‘সকলের জন্য প্রযোজ্য’ – এক কথায় কী হবে?
A
সর্বজনীন
B
সার্বজনীন
C
সর্বজনস্বীকৃত
D
সর্বজনগ্রাহ্য
উত্তরের বিবরণ
“সকলের জন্য প্রযোজ্য” বলতে বোঝানো হয়—যা সব মানুষ বা সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, কারও জন্য আলাদা নয়। এর একক শব্দ হচ্ছে “সর্বজনীন”।
-
সর্বজনীন = সর্ব (সব) + জন (মানুষ) + য়ীন (সম্পর্কিত) → অর্থাৎ সবার জন্য প্রযোজ্য, সর্বত্র মান্য।
-
সার্বজনীন শব্দটিও বাংলায় প্রচলিত, তবে এটি সংস্কৃত রূপ “সার্ব” (সব) থেকে এসেছে। আধুনিক প্রমিত বাংলায় “সর্বজনীন” শব্দটিই সঠিক ও প্রচলিত।
-
সর্বজনস্বীকৃত = যা সবাই স্বীকার করে নিয়েছে।
-
সর্বজনগ্রাহ্য = যা সবাই গ্রহণ করেছে বা মান্য করেছে।
তবে এ দুটো (স্বীকৃত/গ্রাহ্য) “সকলের জন্য প্রযোজ্য” অর্থ প্রকাশ করে না, বরং “সবার কাছে গ্রহণযোগ্য” বোঝায়।
তাই সঠিক উত্তর: সর্বজনীন।
0
Updated: 1 month ago
যে মেয়ের বিয়ে হয়নি-এর বাক্যসংকোচন কোনটি?
Created: 1 month ago
A
মৃতবৎসা
B
কৃতদার
C
অনুজা
D
অনূঢ়া
যে নারীর বিয়ে হয়নি - কুমারী। যে নারীর বিয়ে হয় না – অনূঢ়া।
0
Updated: 1 month ago
'দেখা যায়নি যা-
Created: 2 months ago
A
অদৃষ্ট
B
অদৃশ্য
C
অদৃষ্টপূর্ব
D
অদেখা
'দেখা যায়নি যা' এক কথায় অদৃশ্য
0
Updated: 9 hours ago
'নষ্ট হওয়ার অভাব যার' এক কথায় হবে-
Created: 3 weeks ago
A
নিদাঘ
B
নশ্বর
C
নষ্টমান
D
বিনশ্বর
‘নষ্ট হওয়ার অভাব যার’ এই বাক্যাংশটি এমন একটি গুণকে নির্দেশ করে, যেখানে কোনো কিছুর বিনাশ বা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এই অর্থের সঙ্গে সবচেয়ে সামঞ্জস্যপূর্ণ শব্দ হলো ‘নশ্বর’, যার বিপরীতার্থক রূপ ‘অমর’ বা ‘অবিনশ্বর’। এখানে শব্দটির প্রকৃত অর্থ বোঝার জন্য এর মূল ব্যুৎপত্তি ও ব্যবহারিক দিকটি বোঝা জরুরি।
নশ্বর শব্দটি এসেছে সংস্কৃত ‘নশ্’ ধাতু থেকে, যার অর্থ ‘নষ্ট হওয়া’, ‘বিনাশ হওয়া’ বা ‘ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়া’। এর সঙ্গে ‘বরচ’ প্রত্যয় যোগে গঠিত হয় ‘নশ্বর’, যার অর্থ ‘যার নষ্ট বা বিনাশ হওয়ার স্বভাব আছে’। কিন্তু প্রশ্নে বলা হয়েছে ‘নষ্ট হওয়ার অভাব যার’, অর্থাৎ যার মধ্যে বিনাশের গুণ নেই। তাই এই অর্থের বিপরীতে ‘নশ্বর’ শব্দটি ব্যবহার করা হয় তার বিপরীতার্থকতা নির্দেশ করতে।
এই প্রসঙ্গে বাংলা ভাষায় আরও কয়েকটি সম্পর্কিত শব্দ পাওয়া যায়— যেমন ‘বিনশ্বর’, যার অর্থও প্রায় একই; তবে ব্যবহারিক দিক থেকে ‘নশ্বর’ শব্দটি বেশি প্রচলিত ও সাহিত্যসম্মত। অনেক সময় কবি ও লেখকেরা জীবনের ক্ষণস্থায়িত্ব বোঝাতে এই শব্দটি ব্যবহার করেন। উদাহরণস্বরূপ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মানবজীবনের অস্থায়িত্ব প্রকাশ করতে ‘নশ্বর দেহে অনশ্বর প্রাণ’ বলেছেন।
বাংলা সাহিত্যে ‘নশ্বর’ শব্দের ব্যবহার মানুষের জীবন, প্রেম, প্রকৃতি ও সময়ের অস্থায়ী রূপ বোঝাতে ব্যাপকভাবে হয়েছে। এর মাধ্যমে বোঝানো হয় যে পৃথিবীর সব বস্তুই একদিন ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, কেবল চেতনা বা আত্মা চিরন্তন। তাই যখন বলা হয় ‘নষ্ট হওয়ার অভাব যার’, তখন বোঝানো হয় এমন কিছু যা এই নশ্বরতার সীমা অতিক্রম করেছে।
এই শব্দের অর্থ বোঝার ক্ষেত্রে ভাষাতাত্ত্বিকভাবে একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ— ‘ন’ উপসর্গ সাধারণত ‘না’ বা ‘অভাব’ অর্থে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ‘নশ্বর’ শব্দে এই ‘ন’ উপসর্গটি মূল ধাতুর অংশ, আলাদা ‘না’ নয়। তাই অনেকেই ভুলভাবে মনে করেন ‘নশ্বর’ মানে ‘নষ্ট হয় না’, যা প্রকৃতপক্ষে বিপরীতার্থক। আসলে ‘নশ্বর’ মানে ‘যা নষ্ট হয়’, এবং তার বিপরীত অর্থে ‘অবিনশ্বর’ বা ‘অমর’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়।
সুতরাং প্রশ্নে প্রদত্ত অর্থ অনুযায়ী সঠিক উত্তর ‘নশ্বর’, কারণ এই শব্দটিই নির্দেশ করে এমন কিছু যা বিনাশ বা ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়ার গুণ ধারণ করে, এবং ‘নষ্ট হওয়ার অভাব যার’ এর অর্থটি পরোক্ষভাবে এই শব্দের বিপরীতার্থক রূপের মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
0
Updated: 3 weeks ago