবারের সদস্যের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয় না।
-
সুষম খাদ্য উপাদান বাছাই করা মানে খাবারে শর্করা, প্রোটিন এবং চর্বির সঠিক অনুপাত রাখা।
-
খাদ্যের পুষ্টিমান এবং পরিমাণ জানা থাকলে শরীরের শক্তি এবং সুস্থতা বজায় রাখা সম্ভব হয়।
-
প্রত্যেক পরিবারের জন্য সুষম খাদ্য নিশ্চিত করা একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
সুষম খাদ্যের বৈশিষ্ট্য:
-
একজন মানুষের বিপাকের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপাদনের ক্ষমতা থাকতে হবে।
-
সুষম খাদ্যে শর্করা, প্রোটিন (আমিষ) এবং চর্বির অনুপাত ৪ : ১ : ১ রাখতে হবে।
-
খাদ্য তালিকায় ফল ও তাজা শাকসবজি অবশ্যই থাকা উচিত।
-
খাবারে প্রয়োজনীয় পানি এবং খনিজ লবণ থাকা আবশ্যক।
-
সুষম খাদ্য অবশ্যই সহজপাচ্য হতে হবে।
-
সুস্থ, সবল ও উন্নত জীবনযাপনের জন্য সুষম খাদ্যের কোনও বিকল্প নেই।
-
তাই দেহের পুষ্টির জন্য ছয়টি উপাদান বিশিষ্ট খাদ্য অন্তর্ভুক্ত করে খাদ্য তালিকা বা meal plan তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
0
Updated: 1 month ago
১ ক্যালরি কত জুলের সমান?
Created: 1 month ago
A
২.৫ জুল
B
৩.৫ জুল
C
৪.২ জুল
D
৫.১ জুল
তাপ হলো পদার্থের অভ্যন্তরে অণুসমূহের গতির সঙ্গে সম্পর্কিত এক ধরনের শক্তি, যা আমাদের কাছে গরম ও ঠান্ডার অনুভূতি সৃষ্টি করে। এটি মূলত শক্তির একটি রূপ, তাই শক্তি তথা কাজের এককই তাপের একক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
তাপের SI একক জুল (J)।
-
আগে তাপ পরিমাপের জন্য ক্যালরি ব্যবহার করা হতো, যা মেট্রিক পদ্ধতির একক এবং এখনো পুষ্টি বিজ্ঞানে ব্যবহৃত হয়।
-
১ ক্যালরি (Cal) হলো ১ গ্রাম পানির তাপমাত্রা ১° C বাড়াতে বা কমাতে যত তাপ প্রয়োজন।
-
১ ক্যালরি = ৪.২ জুল, অর্থাৎ ৪.২ জুল যান্ত্রিক শক্তি ১ ক্যালরি তাপের সমতুল্য।
-
তাপ পরিমাপের যন্ত্র হলো ক্যালরিমিটার।
-
তাপের প্রবাহ তাপের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে না, বরং এটি ঘটে তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণে।
-
দুটি বস্তুর তাপের পরিমাণ সমান হলেও তাদের তাপমাত্রা ভিন্ন হতে পারে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বৈদ্যুতিক মোটর কী রূপান্তর ঘটায়?
Created: 1 month ago
A
তড়িৎ শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে
B
তড়িৎ শক্তিকে তাপ শক্তিতে
C
শব্দ শক্তিকে তড়িৎ শক্তিতে
D
তড়িৎ শক্তি রাসায়নিক শক্তিতে
শক্তি বিভিন্ন যন্ত্রের মাধ্যমে এক রূপ থেকে অন্য রূপে রূপান্তরিত করা যায়। প্রতিটি যন্ত্রের কাজ অনুযায়ী শক্তির রূপান্তর নির্ধারিত হয়।
-
মাইক্রোফোন → শব্দ শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করে।
-
বৈদ্যুতিক মোটর → তড়িৎ শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করে।
-
জেনারেটর বা ডায়নামো → যান্ত্রিক শক্তিকে তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তর করে।
-
লাউড স্পীকার ও বৈদ্যুতিক ঘন্টা → বিদ্যুৎ শক্তিকে শব্দ শক্তিতে রূপান্তর করে।
-
মোবাইল ফোনের ব্যাটারি → বিদ্যুৎ দিয়ে চার্জ দিলে তড়িৎ শক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে প্রতি সেকেন্ডে কতবার পর্যায়বৃত্ত প্রবাহের দিক পরিবর্তন হয়?
