ভূ-ত্বকের মোট আয়তনের কত শতাংশ পাললিক শিলা দ্বারা গঠিত?
A
৫%
B
২৫%
C
৫০%
D
৭৫%
উত্তরের বিবরণ
পাললিক শিলা হলো সেই ধরনের শিলা যা পলি সঞ্চিত হয়ে গঠিত হয়। এগুলো সাধারণত স্তরীভূত এবং বিভিন্ন জীবাশ্ম ধারণ করে, তাই মানুষের দৈনন্দিন জীবনে এদের ব্যবহার ব্যাপক।
-
উদাহরণ: চুনাপাথর, বেলেপাথর, পাথুরিয়া কয়লা, সৈন্ধব লবণ, খড়িমাটি ইত্যাদি।
-
পাললিক শিলা মূলত পলল বা তলানি থেকে গঠিত, তাই এটিকে পাললিক শিলা বলা হয়।
-
শিলার পলি সাধারণত স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয়, ফলে এটিকে স্তরীভূত শিলা হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়।
-
পাললিক শিলা ভূ-ত্বকের মোট আয়তনের প্রায় ৫% গঠন করে, কিন্তু মহাদেশীয় ভূ-ত্বকের উন্মুক্ত অংশের প্রায় ৭৫% পাললিক শিলায় গঠিত।
-
প্রধান বৈশিষ্ট্য: স্তরীভূত, জীবাশ্ম বিশিষ্ট, অকেলাসিত, তরঙ্গচিহ্নযুক্ত, কোমল।
-
প্রধান প্রকারভেদ:
১. যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় গঠিত: উদাহরণ—বেলেপাথর।
২. রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় গঠিত: উদাহরণ—চুনাপাথর।
৩. জৈবিক উপায়ে গঠিত: উদাহরণ—বাংলাদেশের জামালগঞ্জের কয়লা ও গোপালগঞ্জের পিট কয়লা।
0
Updated: 1 month ago
কখনো কখনো শিলাবৃষ্টি হয়। এ ধরনের বৃষ্টির কারণ কি ?
Created: 2 weeks ago
A
মেঘের পানির কণা খুবই উত্তপ্ত হয়ে যায়
B
মেঘে পানিকণারর চেয়ে ক্লোরিনের পরিমান বেশি হয়ে গেলে
C
মেঘের পানির কণার সাথে বাতাসের ভাসমান রাসাউওনিক পদার্থের বিক্রিয়ার ফলে
D
মেঘের পানির কণা খুব ঠান্ডা হয়ে যাওয়ায়
শিলাবৃষ্টি একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, যা ঘটে বিশেষ ধরনের মেঘে—বিশেষত কিউমুলোনিম্বাস (Cumulonimbus) মেঘে। এই মেঘের অভ্যন্তরে তীব্র বায়ুপ্রবাহের কারণে পানিকণা ওপরে নিচে ঘুরতে থাকে। যখন এই পানিকণাগুলো খুব ঠান্ডা অঞ্চলে পৌঁছায়, তখন তারা বরফে পরিণত হয়। এই বরফ কণাগুলো ক্রমে বড় হতে হতে শিলা আকারে পৃথিবীতে পতিত হয়। এ কারণেই বলা হয়, শিলাবৃষ্টি ঘটে মেঘের পানিকণা খুব ঠান্ডা হয়ে যাওয়ায়।
• শিলাবৃষ্টির সৃষ্টি প্রক্রিয়া: আর্দ্র বায়ু উপরে উঠলে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা কমে যায়। এতে মেঘের ভেতর থাকা পানিকণাগুলো জমে বরফের টুকরোতে পরিণত হয়। যখন এই বরফ কণাগুলো ওজনের কারণে নিচে পড়ে, তখনই আমরা শিলাবৃষ্টি দেখি।
• তীব্র উর্ধ্বমুখী বায়ুপ্রবাহের ভূমিকা: কিউমুলোনিম্বাস মেঘে তীব্র উর্ধ্বমুখী বায়ুপ্রবাহ বরফ কণাগুলোকে বারবার উপরে নিচে ঠেলে দেয়। এতে বরফ কণাগুলোর চারপাশে আরও পানি জমে নতুন স্তর তৈরি হয়, ফলে শিলাগুলো বড় হতে থাকে।
• তাপমাত্রার প্রভাব: শিলাবৃষ্টি সাধারণত তখনই হয় যখন মেঘের উপরের অংশের তাপমাত্রা ০° সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায়। এত নিম্ন তাপমাত্রায় পানিকণা দ্রুত বরফে রূপান্তরিত হয়।
