দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গের মধ্যে কোন রঙের বিচ্যুতি ও প্রতিসরণ সবচেয়ে কম?
A
সবুজ
B
লাল
C
বেগুনি
D
কমলা
উত্তরের বিবরণ
দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ:
-
দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ হলো তাড়িতচৌম্বকীয় বর্ণালির অতিবেগুনি রশ্মির পরের সেই ক্ষুদ্র অংশ, যা আমাদের চোখে দৃশ্যমান হয়।
-
এই তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রায় 4×10⁻⁷ m থেকে 7×10⁻⁷ m পর্যন্ত বিস্তৃত। এই পরিসরের বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের জন্য আলোর বিভিন্ন বর্ণ দেখা যায়।
-
আলোর বর্ণগুলো হলো: বেগুনি, নীল, আসমানী, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল।
-
এদের মধ্যে বেগুনি আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম এবং লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি।
-
যেই বর্ণের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বেশি, তার প্রতিসরণ, বিচ্যুতি ও বিক্ষেপণ তত কম।
-
বেগুনি আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম হওয়ায় এর বিক্ষেপণ, প্রতিসরণ ও বিচ্যুতি সবচেয়ে বেশি।
-
লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি হওয়ায় এর বিক্ষেপণ, প্রতিসরণ ও বিচ্যুতি সবচেয়ে কম।
0
Updated: 1 month ago
কোন শব্দ শোনার পরে কত সেকেন্ড পর্যন্ত এর রেশ আমাদের মাস্তিস্কে থাকে?
Created: 3 weeks ago
A
১ সেকেন্ড
B
০.১ সেকেন্ড
C
০.০১ সেকেন্ড
D
০.০০১ সেকেন্ড
যখন আমরা কোনো শব্দ শুনি, তা কানে প্রবেশ করে শ্রবণ স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কে পৌঁছায় এবং সেখানে এক ক্ষণস্থায়ী প্রভাব বা রেশ রেখে যায়। এই ক্ষণস্থায়ী শব্দরেশকে বলা হয় শ্রুতিস্মৃতি (Auditory memory) বা Echoic memory। এটি মানুষের সংবেদী স্মৃতির (sensory memory) একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
এটি বোঝার জন্য নিচের দিকগুলো লক্ষ্য করা যায়—
শব্দের রেশ বা শ্রুতিস্মৃতি অত্যন্ত অল্প সময়ের জন্য স্থায়ী হয়। সাধারণভাবে, আমরা কোনো শব্দ শোনার পর তার প্রতিধ্বনি বা অনুভূতি প্রায় ০.১ সেকেন্ড পর্যন্ত মস্তিষ্কে টিকে থাকে। এরপর সেই শব্দের ধ্বনি বিলীন হয়ে যায়, যদিও তাৎক্ষণিকভাবে পরবর্তী শব্দের সঙ্গে মিলিয়ে আমরা অর্থ উপলব্ধি করতে পারি।
এই সময়কালকে বলা হয় Echoic storage duration। গবেষণায় দেখা যায়, এই সময় এতটাই সংক্ষিপ্ত যে এটি আমাদের শ্রবণ প্রক্রিয়ায় ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে, যাতে আমরা একেকটি শব্দকে আলাদা না করে একটি বাক্য বা সুর হিসেবে গ্রহণ করতে পারি।
যদি শব্দরেশ ১ সেকেন্ড স্থায়ী হতো, তাহলে একাধিক শব্দ একত্রে মিশে যেত এবং আমরা স্পষ্টভাবে ভাষা বুঝতে পারতাম না। আবার ০.০১ বা ০.০০১ সেকেন্ডের মতো খুবই স্বল্প সময় হলে ধারাবাহিক শব্দ শুনে অর্থ গঠন সম্ভব হতো না। তাই প্রকৃত সময়কাল প্রায় ০.১ সেকেন্ড হিসেবেই গ্রহণযোগ্য।
এই প্রক্রিয়া শ্রবণেন্দ্রিয় কর্টেক্সে (auditory cortex) ঘটে, যা মস্তিষ্কের টেম্পোরাল লোব-এ অবস্থিত। এখানেই শব্দের তরঙ্গ প্রক্রিয়াজাত হয়ে তাৎক্ষণিক স্মৃতিতে রূপ নেয় এবং পরবর্তী বিশ্লেষণের জন্য পাঠানো হয়।
অতএব, শব্দ শোনার পর তার রেশ বা প্রতিধ্বনি মানুষের মস্তিষ্কে আনুমানিক ০.১ সেকেন্ড পর্যন্ত স্থায়ী থাকে, এরপর তা মুছে যায় বা অন্য শব্দ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়।
সুতরাং সঠিক উত্তর হলো খ) ০.১ সেকেন্ড।
0
Updated: 3 weeks ago
তাপ তরঙ্গ আকারে সঞ্চালিত হয় কোন প্রক্রিয়ায়?
