কোনটি নিত্য সমাসের সমস্তপদ?
A
সেতার
B
প্রত্যহ
C
গ্রামান্তর
D
সহোদর
উত্তরের বিবরণ
সমাস হলো দুটি বা ততোধিক পদ একত্রে এসে নতুন অর্থবোধক পদ গঠন। সমাসের মধ্যে একটি বিশেষ ধরন হলো নিত্য সমাস।
নিত্য সমাসের বৈশিষ্ট্য
-
যেসব সমাসপদকে আবার মূল পদে ভাঙা যায় না।
-
পদগুলোর আদি রূপ লোপ পায়।
-
পদগুলোর অর্থ একত্র হয়ে নতুন অর্থ তৈরি করে।
সেতার → "সত্ + তার" থেকে এসেছে। ভাঙা যায়, তাই এটি নিত্য সমাস নয়।
-
প্রত্যহ → "প্রতি + অহ" (অহ = দিন)। এটি অব্যয়ীভাব সমাস, নিত্য সমাস নয়।
-
গ্রামান্তর → "গ্রাম + অন্তর" → অর্থ "অন্য গ্রাম"। এখানে "অন্তর" শব্দটি মূল রূপে ব্যবহৃত হয় না, অর্থ পরিবর্তিত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করেছে। এটি নিত্য সমাসের সমস্তপদ।
-
সহোদর → "সহ + উদর" (একই উদরজাত = ভাই/ভগ্নি)। এটি তৎপুরুষ সমাস।
সুতরাং, নিত্য সমাসের উদাহরণ গ্রামান্তর।
0
Updated: 1 month ago
‘মৌমাছি’ কোন সমাস?
Created: 2 months ago
A
কর্মধারয় সমাস
B
বহুব্রীহি সমাস
C
দ্বিগু সমাস
D
অব্যয়ীভাব সমাস
'মৌমাছি' কর্মধারয় সমাস (মৌ সংগ্রহকারী মাছি)। যে সমাসে বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের সমাস হয় এবং পরপদের অর্থই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন: নীল যে পদ্ম= নীলপদ্ম, শান্ত অথচ শিষ্ট= শান্তশিষ্ট, কাঁচা অথচ মিঠা= কাঁচামিঠা।
0
Updated: 2 months ago
সমাস ভাষাকে কী করে?
Created: 3 months ago
A
সংক্ষেপ করে
B
বিস্তৃত করে
C
অর্থপূর্ণ করে
D
অর্থের রূপান্তর ঘটায়
● সমাস কী?
-
সমাস হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে একাধিক শব্দকে মিলিয়ে একটি নতুন, ছোট অথচ অর্থপূর্ণ শব্দ তৈরি করা হয়।
-
‘সমাস’ শব্দের মানে হলো সংক্ষেপ বা একত্রে মিলন।
-
সমাসের মূল কাজ হলো ভাষাকে ছোট করে সহজ করা এবং নতুন অর্থ তৈরি করা।
-
সমাস নিয়ে আলোচনা করা হয় ব্যাকরণে, বিশেষ করে শব্দ ও রূপতত্ত্ব অংশে।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯-সংস্করণ)।
0
Updated: 3 months ago
'ধোয়ামোছা' কোন সমাস?
Created: 1 month ago
A
বহুব্রীহি সমাস
B
কর্মধারয় সমাস
C
দ্বন্দ্ব সমাস
D
তৎপুরুষ সমাস
'ধোয়ামোছা' হলো আগে ধোয়া তারপর মোছা বোঝানো কর্মধারয় সমাস। এটি কর্মধারয় সমাসের এক উদাহরণ যা কার্যক্রমের পরম্পরা প্রকাশ করে।
কার্যে পরম্পরা বোঝাতে দুটি কৃদন্ত বিশেষণ পদও কর্মধারয় সমাস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ: আগে ধোয়া পরে মোছা = ধোয়ামোছা
কর্মধারয় সমাস:
যেখানে বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সঙ্গে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের সমাস হয় এবং পরপদের অর্থ প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলা হয়।
-
উদাহরণ: নীল যে পদ্ম = নীলপদ্ম
কর্মধারয় সমাসের অন্যান্য ধরন:
-
দুটি বিশেষণ পদে একটি বিশেষ্য বোঝালে, যেমন যে চালাক সেই চতুর = চালাকচতুর
-
দুটি বিশেষ্য পদে একই ব্যক্তি বা বস্তুকে বোঝালে, যেমন যিনি জজ তিনিই সাহেব = জজসাহেব
-
পূর্বপদে স্ত্রীবাচক বিশেষণ থাকলে কর্মধারয় সমাসে সেটি পুরুষবাচক হয়, যেমন সুন্দরী যে লতা = সুন্দরলতা, মহতী যে কীর্তি = মহাকীর্তি
-
বিশেষণবাচক মহান বা মহৎ শব্দ পূর্বপদ হলে, 'মহৎ' ও 'মহান' স্থানে 'মহা' হয়, যেমন মহৎ যে জ্ঞান = মহাজ্ঞান, মহান যে নবি = মহানবি
-
পূর্বপদে 'কু' বিশেষণ থাকলে এবং পরপদের প্রথমে স্বরধ্বনি থাকলে 'কু' স্থানে 'কৎ' হয়, যেমন কু যে অর্থ = কদর্থ, কু যে আচার = কদাচার
0
Updated: 1 month ago