লেন্সের ক্ষমতা (Power of a Lens)

• উত্তল লেন্স প্রধান অক্ষের সমান্তরাল আলোকরশ্মিগুচ্ছকে অভিসারী করে একটি বিন্দুতে মিলিত করে।

• অবতল লেন্স প্রধান অক্ষের সমান্তরাল আলোকরশ্মিগুচ্ছকে অপসারী করে; ফলে মনে হয় রশ্মিগুলো কোনো নির্দিষ্ট বিন্দু থেকে ছড়িয়ে পড়ছে।

• আলোকরশ্মিকে অভিসারী বা অপসারী করার ক্ষমতাকে লেন্সের ক্ষমতা বলা হয়।

সংজ্ঞা:

$$লেন্সের ক্ষমতা (P) = \frac{1}{f}$$

এখানে, $f$ হলো লেন্সের ফোকাস দূরত্ব (মিটারে) এবং ক্ষমতার একক হলো ডায়াপ্টর (D)।

উদাহরণ

• একটি উত্তল লেন্সের ফোকাস দূরত্ব ২ মিটার হলে,

$$P = \frac{1}{2} = 0.5D$$

• লেন্সের ক্ষমতা ধনাত্মক (+) অথবা ঋণাত্মক (–) হতে পারে।

ব্যাখ্যা

• $+1D$ → লেন্সটি উত্তল, এবং এটি আলোকরশ্মিগুচ্ছকে প্রধান অক্ষের ১ মিটার দূরে মিলিত করবে।

• $–2D$ → লেন্সটি অবতল, এবং এটি আলোকরশ্মিগুচ্ছকে এমনভাবে অপসারী করবে যেন সেগুলো লেন্স থেকে ½ মিটার বা ৫০ সেমি দূরের একটি বিন্দু থেকে আসছে বলে মনে হয়।

উৎস: বিজ্ঞান, নবম–দশম শ্রেণি

• যখন বৈদ্যুতিক পাখা ধীর গতিতে ঘোরানো হয়, তখন বিদ্যুতের খরচ প্রায় একই থাকে।

• কারণ, ইলেকট্রিক্যাল রেগুলেটর ব্যবহার করলে ফ্যানের গতি যেভাবেই হোক—ফুল স্পিডে হোক বা আস্তে হোক—পাওয়ার খরচ প্রায় সমান থাকে। এর কারণ হলো, এই রেগুলেটরটি ইন্ডাক্টরের মাধ্যমে কাজ করে।

• ফ্যানের গতি কমানোর সময় এই ইন্ডাক্টর উত্তপ্ত হয় এবং সেই উত্তাপের জন্য বিদ্যুতের অতিরিক্ত খরচ হয়।

• অন্যদিকে, ইলেকট্রনিক রেগুলেটর ভিন্ন ধরনের, এটি একটি ভেরিয়েবল রেজিস্টর যা থাইরিস্টর নামক ইলেকট্রনিক ডিভাইস দিয়ে তৈরি।

• এর ফলে উত্তাপের পরিমাণ খুব কম হয় এবং রেগুলেটরের লসও অতি নগণ্য হয়। তাই ফ্যানের গতি কমালে বিদ্যুতের খরচও কমে, এবং গতি বাড়ালে বিদ্যুতের খরচ বেড়ে যায়।

• তাই, ইলেকট্রনিক রেগুলেটর ব্যবহারে ফ্যানের গতি নিয়ন্ত্রণ করলে বিদ্যুতের সাশ্রয় সম্ভব।

উৎস: সাধারন বিজ্ঞান, এসএসসি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

গরমের দিনে মাটির কলসিতে পানি রেখে তা ঠান্ডা করা হয় বাষ্পায়নজনিত শীতলীকরণের মাধ্যমে।

মাটির তৈরি কলসির গায়ে অসংখ্য সূক্ষ্ম ছিদ্র থাকে, যার মাধ্যমে অল্প অল্প করে পানি চুঁইয়ে বাইরে বের হয়। ফলে কলসির বাইরের অংশ সবসময় ভেজা থাকে। এই ভেজা অংশের পানি বাষ্পে পরিণত হওয়ার সময় কলসির গা এবং আশেপাশের বাতাস থেকে সুপ্ত তাপ শোষণ করে।

এতে কলসির বাইরের অংশ ঠান্ডা হয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে ভেতরের পানিও ঠান্ডা হয়। এই প্রক্রিয়ার ভিত্তিতেই রিফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ কাজ করে।

উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।