• শিলার গঠন ও আকার: প্রতিটি শিলা মূলত একাধিক বরফস্তর দ্বারা গঠিত। এতে কখনো মসৃণ আবার কখনো রুক্ষ পৃষ্ঠ দেখা যায়। শিলার আকার কয়েক মিলিমিটার থেকে কয়েক সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
• শিলাবৃষ্টির সময় ও স্থান: এটি সাধারণত গ্রীষ্মকালে বা বর্ষার শুরুতে ঘটে, যখন তাপমাত্রা হঠাৎ পরিবর্তিত হয়। বিশেষ করে উষ্ণ ও আর্দ্র এলাকায়, যেমন বাংলাদেশেও মাঝে মাঝে শিলাবৃষ্টি দেখা যায়।
• অন্য বিকল্পগুলোর ত্রুটি:
– ক) বিকল্পটি ভুল, কারণ শিলাবৃষ্টিতে মেঘের পানিকণা উত্তপ্ত নয়, বরং ঠান্ডা হয়।
– খ) বিকল্পটি অযৌক্তিক, কারণ মেঘে ক্লোরিনের উপস্থিতি নেই বা এর কোনো ভূমিকা নেই।
– গ) বিকল্পটিও ভুল, কারণ রাসায়নিক বিক্রিয়া নয়, তাপমাত্রা ও বায়ুপ্রবাহই প্রধান কারণ।
• অর্থনৈতিক প্রভাব: শিলাবৃষ্টি অনেক সময় কৃষিক্ষেত্রে ক্ষতির কারণ হয়। ফসল, ফলমূল ও গাছপালা নষ্ট হয়, এমনকি ঘরবাড়ির ছাদও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
• প্রতিরোধের উপায়: শিলাবৃষ্টির আগাম পূর্বাভাস জানার জন্য আবহাওয়া অধিদপ্তর আধুনিক রাডার ও স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ব্যবহার করে। কৃষকরা এসব তথ্য জেনে ফসল সুরক্ষার ব্যবস্থা নিতে পারেন।
সবশেষে বলা যায়, শিলাবৃষ্টি একটি স্বাভাবিক কিন্তু আকস্মিক বায়ুমণ্ডলীয় ঘটনা, যা মূলত মেঘের পানিকণার অত্যধিক ঠান্ডা হয়ে বরফে পরিণত হওয়ার ফলেই ঘটে।
0
Updated: 2 weeks ago
পৃথিবীর প্রথম পর্যায়ে সৃষ্ট শিলাকে কী বলা হয়?
Created: 2 months ago
A
জীবাশ্ম শিলা
B
পাললিক শিলা
C
আগ্নেয় শিলা
D
রূপান্তরিত শিলা
শিলা (Rocks):
-
সংজ্ঞা: ভূত্বক যেসব উপাদান দ্বারা গঠিত, তাদের সাধারণ নাম শিলা।
-
গঠন: দুই বা ততোধিক খনিজ দ্রব্যের সংমিশ্রণে শিলার সৃষ্টি হয়।
-
উদাহরণ: নুড়ি, কাঁকর, গ্রানাইট, কাদা, বালি ইত্যাদি।
-
শ্রেণীবিন্যাস (৩টি প্রধান):
১. আগ্নেয় শিলা (Igneous Rocks)
২. পাললিক শিলা (Sedimentary Rocks)
৩. রূপান্তরিত শিলা (Metamorphic Rocks)
১. আগ্নেয় শিলা (Igneous Rocks):
-
উৎপত্তি: পৃথিবীর প্রথমে গ্যাসপিণ্ড গলিত হয়ে ক্রমশ ঘনীভূত হয়। গলিত অবস্থার শিলা কঠিন হয়ে আগ্নেয় শিলা গঠন করে।
-
বৈশিষ্ট্য:
-
স্ফটিকাকার
-
অস্তরীভূত
-
কঠিন ও কম ভঙ্গুর
-
জীবাশ্ম নেই
-
অপেক্ষাকৃত ভারী
-
-
উৎপাদনের উদাহরণ: ব্যাসল্ট, গ্রানাইট
-
অন্য নাম: প্রাথমিক শিলা, অস্তরীভূত শিলা
প্রকার:
ক) বহিঃজ আগ্নেয় শিলা (Extrusive Igneous Rocks):
-
ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠের বাইরে বের হয়ে শীতল হলে গঠিত।
-
বৈশিষ্ট্য: সূক্ষ্ম দানা, গাঢ় রং।
-
উদাহরণ: ব্যাসল্ট, রায়োলাইট, অ্যান্ডিসাইট
খ) অন্তঃজ আগ্নেয় শিলা (Intrusive Igneous Rocks):
-
ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠের নিচে জমাট বাঁধলে তৈরি।
-
বৈশিষ্ট্য: স্থূল দানা, হালকা রঙ।
-
উদাহরণ: গ্রানাইট, গ্যাব্রো, ডলোরাইট, ল্যাকোলিথ, ব্যাথোলিথ, ডাইক, সিল
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি।
0
Updated: 2 months ago
ব্যাসল্ট ও গ্রানাইট কোন ধরনের শিলা?
