সাবানায়ন প্রক্রিয়ায় সাবান থেকে গ্লিসারিন আলাদা করতে কোন পদার্থ যোগ করা হয়?
A
KOH
B
HCl
C
NaCl
D
CH3COOH
উত্তরের বিবরণ
সাবান:
-
সাধারণত সাবান হলো উচ্চতর ফ্যাটি অ্যাসিডের সোডিয়াম লবণ (R-COONa) বা উচ্চতর ফ্যাটি অ্যাসিডের পটাশিয়াম লবণ (R-COOK)।
-
এখানে, R হলো অ্যালকাইল মূলক এবং এর সাধারণ সংকেত CₙH₂ₙ₊₁, যেখানে n = 12 থেকে 18।
-
উদাহরণ: সোডিয়াম স্টিয়ারেট সাবানের সংকেত C17H35COONa এবং পটাশিয়াম স্টিয়ারেট সাবানের সংকেত C17H35COOK।
-
-
তেল বা চর্বির সঙ্গে সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড বা পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড বিক্রিয়ায় সাবান ও গ্লিসারিন তৈরি হয়।
-
সাবান ও গ্লিসারিন তৈরির এই প্রক্রিয়াকে সাবানায়ন বলা হয়।
-
সাবানায়ন প্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত সাবান ও গ্লিসারিনের মিশ্রণে NaCl যোগ করলে, গ্লিসারিন পাত্রের নিচে অবস্থান করে এবং সাবানের অণুগুলো NaCl কে ঘিরে একত্র হয়ে পাত্রের উপরের দিকে কেকের আকারে ভেসে ওঠে, যাকে সোপ কেক বলা হয়।
-
সোপ কেককে ছাঁকনি ব্যবহার করে ছেঁকে পৃথক করে বিভিন্ন আকৃতির ছাঁচে ঢেলে বিভিন্ন আকৃতির সাবান তৈরি করা হয়।
-
সাবান হলো একটি পরিষ্কারক দ্রব্য, যা তেল বা চর্বি এবং ক্ষার থেকে প্রস্তুত হয়।
-
ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে সাবানকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা যায়:
১. প্রসাধনী সাবান
২. লন্ড্রি সাবান

0
Updated: 1 day ago
ক্ষারীয় দ্রবণকে কীভাবে শনাক্ত করা যায়?
Created: 1 week ago
A
এটি লাল লিটমাস কাগজকে নীল করে
B
এটি নীল লিটমাস কাগজকে লাল করে
C
এটি হলুদ লিটমাস কাগজকে বাদামী করে
D
এটি সবুজ লিটমাস কাগজকে কালো করে
ক্ষারীয় দ্রবণ ও তার প্রকারভেদ:
-
ক্ষারীয় (Alkaline) দ্রবণ:
-
জলীয় দ্রবণ যার pH ৭-এর উপরে থাকে।
-
উদাহরণ: সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NaOH), পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড (KOH)।
-
বৈশিষ্ট্য: লাল লিটমাস কাগজকে নীল রঙে পরিবর্তন করে।
-
-
ক্ষার (Alkali):
-
ধাতু বা ধাতুর ন্যায় ক্রিয়াশীল যৌগমূলকের যে সব হাইড্রোক্সাইড পানিতে দ্রবণীয় তাদেরকে ক্ষার বলে।
-
জলীয় দ্রবণে হাইড্রোক্সিল আয়ন (OH⁻) প্রদান করে।
-
লাল লিটমাসকে নীল করে এবং স্পর্শ করলে সাবানের ন্যায় পিচ্ছিল মনে হয়।
-
এসিডকে প্রশমিত করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে।
-
-
মৃদু ক্ষার (Weak Alkali):
-
আংশিকভাবে আয়নিত হয়।
-
উদাহরণ: অ্যামোনিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NH₄OH), Fe(OH)₂, Fe(OH)₃, Al(OH)₃।
-
পানিতে আংশিক দ্রবণীয়।
-
-
তীব্র ক্ষার (Strong Alkali):
-
সম্পূর্ণভাবে আয়নিত হয়।
-
উদাহরণ: NaOH, KOH, Ca(OH)₂।
-
পানিতে সম্পূর্ণ দ্রবণীয়।
-

0
Updated: 1 week ago
মৃৎক্ষার ধাতু কোনটি?
Created: 3 days ago
A
Li
B
Na
C
Ca
D
Ag
পর্যায় সারণিতে মৌলসমূহকে তাদের গঠন ও রাসায়নিক ধর্ম অনুযায়ী বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে, যেমন ক্ষার ধাতু, মৃৎক্ষার ধাতু ও মুদ্রা ধাতু।
ক্ষার ধাতু (Alkali Metals)
-
পর্যায় সারণিতে গ্রুপ-1 এ অবস্থিত হাইড্রোজেন ব্যতীত সমস্ত মৌল ক্ষার ধাতু হিসেবে পরিচিত।
-
উদাহরণ: Li, Na, K, Rb।
-
এদের বিশেষ ধর্ম হলো, পানির সাথে বিক্রিয়ায় হাইড্রোজেন গ্যাস ও ক্ষার উৎপন্ন করা।
-
প্রতিটি মৌল একটি মাত্র ইলেকট্রন দান করে ধনাত্মক একযোজী আয়নে পরিণত হয় এবং আয়নিক বন্ধনের মাধ্যমে যৌগ গঠন করে।
মৃৎক্ষার ধাতু (Alkaline Earth Metals)
-
পর্যায় সারণিতে গ্রুপ-2 এ থাকা মৌলগুলোকে মৃৎক্ষার ধাতু বলা হয়।
-
উদাহরণ: Be, Mg, Ca, Sr।
-
এরা তড়িৎ ধনাত্মক মৌল, তবে প্রতিটি দুটি ইলেকট্রন দান করে দ্বিধনাত্মক আয়নে পরিণত হয়।
-
অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হয়ে অক্সাইড যৌগ গঠন করে এবং এদের অক্সাইড পানিতে দ্রবীভূত হয়ে ক্ষারীয় দ্রবণ উৎপন্ন করে।
-
এদের নামকরণ হয়েছে কারণ প্রকৃতিতে এরা বিভিন্ন যৌগ হিসেবে মাটিতে পাওয়া যায়।
মুদ্রা ধাতু (Coinage Metals)
-
পর্যায় সারণির গ্রুপ-11 এর মাত্র তিনটি মৌলকে মুদ্রা ধাতু বলা হয়।
-
উদাহরণ: কপার (Cu), রুপা (Ag), সোনা (Au)।

0
Updated: 3 days ago