দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গের মধ্যে কোন রঙের বিচ্যুতি ও প্রতিসরণ সবচেয়ে কম?
A
সবুজ
B
লাল
C
বেগুনি
D
কমলা
উত্তরের বিবরণ
দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ:
-
দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ হলো তাড়িতচৌম্বকীয় বর্ণালির অতিবেগুনি রশ্মির পরের সেই ক্ষুদ্র অংশ, যা আমাদের চোখে দৃশ্যমান হয়।
-
এই তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রায় 4×10⁻⁷ m থেকে 7×10⁻⁷ m পর্যন্ত বিস্তৃত। এই পরিসরের বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের জন্য আলোর বিভিন্ন বর্ণ দেখা যায়।
-
আলোর বর্ণগুলো হলো: বেগুনি, নীল, আসমানী, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল।
-
এদের মধ্যে বেগুনি আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম এবং লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি।
-
যেই বর্ণের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বেশি, তার প্রতিসরণ, বিচ্যুতি ও বিক্ষেপণ তত কম।
-
বেগুনি আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম হওয়ায় এর বিক্ষেপণ, প্রতিসরণ ও বিচ্যুতি সবচেয়ে বেশি।
-
লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি হওয়ায় এর বিক্ষেপণ, প্রতিসরণ ও বিচ্যুতি সবচেয়ে কম।

0
Updated: 1 day ago
শব্দ তরঙ্গ কোন ধরনের তরঙ্গ?
Created: 2 weeks ago
A
আলোক তরঙ্গ
B
বেতার তরঙ্গ
C
অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ
D
অনুপ্রস্থ তরঙ্গ
তরঙ্গ হলো এমন একটি আন্দোলন যা মাধ্যমে শক্তি সঞ্চারণ করে, এবং কিছু তরঙ্গ সঞ্চারণের জন্য জড় মাধ্যমের প্রয়োজন হয়, যেগুলিকে যান্ত্রিক তরঙ্গ বলা হয়। যান্ত্রিক তরঙ্গের প্রধান দুটি ধরন রয়েছে:
-
অনুপ্রস্থ তরঙ্গ:
-
এই তরঙ্গের ক্ষেত্রে মাধ্যমের কণাগুলো স্পন্দন করে সমকোণে অগ্রসর তরঙ্গের দিকের সঙ্গে।
-
উদাহরণস্বরূপ, পানির তরঙ্গ: পানির কণাগুলো পানির তলের তুলনায় উপর-নিচে ওঠা-নামা করে, কিন্তু তরঙ্গের অগ্রগতি পানির পৃষ্ঠ বরাবর হয়।
-
অনুপ্রস্থ তরঙ্গকে আড় তরঙ্গ ও বলা হয়।
-
অন্যান্য উদাহরণ: আলোক তরঙ্গ, বেতার তরঙ্গ, পানির পৃষ্ঠের তরঙ্গ।
-
-
অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ:
-
এই ধরনের তরঙ্গের ক্ষেত্রে মাধ্যমের কণাগুলো স্পন্দন করে সমান্তরালে তরঙ্গের অগ্রগতির দিকের সঙ্গে।
-
উদাহরণস্বরূপ: স্প্রিং বা শীতল স্প্রিং-এর তরঙ্গ, শব্দ তরঙ্গ।
-