Created: 2 months ago
A
বিকিরণ
B
পরিচলন
C
রাসায়নিক
D
পরিবহন
তাপ বিকিরণ হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে সূর্যসহ যেকোনো উত্তপ্ত বস্তু মাধ্যম ছাড়াই তাপ ছড়িয়ে দেয়। এ প্রক্রিয়ায় তাপ তরঙ্গ আকারে সঞ্চালিত হয় এবং গরম স্থান থেকে ঠাণ্ডা স্থানে পৌঁছে যায়।
-
সূর্য হলো তাপের প্রধান উৎস।
-
সূর্য থেকে তাপ পৃথিবীতে আসে বিকিরণের মাধ্যমে।
-
যেখানে কোনো জড় মাধ্যম নেই, সেখানে তাপ সঞ্চালনের একমাত্র উপায় হলো বিকিরণ।
-
তাপ মূলত এক ধরনের তরঙ্গ, যা মাধ্যম ছাড়াই উত্তপ্ত স্থান থেকে শীতল স্থানে যেতে সক্ষম।
-
বিকিরণ প্রক্রিয়ার সময় তাপ তরঙ্গ আকারে ছড়িয়ে পড়ে।
-
যেকোনো উত্তপ্ত বস্তু বিকিরণ পদ্ধতিতে তাপ নির্গত করে।
-
কিছু পদার্থ সহজে তাপ বিকিরণ করতে পারে, এদেরকে বলা হয় বিকিরক। বিকিরক পদার্থ তাপ বিকিরণ করে ঠাণ্ডা হতে থাকে এবং একই সঙ্গে তাপ শোষণও করতে পারে।
-
আবার কিছু পদার্থ তাপ সহজে শোষণ করে নেয়, এদেরকে বলা হয় শোষক। শোষক পদার্থ তাপ শোষণ করে উত্তপ্ত হয়।
-
পানি, জলীয় বাষ্প, কার্বন ডাই-অক্সাইড, মিথেন, কাঁচ, প্লাস্টিক ইত্যাদি পদার্থ তাপ শোষণকারী হিসেবে কাজ করে।
0
Updated: 2 months ago
মানুষের শ্রাব্যতার সীমা কোন কম্পাঙ্কের মধ্যে?
Created: 2 months ago
A
10 Hz – 10,000 Hz
B
100 Hz – 30,000 Hz
C
50 Hz – 15,000 Hz
D
20 Hz – 20,000 Hz
শ্রাব্যতার সীমা, শব্দেতর ও শব্দোত্তর তরঙ্গ
শব্দের উৎস:
শব্দের উৎস হলো যেকোনো বস্তুর কম্পন।
শ্রাব্যতার সীমা:
কম্পন হলেই শব্দ শোনা যাবে তা নয়। মানুষের শ্রবণযন্ত্রের সীমাবদ্ধতা থাকে।
মানুষ সাধারণত ২০ Hz থেকে ২০,০০০ Hz কম্পাঙ্কের শব্দ শুনতে পারে।
এই সীমার মধ্যে থাকা শব্দকে বলা হয় শ্রাব্য শব্দ।
শব্দেতর ও শব্দোত্তর তরঙ্গ:
শব্দেতর তরঙ্গ (Infrasonic Wave): ২০ Hz-এর নিচের কম্পাঙ্কের তরঙ্গ।
শব্দোত্তর তরঙ্গ (Ultrasonic Wave): ২০,০০০ Hz-এর উপরের কম্পাঙ্কের তরঙ্গ।
লক্ষণীয় বিষয়:
সব মানুষের শ্রাব্যতার ক্ষমতা সমান নয়।
ব্যক্তি ভেদে শ্রাব্যতার সীমা কিছুটা ভিন্ন হতে পারে।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 2 months ago