মেরুদণ্ডী প্রাণী বলতে বোঝায় যে প্রাণীদের দেহে মেরুদণ্ড থাকে এবং ভিতরে অভ্যন্তরীণ কঙ্কাল বিদ্যমান থাকে।
-
এদের দেহে পাখনা বা দুই জোড়া পা থাকে এবং চোখ সাধারণত সরল প্রকৃতির।
-
মানুষ ছাড়া অধিকাংশ মেরুদণ্ডী প্রাণীর লেজ থাকে।
-
এরা শ্বাসনালীর মাধ্যমে শ্বাসপ্রক্রিয়া চালায়, যা ফুলকা বা ফুসফুসের মাধ্যমে হতে পারে।
-
মেরুদণ্ডী প্রাণীদের বৈচিত্র্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করা যায়।
শ্রেণি সমূহ:
১. স্তন্যপায়ী প্রাণী:
-
যেমন: বানর, ইঁদুর, কুকুর, বিড়াল, গরু, ছাগল। মানুষও এদের অন্তর্ভুক্ত।
-
দেহে লোম থাকে, বাচ্চা মাতৃদুগ্ধ খেয়ে বড় হয় এবং মায়েরা বাচ্চা প্রসব করে।
-
মস্তিষ্ক ও দেহের গঠন উন্নত।
২. মৎস্য প্রাণী:
-
পানিতে বাস করে, অধিকাংশের গায়ে আঁইশ থাকে যেমন: ইলিশ, রুই, কৈ; কিছু আঁইশবিহীন যেমন: মাগুর, শিং, টেংরা, বোয়াল।
-
ফুলকার সাহায্যে শ্বাসপ্রক্রিয়া করে এবং পাখনার সাহায্যে সাঁতার কাটে।
৩. পক্ষী প্রাণী:
-
যেমন: হাঁস, মুরগি, কবুতর, দোয়েল।
-
দেহ পালক দ্বারা আবৃত, যা পাখি চেনার প্রধান বৈশিষ্ট্য।
-
অধিকাংশ উড়তে পারে, তবে উটপাখি, পেঙ্গুইন ও কিছু পাখি উড়তে পারে না।
-
ডিম পাড়ে এবং ডিম থেকে বাচ্চা হয়।
৪. সরীসৃপ প্রাণী:
-
যেমন: টিকটিকি, কুমির, সাপ, গিরগিটি।
-
বুকে ভর দিয়ে চলে, আঙুলে নখ থাকে, ডিম পাড়ে এবং ডিম থেকে বাচ্চা হয়।
-
ফুসফুসের মাধ্যমে শ্বাসপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।
৫. উভচর প্রাণী:
-
যেমন: ব্যাঙ। জীবনের কিছু সময় ডাঙায় এবং কিছু সময় পানিতে থাকে।
-
দেহে লোম, আঁইশ বা পালক থাকে না, দুই জোড়া পা থাকে, পায়ের আঙুলে নখ নেই।
-
ব্যাঙাচি অবস্থায় ফুলকা এবং পরিণত অবস্থায় ফুসফুসের সাহায্যে শ্বাসপ্রক্রিয়া করে।