‘আনারস’ কোন ভাষার শব্দ?
A
ওলন্দাজ
B
গুজরাটি
C
পর্তুগিজ
D
জাপানি
উত্তরের বিবরণ
পর্তুগিজ ভাষা থেকে আগত শব্দ – আনারস, আলপিন, আলমারি, গির্জা, গুদাম, চাবি, পাউরুটি, পাদ্রী ইত্যাদি।

0
Updated: 1 day ago
'আবাহন' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ কী হবে?
Created: 1 week ago
A
অবরোহন
B
আহন
C
তিরোভাব
D
বিসর্জন
বাংলা ভাষায় বিপরীতার্থক শব্দ জানার মাধ্যমে শব্দের অর্থ আরও সুস্পষ্টভাবে বোঝা যায় এবং ভাষার ব্যবহার সমৃদ্ধ হয়। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিপরীতার্থক শব্দ দেওয়া হলো।
-
আবাহন ↔ বিসর্জন
-
আকুঞ্চন ↔ প্রসারণ
-
সংহত ↔ বিভক্ত
-
প্রসারিত ↔ সংকুচিত
-
হত ↔ জীবিত
-
সংযত ↔ অসংযত
উৎস:

0
Updated: 1 week ago
যোজক কাকে যুক্ত করে?
Created: 5 days ago
A
পদ
B
বর্গ
C
বাক্য
D
সবগুলোই
যোজক হলো সেই শব্দ, যা পদ, বর্গ বা বাক্যকে একত্রিত করে।
যেমন—
-
এবং, ও, আর, তবু, অথবা, সুতরাং, কারণ, তবে ইত্যাদি।
যোজকের প্রকারভেদ বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী—
-
সাধারণ যোজক : দুটি শব্দ বা বাক্যকে যুক্ত করে।
যেমন: করিম ও রহিম এ কাজটি করেছে। -
বিকল্প যোজক : একাধিক শব্দ বা বাক্যের মধ্যে বিকল্প নির্দেশ করে।
যেমন: চা না-হয় কফি খান। -
বিরোধ যোজক : বাক্যের দুটি অংশের মধ্যে সংযোগ ঘটায় এবং প্রথম বাক্যের বক্তব্যের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি করে।
যেমন: তাকে আসতে বললাম, তবু এলো না। -
কারণ যোজক : বাক্যের দুটি অংশের মধ্যে সংযোগ ঘটায়, যার একটি অন্যটির কারণ নির্দেশ করে।
যেমন: বসার সময় নেই, তাই যেতে হচ্ছে। -
সাপেক্ষ যোজক : একে অপরের পরিপূরক হয়ে বাক্যে ব্যবহৃত হয়।
যেমন: যত পড়ছি, ততই নতুন করে জানছি।

0
Updated: 5 days ago
নিত্য মূর্ধন্য-ষ কোন শব্দে বর্তমান?
Created: 2 months ago
A
কষ্ট
B
উপনিষৎ
C
কল্যাণীয়েষু
D
আষাঢ়
আষাঢ় শব্দে ‘ষ’ ব্যবহারের প্রকৃতি: স্বাভাবিক প্রয়োগ বা ষ-ত্ব বিধান?
ষ-ত্ব বিধান কী?
বাংলা ভাষায় মূর্ধন্য ‘ষ’ ধ্বনি সাধারণভাবে প্রচলিত নয়। দেশি, তদ্ভব ও বিদেশি শব্দে ‘ষ’ লেখা হয় না। তবে কিছু তৎসম শব্দে মূর্ধন্য-ষ অপরিহার্য হয়ে ওঠে। এসব ক্ষেত্রে ‘ষ’ ব্যবহারের নির্দিষ্ট নিয়মকেই বলা হয় ষ-ত্ব বিধান।
‘ষ’ ব্যবহারের প্রধান নিয়মাবলি:
১. ঋ অথবা ঋ-কার যুক্ত শব্দে সাধারণত ‘ষ’ হয়। যেমন: ঋষি, উৎকৃষ্ট, কৃষক।
২. ট-বর্গীয় ধ্বনি থাকলে তার সাথে ‘ষ’ ব্যবহৃত হয়। উদাহরণ: কষ্ট, নষ্ট, স্পষ্ট, কাষ্ঠ, ওষ্ঠ।
৩. অ ও আ ব্যতীত অন্য স্বরধ্বনি, এবং ক কিংবা র-এর পরে প্রত্যয়ের ‘স’ → ‘ষ’ হয়। যেমন: ভবিষ্যৎ, মুমূর্ষু, চিকীর্ষা, চক্ষুষ্মান।
৪. ই-কারান্ত ও উ-কারান্ত উপসর্গযুক্ত কিছু ধাতুর ক্ষেত্রে ‘স’ পরিবর্তিত হয়ে ‘ষ’ হয়। যেমন: অভিষেক (অভি + সেক), সুষুপ্ত (সু + সুপ্ত), অনুষঙ্গ, সুষমা।
৫. তৎসম শব্দে ‘র’-এর পর অনেক সময় ‘ষ’ হয়। উদাহরণ: বর্ষা, বর্ষণ, ঘর্ষণ।
৬. কিছু শব্দে স্বভাবগতভাবেই মূর্ধন্য ‘ষ’ ব্যবহৃত হয়। যেমন: আষাঢ়, ঊষা, রোষ, কোষ, ভাষণ, পৌষ, ষড়ঋতু।
যেসব ক্ষেত্রে ষ-ত্ব বিধান কার্যকর নয়:
-
বিদেশি শব্দ, যেমন আরবি, ফারসি, ইংরেজি থেকে আগত শব্দে ‘ষ’ হয় না। উদাহরণ: মাস্টার, পোশাক, পোস্ট, জিনিস।
-
‘সাৎ’ প্রত্যয়যুক্ত সংস্কৃত শব্দেও সাধারণত ‘ষ’ ব্যবহৃত হয় না। যেমন: অগ্নিসাৎ, ধূলিসাৎ, ভূমিসাৎ।
উপসংহার:
তৎসম শব্দে সঠিক বানান নির্ধারণে মূর্ধন্য-ষ ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই নিয়মগুলো জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন আষাঢ় শব্দে 'ষ' স্বভাবতই ব্যবহার হয়েছে—এটি ষ-ত্ব বিধান অনুযায়ী নয়, বরং ব্যতিক্রমধর্মী একটি শব্দের উদাহরণ।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৯ সংস্করণ

0
Updated: 2 months ago