Created: 2 months ago
A
৪০ বার
B
১০০ বার
C
৬০ বার
D
৫০ বার
তড়িৎ প্রবাহ:
- দুটি ভিন্ন বিভবের ধাতব বস্তুকে যখন পরিবাহী তার দ্বারা যুক্ত করা হয় তখন তারের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়।
- যখন দুটি ভিন্ন বিভবের ধাতব বস্তুকে তার দ্বারা সংযুক্ত করা হয়, তখন নিম্ন বিভবসম্পন্ন ধাতব বস্তু থেকে ঋণাত্মক আধানযুক্ত ইলেকট্রন উচ্চ বিভবসম্পন্ন ধাতব বস্তুর দিকে প্রবাহিত হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত ধাতব বস্তুর মধ্যে বিভব পার্থক্য বর্তমান থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত ঋণাত্মক আধানের এই প্রবাহ চলে।
- কোনোভাবে যদি ধাতব বস্তুদ্বয়ের মধ্যবর্তী বিভব পার্থক্য বজায় রাখা যায় তখন এই প্রবাহ নিরবচ্ছিন্নভাবে চলতে থাকে।
- ঋণাত্মক আধান বা ইলেকট্রনের এই প্রবাহের জন্যই তড়িৎ প্রবাহিত হয়।
- মূলত কোনো পরিবাহীর যেকোনো প্রস্থচ্ছেদের মধ্য দিয়ে একক সময়ে যে পরিমাণ আধান প্রবাহিত হয় তাই হলো তড়িৎ প্রবাহ।
- প্রচলিত তড়িৎ প্রবাহের দিক ইলেকট্রন প্রবাহের বিপরীত দিকে হয়।
- তড়িৎ প্রবাহের একক হলো অ্যাম্পিয়ার। একে সাধারণত A দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
- তড়িৎ প্রবাহ দুই প্রকার।
যথা-
(ক) পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ বা পরিবর্তী প্রবাহ বা এসি প্রবাহ:
- যখন নির্দিষ্ট সময় পরপর তড়িৎ প্রবাহের দিক পরিবর্তিত হয়, সেই তড়িৎ প্রবাহকে পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ বলে।
- বর্তমান বিশ্বের সকল দেশের তড়িৎ প্রবাহই পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ।
- এর কারণ তুলনামূলকভাবে এটি উৎপন্ন ও সরবরাহ করা সহজ এবং সাশ্রয়ী।
- পর্যায়বৃত্ত প্রবাহের উৎস জেনারেটর বা ডায়নামো।
- দেশের বিভিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে জেনারেটরের সাহায্যে পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ উৎপন্ন করা হয়।
- পর্যায়বৃত্ত প্রবাহের দিক পরিবর্তন দেশভেদে বিভিন্ন হয়।
যেমন- বাংলাদেশে পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ প্রতি সেকেন্ডে পঞ্চাশবার এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি সেকেন্ডে ষাটবার দিক পরিবর্তন করে।
(খ) অপর্যায়বৃত্ত প্রবাহ বা সমপ্রবাহ বা একমুখী প্রবাহ বা ডিসি প্রবাহ:
- যখন সময়ের সাথে সাধারণত তড়িৎ প্রবাহের দিকের কোনো পরিবর্তন না ঘটে, অর্থাৎ যে তড়িৎ প্রবাহ সবসময় একই দিকে প্রবাহিত হয়, সেই প্রবাহকে অপর্যায়বৃত্ত প্রবাহ বলে।
- তড়িৎ কোষ বা ব্যাটারি থেকে অপর্যায়বৃত্ত প্রবাহ পাওয়া যায়।
- আবার ডিসি জেনারেটরের সাহায্যেও এই প্রকার তড়িৎ প্রবাহ উৎপন্ন করা যায়।
0
Updated: 2 months ago