জিংক ধাতুর আকরিক কোনটি?
A
ক্যালামাইন
B
চালকোসাইট
C
গ্যালেনা
D
সিন্নাবার
উত্তরের বিবরণ
আকরিক:
-
'ক্যালামাইন' হলো জিংক ধাতুর আকরিক।
-
সকল খনিজ পদার্থ থেকে লাভজনকভাবে ধাতু বা অধাতু আহরণ সম্ভব হয় না।
-
খনিতে যে সকল যৌগিক পদার্থ থেকে ধাতু বা অধাতু লাভজনকভাবে নিস্কাশন করা যায়, তাদেরকে আকরিক বলা হয়।
-
খনিতে আকরিক সাধারণত বালি, পাথর, কাদামাটি ও অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় পদার্থের সঙ্গে মিশ্রিত অবস্থায় থাকে; এগুলোকে অপদ্রব্য বা ভেজাল বলা হয়।
-
এই অপদ্রব্যগুলোকে খনিজমল বলা হয়।
উৎস: রসায়ন প্রথম পত্র, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে একটি ধাতুর উপর অন্য একটি ধাতুর প্রলেপ দেয়ার প্রক্রিয়াকে কী বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
পেইন্টিং
B
ভলকানাইজিং
C
গ্যালভানাইজিং
D
ইলেকট্রোপ্লেটিং
ইলেকট্রোপ্লেটিং হলো সেই প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি ধাতুর উপর অন্য ধাতুর প্রলেপ তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতি ব্যবহার করে দেওয়া হয়।
-
ইলেকট্রোপ্লেটিংয়ে ধাতু যার প্রলেপ পাবে তাকে ব্যাটারির ধনাত্মক প্রান্তের সাথে যুক্ত করা হয়।
-
ধাতু যার উপর প্রলেপ দেওয়া হবে, তা ব্যাটারির ঋণাত্মক প্রান্তের সাথে যুক্ত করা হয়।
-
এরপর তড়িৎ বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রলেপ স্থাপন করা হয়।
গ্যালভানাইজিং হলো সেই প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ধাতুর উপর জিংকের প্রলেপ দেওয়া হয়, যার জন্য তড়িৎ বিশ্লেষণের প্রয়োজন নেই।
ভলকানাইজিং হলো রাবারকে শক্তিশালী ও টেকসই করার জন্য সালফার মিশিয়ে প্রক্রিয়াজাত করা।
পেইন্টিং হলো ধাতব পদার্থের ক্ষয় রোধ করতে রং দেওয়ার প্রক্রিয়া।
0
Updated: 1 month ago
সবচেয়ে হালকা ধাতু কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
লিথিয়াম
B
ওসমিয়াম
C
কপার
D
তামা
উ. ক) লিথিয়াম
সবচেয়ে হালকা ধাতু হলো লিথিয়াম (Lithium)। এটি পর্যায় সারণির প্রথম গ্রুপের উপাদান, অর্থাৎ ক্ষার ধাতু (Alkali Metal) শ্রেণিভুক্ত। এর পারমাণবিক সংখ্যা ৩ এবং প্রতীক Li।
লিথিয়াম সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো—
-
এটি সবচেয়ে হালকা কঠিন ধাতু, যার ঘনত্ব মাত্র ০.৫৩৪ গ্রাম/ঘনসেন্টিমিটার, অর্থাৎ এটি পানির ওপর ভেসে থাকতে পারে।
-
এটি রঙে রূপালি-সাদা এবং খুবই নরম ধাতু, যা ছুরি দিয়ে সহজেই কাটা যায়।
-
লিথিয়াম অত্যন্ত বিক্রিয়াশীল; বাতাসে অক্সিজেন ও আর্দ্রতার সংস্পর্শে এলে দ্রুত অক্সাইড বা হাইড্রোক্সাইড তৈরি করে। তাই এটি সাধারণত কেরোসিন তেলে সংরক্ষণ করা হয়।
-
এটি ব্যাটারি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি, যা মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, বৈদ্যুতিক গাড়ি ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়।
-
লিথিয়াম যৌগ ওষুধ শিল্পেও ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে মানসিক রোগের চিকিৎসায় (bipolar disorder)।
অন্য বিকল্পগুলো সম্পর্কে—
-
ওসমিয়াম (Osmium) পৃথিবীর অন্যতম ভারী ধাতু, হালকা নয়।
-
কপার (Copper) এবং তামা (Copper) একই ধাতু, যা তুলনামূলকভাবে ভারী এবং পরিবাহিতা বেশি হলেও হালকা নয়।
অতএব, প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে সবচেয়ে হালকা ধাতু হলো লিথিয়াম (Lithium), এবং সঠিক উত্তর ক) লিথিয়াম।
0
Updated: 3 weeks ago
ক্ষার ধাতু পর্যায় সারণির কোন গ্রুপে অবস্থিত?
Created: 2 months ago
A
গ্রুপ-1
B
গ্রুপ-2
C
গ্রুপ-11
D
গ্রুপ-17
ক্ষার ধাতু হলো পর্যায় সারণিতে গ্রুপ-1-এ হাইড্রোজেন ব্যতীত অবস্থিত মৌলসমূহ। উদাহরণস্বরূপ Li, Na, K, Rb প্রত্যেকটি ক্ষার ধাতু। এদের বৈশিষ্ট্য হলো:
-
প্রত্যেকটি পানির সঙ্গে বিক্রিয়া করে হাইড্রোজেন গ্যাস এবং ক্ষার উৎপন্ন করে।
-
এরা একটি মাত্র ইলেকট্রন দান করে ধনাত্মক একযোজী আয়নে পরিণত হয়।
-
আয়নিক বন্ধনের মাধ্যমে যৌগ গঠন করতে সক্ষম।
মৃৎক্ষার ধাতু হলো পর্যায় সারণিতে গ্রুপ-2-এ অবস্থিত মৌলসমূহ। উদাহরণ: Be, Mg, Ca, Sr। এদের বৈশিষ্ট্য হলো:
-
ক্ষার ধাতুর মতোই তড়িৎ ধনাত্মক মৌল।
-
দুটি ইলেকট্রন দান করে দ্বিধনাত্মক আয়নে পরিণত হয়।
-
অক্সিজেনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অক্সাইড যৌগ গঠন করে।
-
এদের অক্সাইড পানিতে দ্রবীভূত হয়ে ক্ষারীয় দ্রবন তৈরি করে।
-
মাটিতে বিভিন্ন যৌগ হিসেবে উপস্থিত থাকায় এদের মৃৎক্ষার ধাতু বলা হয়।
মুদ্রা ধাতু হলো পর্যায় সারণিতে গ্রুপ-11-এ থাকা তিনটি মৌল: কপার বা তামা (Cu), রূপা (Ag) এবং সোনা (Au)। এদের বৈশিষ্ট্য হলো:
-
অত্যন্ত উজ্জ্বল ধাতব স্বভাব।
-
বর্তমানে সংকর ধাতুর তৈরি মুদ্রা প্রচলিত রয়েছে।
0
Updated: 2 months ago