এমআরআই-এর পূর্ণরূপ কী?
A
Magnetic Radiation Imaging
B
Magnetic Resonance Imaging
C
Magnetic Radiation Investigation
D
Magnetic Resonance Identification
উত্তরের বিবরণ
এমআরআই হলো একটি আধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তি, যার পূর্ণরূপ ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইম্যাজিং (Magnetic Resonance Imaging)। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে শরীরের কোনো অংশ বা অঙ্গের বিস্তারিত প্রতিবিম্ব তৈরি করা হয়।
-
এমআরআই যন্ত্রে শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্র এবং রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়।
-
যন্ত্রের কাজ নিউক্লিয় চৌম্বক অনুনাদের ভৌত ও রাসায়নিক নীতির উপর নির্ভরশীল।
-
এমআরআই একটি নিরাপদ রোগ নির্ণয় পদ্ধতি, কারণ এতে এক্স-রে বা অন্য কোনো ক্ষতিকর বিকিরণ ব্যবহার করা হয় না।
-
শরীরের প্রতিটি অংশের জন্য প্রতিটি প্রতিবিম্ব একটি ফালি হিসেবে তৈরি হয়, এবং একত্রে এগুলো ঐ অংশের সম্পূর্ণ বৈশিষ্ট্য ফুটিয়ে তোলে।
-
পায়ের গোড়ালির আঘাত বা পিঠের ব্যাথার তীব্রতা নিরূপণে এমআরআই ব্যবহার করা হয়।
-
মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডের বিস্তৃত প্রতিবিম্ব তৈরিতে এমআরআই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা।
0
Updated: 1 month ago
জগদীশচন্দ্র বসু রেডিও সংকেত শনাক্তকরণের কাজে কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিলেন?
Created: 2 months ago
A
ট্রানজিস্টর
B
অর্ধপরিবাহী জাংশন
C
ক্যাপাসিটার
D
ভ্যাকুয়াম টিউব
জগদীশচন্দ্র বসু (১৮৬৫–১৯৩৭) ছিলেন একজন প্রখ্যাত ভারতীয় বিজ্ঞানী, যিনি পদার্থবিজ্ঞান এবং উদ্ভিদ শারীরিতত্ত্ব উভয় ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেছিলেন। তিনি বৈদ্যুতিক তরঙ্গ প্রেরণ ও শনাক্তকরণ এবং উদ্ভিদের উদ্দীপনার প্রতি প্রতিক্রিয়া নিয়ে যুগান্তকারী কাজ করেছেন।
-
শিক্ষা ও ক্যারিয়ার:
-
১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিজ্ঞানে অধ্যাপনা শুরু করেন।
-
গবেষণার ক্ষেত্রে বিনা তারে দূরবর্তী সংকেত প্রেরণ ও শনাক্তকরণে গুরুত্বপূর্ণ pioneering কাজ সম্পন্ন করেন।
-
-
বৈজ্ঞানিক অবদান (Physics & Radio Waves):
-
১৮৯৫ সালে প্রথমবারের মতো দূরবর্তী স্থানে বিনা তারে রেডিও তরঙ্গ প্রেরণ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেন।
-
৫ মিলিমিটার পর্যায়ে তরঙ্গদৈর্ঘ্য পরিমাপের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।
-
অর্ধপরিবাহী জাংশন ব্যবহার করে রেডিও সংকেত শনাক্তের কাজ করেন।
-
তাঁর আবিষ্কারগুলো ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যবহার না করে সর্বজনীনভাবে উন্মুক্ত রাখেন।
-
-
জীববিজ্ঞান ও উদ্ভিদ শারীরিতত্ত্ব:
-
উদ্ভিদের বৃদ্ধি পরিমাপের জন্য ক্রেস্কোগ্রাফ আবিষ্কার।
-
উদ্ভিদ কিভাবে বিভিন্ন উদ্দীপনায় সাড়া দেয় তা ব্যাখ্যা করেন।
-
উদ্দীপকের প্রতি উদ্ভিদের প্রতিক্রিয়া রাসায়নিক নয়, বৈদ্যুতিক প্রকৃতির।
-
-
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: ‘Response in the Living and Non-living’।
-
১৯১৭ সালে কলকাতায় বসু মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন উদ্ভিদ-শারীরিতত্ত্ব গবেষণার জন্য।
-
-
মৃত্যু:
-
২৩ নভেম্বর ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি পরলোকে গমন করেন।
-
সংক্ষেপে:
জগদীশচন্দ্র বসু ছিলেন পদার্থবিজ্ঞান ও উদ্ভিদ শারীরিতত্ত্বের পথপ্রদর্শক, যিনি বৈদ্যুতিক তরঙ্গ এবং উদ্ভিদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে যুগান্তকারী অবদান রেখেছেন।
0
Updated: 2 months ago
প্রকৃতিতে কত ধরনের মৌলিক বল আছে?