0
Updated: 2 weeks ago
তাপ তরঙ্গ আকারে সঞ্চালিত হয় কোন প্রক্রিয়ায়?
Created: 3 weeks ago
A
বিকিরণ
B
পরিচলন
C
রাসায়নিক
D
পরিবহন
তাপ বিকিরণ হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে সূর্যসহ যেকোনো উত্তপ্ত বস্তু মাধ্যম ছাড়াই তাপ ছড়িয়ে দেয়। এ প্রক্রিয়ায় তাপ তরঙ্গ আকারে সঞ্চালিত হয় এবং গরম স্থান থেকে ঠাণ্ডা স্থানে পৌঁছে যায়।
-
সূর্য হলো তাপের প্রধান উৎস।
-
সূর্য থেকে তাপ পৃথিবীতে আসে বিকিরণের মাধ্যমে।
-
যেখানে কোনো জড় মাধ্যম নেই, সেখানে তাপ সঞ্চালনের একমাত্র উপায় হলো বিকিরণ।
-
তাপ মূলত এক ধরনের তরঙ্গ, যা মাধ্যম ছাড়াই উত্তপ্ত স্থান থেকে শীতল স্থানে যেতে সক্ষম।
-
বিকিরণ প্রক্রিয়ার সময় তাপ তরঙ্গ আকারে ছড়িয়ে পড়ে।
-
যেকোনো উত্তপ্ত বস্তু বিকিরণ পদ্ধতিতে তাপ নির্গত করে।
-
কিছু পদার্থ সহজে তাপ বিকিরণ করতে পারে, এদেরকে বলা হয় বিকিরক। বিকিরক পদার্থ তাপ বিকিরণ করে ঠাণ্ডা হতে থাকে এবং একই সঙ্গে তাপ শোষণও করতে পারে।
-
আবার কিছু পদার্থ তাপ সহজে শোষণ করে নেয়, এদেরকে বলা হয় শোষক। শোষক পদার্থ তাপ শোষণ করে উত্তপ্ত হয়।
-
পানি, জলীয় বাষ্প, কার্বন ডাই-অক্সাইড, মিথেন, কাঁচ, প্লাস্টিক ইত্যাদি পদার্থ তাপ শোষণকারী হিসেবে কাজ করে।

0
Updated: 3 weeks ago
স্থির তরঙ্গে পরপর দুটো সুস্পন্দ বিন্দু বা দুটো নিস্পন্দ বিন্দুর মধ্যবর্তী দূরত্ব তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের কতগুণ হয়?
Created: 1 month ago
A
অর্ধেক
B
দ্বিগুণ
C
সমান
D
কোনোটিই নয়
স্থির তরঙ্গ (Standing Wave)
সংজ্ঞা:
দুটি সমান মাত্রার অগ্রগামী তরঙ্গ বিপরীত দিকে অগ্রসর হয়ে একে অপরের উপর আপতিত হলে যে তরঙ্গের সৃষ্টি হয়, তাকে স্থির তরঙ্গ বলা হয়।
উদ্ভব:
একটি তার বা মোটা দড়ির এক প্রান্ত দৃঢ়ভাবে বেঁধে অন্য প্রান্ত দোলা দিলে তরঙ্গটি তার বেয়ে অগ্রসর হয়।
বন্ধ প্রান্তে তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসে।
নতুন অগ্রগামী তরঙ্গের সঙ্গে প্রতিফলিত তরঙ্গ আপতিত হলে স্থির তরঙ্গ উদ্ভব হয়।
তরঙ্গ তার বা দড়ি বেয়ে অগ্রসর হয় না, বরং তার অংশের মধ্যে উৎপন্ন ও লুপ্ত হয়।
বৈশিষ্ট্য:
১. কিছু বিন্দুতে কোনো স্পন্দন নেই → নিস্পন্দ বিন্দু (Node)
২. কিছু বিন্দুতে সর্বাধিক স্পন্দন → সুস্পন্দ বিন্দু (Antinode)
৩. নিস্পন্দ ও সুস্পন্দ বিন্দুর অবস্থান স্থির থাকে।
৪. পরপর দুটো সুস্পন্দ বিন্দু বা নিস্পন্দ বিন্দুর মধ্যে দূরত্ব = তরঙ্গদৈর্ঘ্যের অর্ধেক।
উদাহরণ:
গীটার, একতারা, সেতার ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্রের তারে স্থির তরঙ্গ উৎপন্ন হয়।

0
Updated: 1 month ago