তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে একটি ধাতুর উপর অন্য একটি ধাতুর প্রলেপ দেয়ার প্রক্রিয়াকে কী বলা হয়?
A
পেইন্টিং
B
ভলকানাইজিং
C
গ্যালভানাইজিং
D
ইলেকট্রোপ্লেটিং
উত্তরের বিবরণ
ইলেকট্রোপ্লেটিং হলো সেই প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি ধাতুর উপর অন্য ধাতুর প্রলেপ তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতি ব্যবহার করে দেওয়া হয়।
-
ইলেকট্রোপ্লেটিংয়ে ধাতু যার প্রলেপ পাবে তাকে ব্যাটারির ধনাত্মক প্রান্তের সাথে যুক্ত করা হয়।
-
ধাতু যার উপর প্রলেপ দেওয়া হবে, তা ব্যাটারির ঋণাত্মক প্রান্তের সাথে যুক্ত করা হয়।
-
এরপর তড়িৎ বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রলেপ স্থাপন করা হয়।
গ্যালভানাইজিং হলো সেই প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ধাতুর উপর জিংকের প্রলেপ দেওয়া হয়, যার জন্য তড়িৎ বিশ্লেষণের প্রয়োজন নেই।
ভলকানাইজিং হলো রাবারকে শক্তিশালী ও টেকসই করার জন্য সালফার মিশিয়ে প্রক্রিয়াজাত করা।
পেইন্টিং হলো ধাতব পদার্থের ক্ষয় রোধ করতে রং দেওয়ার প্রক্রিয়া।
0
Updated: 1 month ago
সবচেয়ে হালকা ধাতু কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
লিথিয়াম
B
ওসমিয়াম
C
কপার
D
তামা
উ. ক) লিথিয়াম
সবচেয়ে হালকা ধাতু হলো লিথিয়াম (Lithium)। এটি পর্যায় সারণির প্রথম গ্রুপের উপাদান, অর্থাৎ ক্ষার ধাতু (Alkali Metal) শ্রেণিভুক্ত। এর পারমাণবিক সংখ্যা ৩ এবং প্রতীক Li।
লিথিয়াম সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো—
-
এটি সবচেয়ে হালকা কঠিন ধাতু, যার ঘনত্ব মাত্র ০.৫৩৪ গ্রাম/ঘনসেন্টিমিটার, অর্থাৎ এটি পানির ওপর ভেসে থাকতে পারে।
-
এটি রঙে রূপালি-সাদা এবং খুবই নরম ধাতু, যা ছুরি দিয়ে সহজেই কাটা যায়।
-
লিথিয়াম অত্যন্ত বিক্রিয়াশীল; বাতাসে অক্সিজেন ও আর্দ্রতার সংস্পর্শে এলে দ্রুত অক্সাইড বা হাইড্রোক্সাইড তৈরি করে। তাই এটি সাধারণত কেরোসিন তেলে সংরক্ষণ করা হয়।
-
এটি ব্যাটারি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি, যা মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, বৈদ্যুতিক গাড়ি ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়।
-
লিথিয়াম যৌগ ওষুধ শিল্পেও ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে মানসিক রোগের চিকিৎসায় (bipolar disorder)।
অন্য বিকল্পগুলো সম্পর্কে—
-
ওসমিয়াম (Osmium) পৃথিবীর অন্যতম ভারী ধাতু, হালকা নয়।
-
কপার (Copper) এবং তামা (Copper) একই ধাতু, যা তুলনামূলকভাবে ভারী এবং পরিবাহিতা বেশি হলেও হালকা নয়।
অতএব, প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে সবচেয়ে হালকা ধাতু হলো লিথিয়াম (Lithium), এবং সঠিক উত্তর ক) লিথিয়াম।
0
Updated: 3 weeks ago
জিংক ধাতুর আকরিক কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ক্যালামাইন
B
চালকোসাইট
C
গ্যালেনা
D
সিন্নাবার
আকরিক:
-
'ক্যালামাইন' হলো জিংক ধাতুর আকরিক।
-
সকল খনিজ পদার্থ থেকে লাভজনকভাবে ধাতু বা অধাতু আহরণ সম্ভব হয় না।
-
খনিতে যে সকল যৌগিক পদার্থ থেকে ধাতু বা অধাতু লাভজনকভাবে নিস্কাশন করা যায়, তাদেরকে আকরিক বলা হয়।
-
খনিতে আকরিক সাধারণত বালি, পাথর, কাদামাটি ও অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় পদার্থের সঙ্গে মিশ্রিত অবস্থায় থাকে; এগুলোকে অপদ্রব্য বা ভেজাল বলা হয়।
-
এই অপদ্রব্যগুলোকে খনিজমল বলা হয়।
উৎস: রসায়ন প্রথম পত্র, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
সংকর ধাতু পিতলের প্রধান উপাদান কী?
Created: 2 months ago
A
টিন
B
কপার
C
কার্বন
D
জিংক
• সংকর ধাতু পিতলের প্রধান উপাদান কপার বা তামা।
• সংকর ধাতু:
- কতকগুলো ধাতুকে একত্রে গলানোর পর গলিত মিশ্রণকে ঠাণ্ডা করলে যে ধাতু মিশ্রণ পাওয়া যায় তাকে সংকর ধাতু বলা হয়।
• সংকর ধাতু তৈরিতে সকল ধাতুকে সমান পরিমাণে মেশানো হয় না।
- সংকর ধাতুর মধ্যে একটি থাকে প্রধান ধাতু এবং অন্য এক বা একাধিক পদার্থ থাকে অপ্রধান ধাতু বা অধাতু।
- প্রধান ধাতুর নাম অনুসারে সংকর ধাতুর নামকরণ করা হয়। যেমন- স্টিলের মধ্যে লোহা প্রধান ধাতু এবং কার্বন অপ্রধান অধাতু।
- স্টিলে লোহা থাকে 99% এবং কার্বন থাকে 1% এজন্য স্টিলকে লোহার সংকর ধাতু বলা হয়।
- কাঁসার মধ্যে প্রধান ধাতু কপার থাকে 90%, টিন থাকে 10%। এজন্য কাঁসা কপারের সংকর ধাতু।
- পিতলে প্রধান ধাতু কপার থাকে 65% এবং অপ্রধান ধাতু জিংক থাকে 35%। এজন্য পিতলও কপারের সংকর ধাতু।
- সংকর ধাতু ডুরালুমিনে কপারের পরিমাণ 4% ।
- 21 ক্যারেট ও 22 ক্যারেট স্বর্ণে খাদ হিসেবে কপার ও অন্যান্য ধাতুর পরিমাণ যথাক্রমে 8.33% ও 12.5% ।
- 24 ক্যারেট স্বর্ণে স্বর্ণের পরিমাণ 100% ।
- সংকর ধাতু মরিচাবিহীন ইস্পাতে কপার অনুপস্থিত।
- এর উপাদান গুলো হলো লোহা, ক্রোমিয়াম এবং নিকেল। অর্থাৎ এতে কপার বা অন্য কোনো খাদ থাকে না।

তথ্যসূত্র:
- মাধ্যমিক রসায়ন, ৯ম ও ১০ম শ্রেণি।
0
Updated: 2 months ago