কাঁসা গঠিত হয় কোন দুটি ধাতুর সংমিশ্রণে?
A
লোহা ও তামা
B
তামা ও দস্তা
C
টিন ও তামা
D
তামা ও নিকেল
উত্তরের বিবরণ
সংকর ধাতু হলো দুটি বা ততোধিক ধাতুর মিশ্রণে তৈরি যে কঠিন ধাতব পদার্থ, যা সমসত্ব বা অসমসত্ব মিশ্রণ আকারে থাকে। সংকর ধাতুর উদাহরণ ও বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ:
-
কাঁসা বা ব্রোঞ্জ হলো কপার (তামা) ও টিন এর সংকর ধাতু। কাঁসার মধ্যে প্রধান ধাতু কপার থাকে ৯০% এবং টিন থাকে ১০%; এজন্য কাঁসা কপারের সংকর ধাতু বলা হয়।
-
পিতল হলো তামা ও জিঙ্ক (দস্তা) এর সংকর ধাতু। পিতলের মধ্যে কপার থাকে ৬৫% এবং জিঙ্ক থাকে ৩৫%; তাই পিতলও কপারের সংকর ধাতু হিসেবে পরিচিত।
-
স্টিল মূলত লোহা এবং এতে অপ্রধান ধাতু হিসেবে কার্বন থাকে। স্টিলে লোহার পরিমাণ প্রায় ৯৯% এবং কার্বন প্রায় ১%; এজন্য স্টিলকে লোহার সংকর ধাতু বলা হয়।
0
Updated: 1 month ago
সংকর ধাতু পিতলের প্রধান উপাদান কী?
Created: 2 months ago
A
টিন
B
কপার
C
কার্বন
D
জিংক
• সংকর ধাতু পিতলের প্রধান উপাদান কপার বা তামা।
• সংকর ধাতু:
- কতকগুলো ধাতুকে একত্রে গলানোর পর গলিত মিশ্রণকে ঠাণ্ডা করলে যে ধাতু মিশ্রণ পাওয়া যায় তাকে সংকর ধাতু বলা হয়।
• সংকর ধাতু তৈরিতে সকল ধাতুকে সমান পরিমাণে মেশানো হয় না।
- সংকর ধাতুর মধ্যে একটি থাকে প্রধান ধাতু এবং অন্য এক বা একাধিক পদার্থ থাকে অপ্রধান ধাতু বা অধাতু।
- প্রধান ধাতুর নাম অনুসারে সংকর ধাতুর নামকরণ করা হয়। যেমন- স্টিলের মধ্যে লোহা প্রধান ধাতু এবং কার্বন অপ্রধান অধাতু।
- স্টিলে লোহা থাকে 99% এবং কার্বন থাকে 1% এজন্য স্টিলকে লোহার সংকর ধাতু বলা হয়।
- কাঁসার মধ্যে প্রধান ধাতু কপার থাকে 90%, টিন থাকে 10%। এজন্য কাঁসা কপারের সংকর ধাতু।
- পিতলে প্রধান ধাতু কপার থাকে 65% এবং অপ্রধান ধাতু জিংক থাকে 35%। এজন্য পিতলও কপারের সংকর ধাতু।
- সংকর ধাতু ডুরালুমিনে কপারের পরিমাণ 4% ।
- 21 ক্যারেট ও 22 ক্যারেট স্বর্ণে খাদ হিসেবে কপার ও অন্যান্য ধাতুর পরিমাণ যথাক্রমে 8.33% ও 12.5% ।
- 24 ক্যারেট স্বর্ণে স্বর্ণের পরিমাণ 100% ।
- সংকর ধাতু মরিচাবিহীন ইস্পাতে কপার অনুপস্থিত।
- এর উপাদান গুলো হলো লোহা, ক্রোমিয়াম এবং নিকেল। অর্থাৎ এতে কপার বা অন্য কোনো খাদ থাকে না।

তথ্যসূত্র:
- মাধ্যমিক রসায়ন, ৯ম ও ১০ম শ্রেণি।
0
Updated: 2 months ago
সবচেয়ে হালকা ধাতু কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
লিথিয়াম
B
ওসমিয়াম
C
কপার
D
তামা
উ. ক) লিথিয়াম
সবচেয়ে হালকা ধাতু হলো লিথিয়াম (Lithium)। এটি পর্যায় সারণির প্রথম গ্রুপের উপাদান, অর্থাৎ ক্ষার ধাতু (Alkali Metal) শ্রেণিভুক্ত। এর পারমাণবিক সংখ্যা ৩ এবং প্রতীক Li।