Created: 1 month ago
A
৪
B
৩
C
২
D
৫
বল হলো এমন একটি শারীরিক প্রক্রিয়া যা:
-
স্থির বস্তুকে গতিশীল করতে চায় বা গতিশীল বস্তুর গতিতে পরিবর্তন ঘটায়।
-
সবসময় জোড়ায় জোড়ায় ক্রিয়া করে।
-
প্রকৃতিতে চার ধরনের মৌলিক বল বিদ্যমান: মহাকর্ষ বল, তড়িৎ চৌম্বক বা বিদ্যুৎ-চৌম্বকীয় বল, দুর্বল নিউক্লীয় বল, সবল নিউক্লীয় বল।
১. মহাকর্ষ বল:
-
সকল বস্তু তাদের ভরের কারণে একে অপরকে আকর্ষণ করে।
-
উদাহরণ: গ্যালাক্সির নক্ষত্র ঘুরপাক খায়, সূর্যের চারপাশে পৃথিবী ঘোরে, পৃথিবীর চারপাশে চাঁদ ঘোরে।
-
পৃথিবীর মহাকর্ষ বলকে মধ্যাকর্ষণ বল বলা হয়।
-
এটি আমাদেরকে পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে টেনে রাখে, যার ফলে আমরা ওজনের অনুভূতি পাই।
-
যেকোনো ভরবিশিষ্ট বস্তু অন্য বস্তুকে মহাকর্ষ বল প্রয়োগ করে।
২. তড়িৎ চৌম্বক বা বিদ্যুৎ-চৌম্বকীয় বল:
-
দুটি আহিত কণা তাদের আধানের কারণে একে অপরের ওপর আকর্ষণ বা বিকর্ষণ প্রয়োগ করে।
৩. দুর্বল নিউক্লীয় বল:
-
নাম অনুসারে এটি দুর্বল, কারণ এটি তড়িৎ চৌম্বকীয় বলের তুলনায় দুর্বল, তবে মহাকর্ষ বলের তুলনায় কম নয়।
-
এটি খুবই অল্প দূরত্বে (≈ 10⁻¹⁸ m) কার্যকর হয়।
-
মহাকর্ষ এবং তড়িৎ চৌম্বকীয় বল যেকোনো দূরত্ব থেকে কাজ করতে পারে, কিন্তু দুর্বল নিউক্লীয় বলের প্রভাব সীমিত।
৪. সবল নিউক্লীয় বল:
-
এটি সৃষ্টিজগতের সবচেয়ে শক্তিশালী বল।
-
তড়িৎ চৌম্বকীয় বলের চেয়ে ≈100 গুণ শক্তিশালী, তবে কার্যকর হয় খুব অল্প দূরত্বে (≈ 10⁻¹⁵ m)।
-
সূর্য থেকে প্রাপ্ত আলো ও তাপ এই বলের কারণে তৈরি হয়।
0
Updated: 1 month ago
হিগস কণা (Higgs Boson) আবিষ্কারের জন্য কোন যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে?
Created: 2 months ago
A
লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার
B
স্পিৎজার স্পেস টেলিস্কোপ
C
হাবল স্পেস টেলিস্কোপ
D
কেপলার স্পেস অবজারভেটরি
লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার (LHC) বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী পার্টিকল অ্যাক্সিলারেটর, যা সুইজারল্যান্ড ও ফ্রান্সের সীমান্তে অবস্থিত CERN-এ স্থাপন করা হয়েছে। ২০১২ সালে এখানেই হিগস বোসনের অস্তিত্ব নিশ্চিত করা হয়, যা পদার্থবিজ্ঞানের স্ট্যান্ডার্ড মডেল এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
হিগস বোসন:
- হিগস বোসন এর স্পিন 0, তবে এর ভর আছে।
- হিগস বোসন বুঝতে হলে হিগস ক্ষেত্র সম্বন্ধে জানতে হবে।
- হিগস ক্ষেত্র একটি তাত্ত্বিক বলক্ষেত্র যা সর্বত্র ছড়িয়ে আছে।
- এই ক্ষেত্রের কাজ হলো মৌলিক কণাগুলোকে ভর প্রদান করা।
- যখন কোনো ভরহীন কণা হিগস ক্ষেত্রে প্রবেশ করে তখন তা ধীরে ধীরে ভর লাভ করে। ফলে তার চলার গতি ধীর হয়ে যায়।
- হিগস বোসনের মাধ্যমে ভর কণাতে স্থানান্ডরিত হয়।
- এই হিগস বোসন কণাই ঈশ্বর কণা ( God's Particle) নামে পরিচিত।
0
Updated: 2 months ago