Created: 2 months ago
A
স্তরীভূত শিলা
B
পাললিক শিলা
C
আগ্নেয় শিলা
D
রূপান্তরিত শিলা
শিলা (Rocks)
-
পৃথিবীর ভূত্বক যেসব উপাদান দ্বারা গঠিত, তাদের সাধারণ নাম শিলা।
-
ভূতত্ত্ববিদদের মতে, দুই বা ততোধিক খনিজ পদার্থের সংমিশ্রণে শিলার সৃষ্টি হয়।
-
ভূত্বক গঠনকারী সব ধরনের কঠিন ও কোমল পদার্থই শিলা।
যেমন: নুড়ি, কাঁকর, গ্রানাইট, কাদা, বালি প্রভৃতি। -
গঠনপ্রণালী অনুসারে শিলাকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়—
১) আগ্নেয় শিলা
২) পাললিক শিলা
৩) রূপান্তরিত শিলা
আগ্নেয় শিলা (Igneous Rocks)
-
পৃথিবীর জন্মের প্রাথমিক অবস্থায় এটি ছিল উত্তপ্ত গ্যাসপিণ্ড। ক্রমে তাপ বিকিরণ ঘটিয়ে এটি তরল আকার ধারণ করে। পরে আরও তাপ বিকিরণের ফলে এর উপরিভাগ শীতল ও কঠিন হয়ে যায়।
-
এভাবে গলিত অবস্থায় থেকে শীতল হয়ে যে শিলা তৈরি হয় তাকে আগ্নেয় শিলা বলে।
-
আগ্নেয় শিলা পৃথিবীর প্রথম শিলা, তাই একে প্রাথমিক শিলা-ও বলা হয়।
-
এই শিলায় কোনো স্তর নেই, তাই এর অপর নাম অস্তরীভূত শিলা।
-
আগ্নেয় শিলায় জীবাশ্ম পাওয়া যায় না।
বৈশিষ্ট্য:
১) স্ফটিকাকার
২) অস্তরীভূত
৩) কঠিন ও কম ভঙ্গুর
৪) জীবাশ্মহীন
৫) অপেক্ষাকৃত ভারী
-
ভূমিকম্প বা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সময় ভূত্বকের দুর্বল অংশে ফাটল তৈরি হলে অভ্যন্তরীণ উত্তপ্ত লাভা বেরিয়ে এসে শীতল হয়ে ব্যাসল্ট ও গ্রানাইট জাতীয় শিলার সৃষ্টি করে।
আগ্নেয় শিলার প্রকারভেদ
(ক) বহিঃজ আগ্নেয় শিলা (Extrusive Igneous Rocks):
-
ভূগর্ভস্থ উত্তপ্ত ম্যাগমা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত বা অন্য কোনো কারণে বেরিয়ে এসে শীতল হয়ে জমাট বাঁধলে বহিঃজ আগ্নেয় শিলা তৈরি হয়।
-
এদের দানা সূক্ষ্ম ও রং সাধারণত গাঢ় হয়।
-
উদাহরণ: ব্যাসল্ট, রায়োলাইট, অ্যান্ডিসাইট।
(খ) অন্তঃজ আগ্নেয় শিলা (Intrusive Igneous Rocks):
-
ভূগর্ভস্থ ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠের বাইরে না গিয়ে ভূগর্ভেই শীতল হয়ে জমাট বাঁধলে অন্তঃজ আগ্নেয় শিলা তৈরি হয়।
-
এর দানাগুলো স্থূল ও রং অপেক্ষাকৃত হালকা হয়।
-
উদাহরণ: গ্রানাইট, গ্যাব্রো, ডলোরাইট, ল্যাকোলিথ, ব্যাথোলিথ, ডাইক, সিল।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি
0
Updated: 2 months ago