লিথিয়াম সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো—
-
এটি সবচেয়ে হালকা কঠিন ধাতু, যার ঘনত্ব মাত্র ০.৫৩৪ গ্রাম/ঘনসেন্টিমিটার, অর্থাৎ এটি পানির ওপর ভেসে থাকতে পারে।
-
এটি রঙে রূপালি-সাদা এবং খুবই নরম ধাতু, যা ছুরি দিয়ে সহজেই কাটা যায়।
-
লিথিয়াম অত্যন্ত বিক্রিয়াশীল; বাতাসে অক্সিজেন ও আর্দ্রতার সংস্পর্শে এলে দ্রুত অক্সাইড বা হাইড্রোক্সাইড তৈরি করে। তাই এটি সাধারণত কেরোসিন তেলে সংরক্ষণ করা হয়।
-
এটি ব্যাটারি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি, যা মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, বৈদ্যুতিক গাড়ি ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়।
-
লিথিয়াম যৌগ ওষুধ শিল্পেও ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে মানসিক রোগের চিকিৎসায় (bipolar disorder)।
অন্য বিকল্পগুলো সম্পর্কে—
-
ওসমিয়াম (Osmium) পৃথিবীর অন্যতম ভারী ধাতু, হালকা নয়।
-
কপার (Copper) এবং তামা (Copper) একই ধাতু, যা তুলনামূলকভাবে ভারী এবং পরিবাহিতা বেশি হলেও হালকা নয়।
অতএব, প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে সবচেয়ে হালকা ধাতু হলো লিথিয়াম (Lithium), এবং সঠিক উত্তর ক) লিথিয়াম।
0
Updated: 3 weeks ago
ক্ষার ধাতু পর্যায় সারণির কোন গ্রুপে অবস্থিত?
Created: 2 months ago
A
গ্রুপ-1
B
গ্রুপ-2
C
গ্রুপ-11
D
গ্রুপ-17
ক্ষার ধাতু হলো পর্যায় সারণিতে গ্রুপ-1-এ হাইড্রোজেন ব্যতীত অবস্থিত মৌলসমূহ। উদাহরণস্বরূপ Li, Na, K, Rb প্রত্যেকটি ক্ষার ধাতু। এদের বৈশিষ্ট্য হলো:
-
প্রত্যেকটি পানির সঙ্গে বিক্রিয়া করে হাইড্রোজেন গ্যাস এবং ক্ষার উৎপন্ন করে।
-
এরা একটি মাত্র ইলেকট্রন দান করে ধনাত্মক একযোজী আয়নে পরিণত হয়।
-
আয়নিক বন্ধনের মাধ্যমে যৌগ গঠন করতে সক্ষম।
মৃৎক্ষার ধাতু হলো পর্যায় সারণিতে গ্রুপ-2-এ অবস্থিত মৌলসমূহ। উদাহরণ: Be, Mg, Ca, Sr। এদের বৈশিষ্ট্য হলো:
-
ক্ষার ধাতুর মতোই তড়িৎ ধনাত্মক মৌল।
-
দুটি ইলেকট্রন দান করে দ্বিধনাত্মক আয়নে পরিণত হয়।
-
অক্সিজেনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অক্সাইড যৌগ গঠন করে।
-
এদের অক্সাইড পানিতে দ্রবীভূত হয়ে ক্ষারীয় দ্রবন তৈরি করে।
-
মাটিতে বিভিন্ন যৌগ হিসেবে উপস্থিত থাকায় এদের মৃৎক্ষার ধাতু বলা হয়।
মুদ্রা ধাতু হলো পর্যায় সারণিতে গ্রুপ-11-এ থাকা তিনটি মৌল: কপার বা তামা (Cu), রূপা (Ag) এবং সোনা (Au)। এদের বৈশিষ্ট্য হলো:
-
অত্যন্ত উজ্জ্বল ধাতব স্বভাব।
-
বর্তমানে সংকর ধাতুর তৈরি মুদ্রা প্রচলিত রয়েছে।
0
Updated: 2 months ago