ট্রাইকোডার্মা কোন তাপমাত্রায় বংশবিস্তার করতে পারে?
A
৫–১০° সে.
B
৪০–৫০° সে.
C
১০–১৫° সে.
D
২৫–৩০° সে.
উত্তরের বিবরণ
ট্রাইকোডার্মা এক ধরনের উপকারী ছত্রাক যা কৃষিক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি আবর্জনা থেকে সার তৈরিতে, মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে এবং উদ্ভিদকে রোগ থেকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে। এর বৈশিষ্ট্যগুলো হলো—
-
ট্রাইকোডার্মা হলো এক প্রকার অণুজীব ছত্রাক, যা মাটিতে প্রাকৃতিকভাবে বিদ্যমান থাকে।
-
ময়লা-আবর্জনার সাথে ব্যবহার করে যে সার তৈরি করা হয় তাকে ট্রাইকোডার্মা অণুজীব সার বলা হয়।
-
এটি ২৫-৩০° সে. তাপমাত্রায় বংশবিস্তার করতে পারে, ফলে উষ্ণ ও আর্দ্র পরিবেশে সহজে বৃদ্ধি পায়।
-
এর জীবনচক্র সম্পন্ন হয় বিভিন্ন পচনশীল দ্রব্য বিয়োজন করার মাধ্যমে।
-
ট্রাইকো কম্পোস্ট তৈরির ক্ষেত্রে ট্রাইকোডার্মা অত্যন্ত উপযোগী।
-
এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, এটি অন্যান্য ছত্রাক বা অণুজীবের তুলনায় কাঠের গুঁড়া কিংবা গাছের শক্ত অংশের মতো কঠিন পদার্থ বিয়োজন করতে সক্ষম।
-
মাটিতে এর কোনো নেতিবাচক প্রভাব নেই, বরং এটি পরিবেশবান্ধব।
-
এটি গাছে রোগ সৃষ্টিকারী অনেক রোগজীবাণু খেয়ে ফেলে এবং উদ্ভিদকে সুরক্ষা দেয়। এজন্য একে বলা হয় ডক্টরস ফাঙ্গাস।
0
Updated: 1 month ago
মানবদেহে লােহিত কণিকার আয়ুষ্কাল কত দিন?
Created: 2 months ago
A
৭ দিন
B
৩০ দিন
C
১৮০ দিন
D
উপরের কোনটিই নয়
লোহিত রক্তকণিকার আয়ু ও বৈশিষ্ট্য
মানবদেহের লোহিত রক্তকণিকা বা Red Blood Cell (RBC) বিশেষভাবে দ্বি-অবতল চাকতি আকৃতির হয়। এগুলোতে কোনো নিউক্লিয়াস থাকে না। এর ভেতরে থাকে হিমোগ্লোবিন, যার কারণে রক্তের রং লাল দেখায়।
লোহিত কণিকাগুলোকে আসলে হিমোগ্লোবিনে পূর্ণ একেকটি ভাসমান থলের মতো মনে করা যায়। এদের চ্যাপ্টা আকৃতির কারণে স্বাভাবিক আকারের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে অক্সিজেন পরিবহন করা সম্ভব হয়।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, লোহিত কণিকা বিভাজিত হতে পারে না। এগুলো সার্বক্ষণিকভাবে অস্থিমজ্জায় তৈরি হয় এবং সেখান থেকে রক্তে প্রবেশ করে।
প্রতিটি লোহিত রক্তকণিকার গড় আয়ুষ্কাল প্রায় ৪ মাস বা ১২০ দিন।
উৎস: বিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 2 months ago
মানবদেহে স্নেহজাতীয় পদার্থ হজমের জন্য কোন এনজাইমটি অপরিহার্য?
Created: 1 month ago
A
পেপসিন
B
অ্যামাইলেজ
C
লাইপেজ
D
ট্রিপসিন
লাইপেজ হলো একটি পাচক এনজাইম যা স্নেহজাতীয় খাদ্য (ফ্যাট) পরিপাকে সাহায্য করে।
-
লাইপেজ (Lipase): হাইড্রোলাইটিক এনজাইম, যা ফ্যাটকে ফ্যাটি অ্যাসিড (Fatty acid) এবং গ্লিসারল (Glycerol)-এ পরিণত করে।
-
ফ্যাট পরিপাকের জন্য পিত্তরসও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ফ্যাটকে ক্ষুদ্র কণায় ভেঙে ইমালসিফাই (Emulsify) করে, যা লাইপেজের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
-
পরিপাক প্রক্রিয়াটি প্রধানত ক্ষুদ্রান্ত্রে (Small intestine) ঘটে, যেখানে ফ্যাট সম্পূর্ণরূপে বিশ্লেষিত হয়।
-
উদ্ভূত ফ্যাটি অ্যাসিড এবং গ্লিসারল পরবর্তীতে অন্ত্রের লসিকাতন্ত্র (Lymphatic system) এবং রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে শোষিত হয়।
-
লাইপেজের অভাব ফ্যাট হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে ডায়রিয়া বা ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
অগ্ন্যাশয়ে (Pancreas) উৎপন্ন অন্যান্য এনজাইম:
-
অ্যামাইলেজ (Amylase): শর্করা (কার্বোহাইড্রেট) হজমে সাহায্য করে; লালা ও অগ্ন্যাশয়ে পাওয়া যায়।
-
ট্রিপসিন (Trypsin): প্রোটিন হজমে সাহায্য করে, প্রোটিনকে ক্ষুদ্র পলিপেপটাইডে ভাঙে।
-
কাইমোট্রিপসিন (Chymotrypsin): প্রোটিন হজমে সহায়ক।
-
এই এনজাইমগুলো ডিউডেনামে (Duodenum) এসে খাদ্যের সঙ্গে মিশে কার্যকর হয়।
-
লাইপেজ: স্নেহজাতীয় খাদ্য হজমে সহায়তা করে।
-
অ্যামাইলেজ: শর্করা হজমে সহায়ক।
উল্লেখযোগ্য অন্যান্য এনজাইম:
-
পেপসিন (Pepsin): প্রোটিন হজমকারী এনজাইম, পাকস্থলীতে প্রোটিনকে প্রোটিওজ ও পেপটোনে পরিণত করে।
-
ট্রিপসিন: অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত হয়ে প্রোটিনকে ক্ষুদ্র পলিপেপটাইডে ভাঙে।
-
অ্যামাইলেজ: শর্করা হজমে সহায়ক, লালা ও অগ্ন্যাশয়ে উপস্থিত।
0
Updated: 1 month ago
মানবদেহ কোন ধরনের শর্করা শোষণ করতে পারে?
Created: 2 months ago
A
সরল শর্করা
B
দ্বি-শর্করা
C
বহু শর্করা
D
সবগুলোই
শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট (Carbohydrate):
- শর্করা জাতীয় খাদ্য শরীরে কাজ করার শক্তি যোগায়।
- শর্করার মৌলিক উপাদান কার্বন, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন।
- উদ্ভিদের মূল, কাণ্ড, পাতা, ফুল, ফল ও বীজে শর্করা বিভিন্নরূপে জমা থাকে।
- ফলের রসের গ্লুকোজ, দুধের ল্যাকটোজ, গম, আলু, চাল ইত্যাদি শর্করাজাতীয়
খাদ্যের বিভিন্ন রূপ।
- গঠনপদ্ধতি অনুসারে শর্করাকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়।
- নিচের সারণিতে এই তিন ধরনের শর্করার গঠন এবং উৎস দেখানো হলো-
0
Updated: 2 months ago