মানবদেহের সংবেদী অঙ্গ নয় কোনটি?
A
চক্ষু
B
জিহ্বা
C
ত্বক
D
যকৃত
উত্তরের বিবরণ
মানবদেহের সংবেদী অঙ্গগুলি পারিপার্শ্বিক অবস্থার প্রকৃতি ও পরিবর্তন অনুধাবন করতে সক্ষম ইন্দ্রিয় সমূহকে বোঝায়, যা বিশেষ ধরনের সংবেদী কোষের সমন্বয়ে গঠিত। এই সংবেদী অঙ্গগুলো মানবদেহে মূলত পাঁচটি ইন্দ্রিয় হিসেবে পরিচিত।
-
চক্ষু: দর্শন অনুভূতি প্রদান করে।
-
কর্ণ: শ্রবণ অনুভূতি এবং ভারসাম্য রক্ষা করে।
-
নাসিকা: ঘ্রাণ অনুভূতি প্রদান করে।
-
জিহ্বা: স্বাদ অনুভূতি প্রদান করে।
-
ত্বক: স্পর্শ অনুভূতি মস্তিষ্কে প্রেরণ করে।
মানবদেহে যকৃত সংবেদী অঙ্গ নয়, এটি সংবেদী তথ্য গ্রহণে অংশগ্রহণ করে না।

0
Updated: 1 day ago
ট্রাইকোডার্মা কোন তাপমাত্রায় বংশবিস্তার করতে পারে?
Created: 1 day ago
A
৫–১০° সে.
B
৪০–৫০° সে.
C
১০–১৫° সে.
D
২৫–৩০° সে.
ট্রাইকোডার্মা এক ধরনের উপকারী ছত্রাক যা কৃষিক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি আবর্জনা থেকে সার তৈরিতে, মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে এবং উদ্ভিদকে রোগ থেকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে। এর বৈশিষ্ট্যগুলো হলো—
-
ট্রাইকোডার্মা হলো এক প্রকার অণুজীব ছত্রাক, যা মাটিতে প্রাকৃতিকভাবে বিদ্যমান থাকে।
-
ময়লা-আবর্জনার সাথে ব্যবহার করে যে সার তৈরি করা হয় তাকে ট্রাইকোডার্মা অণুজীব সার বলা হয়।
-
এটি ২৫-৩০° সে. তাপমাত্রায় বংশবিস্তার করতে পারে, ফলে উষ্ণ ও আর্দ্র পরিবেশে সহজে বৃদ্ধি পায়।
-
এর জীবনচক্র সম্পন্ন হয় বিভিন্ন পচনশীল দ্রব্য বিয়োজন করার মাধ্যমে।
-
ট্রাইকো কম্পোস্ট তৈরির ক্ষেত্রে ট্রাইকোডার্মা অত্যন্ত উপযোগী।
-
এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, এটি অন্যান্য ছত্রাক বা অণুজীবের তুলনায় কাঠের গুঁড়া কিংবা গাছের শক্ত অংশের মতো কঠিন পদার্থ বিয়োজন করতে সক্ষম।
-
মাটিতে এর কোনো নেতিবাচক প্রভাব নেই, বরং এটি পরিবেশবান্ধব।
-
এটি গাছে রোগ সৃষ্টিকারী অনেক রোগজীবাণু খেয়ে ফেলে এবং উদ্ভিদকে সুরক্ষা দেয়। এজন্য একে বলা হয় ডক্টরস ফাঙ্গাস।

0
Updated: 1 day ago
মানবদেহে কোন গ্রন্থি ইনসুলিন নিঃসরণ করে?
Created: 1 week ago
A
থাইরয়েড
B
পিটুইটারি
C
অ্যাড্রিনাল
D
অগ্ন্যাশয়
ইনসুলিন ও অগ্ন্যাশয়:
-
অগ্ন্যাশয় (Pancreas):
-
অগ্ন্যাশয়ের Islets of Langerhans-এর β-cells থেকে ইনসুলিন নিঃসৃত হয়।
-
ইনসুলিন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
-
-
ইনসুলিনের বৈশিষ্ট্য ও কাজ:
-
ইনসুলিন হলো একটি হরমোন, যা ৫১টি অ্যামাইনো অ্যাসিড নিয়ে গঠিত।
-
রক্তে থাকা গ্লুকোজকে দেহের কোষে প্রবেশে সাহায্য করে।
-
গ্লুকোজকে লিভারে গ্লাইকোজেনে রূপান্তর করে সংরক্ষণ করে।
-
শরীরে শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে।
-
ইনসুলিনের অভাব বা কার্যকারিতা হ্রাস পেলে রক্তে গ্লুকোজ বেড়ে যায়, যা ডায়াবেটিস সৃষ্টি করে।
-
ডায়াবেটিক রোগী প্রয়োজনে ইনসুলিন ইনজেকশন নেয়।
-
-
অন্যান্য গ্রন্থি:
-
পিটুইটারি গ্রন্থি: বৃদ্ধি হরমোন, TSH ইত্যাদি নিঃসরণ করে, ইনসুলিন নয়।
-
থাইরয়েড গ্রন্থি: থাইরক্সিন নিঃসরণ করে, যা বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে।
-
অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি: অ্যাড্রেনালিন নিঃসরণ করে, যা চাপের সময় শরীরকে প্রস্তুত করে।
-

0
Updated: 1 week ago
মানবদেহে লােহিত কণিকার আয়ুষ্কাল কত দিন?
Created: 3 weeks ago
A
৭ দিন
B
৩০ দিন
C
১৮০ দিন
D
উপরের কোনটিই নয়
লোহিত রক্তকণিকার আয়ু ও বৈশিষ্ট্য
মানবদেহের লোহিত রক্তকণিকা বা Red Blood Cell (RBC) বিশেষভাবে দ্বি-অবতল চাকতি আকৃতির হয়। এগুলোতে কোনো নিউক্লিয়াস থাকে না। এর ভেতরে থাকে হিমোগ্লোবিন, যার কারণে রক্তের রং লাল দেখায়।
লোহিত কণিকাগুলোকে আসলে হিমোগ্লোবিনে পূর্ণ একেকটি ভাসমান থলের মতো মনে করা যায়। এদের চ্যাপ্টা আকৃতির কারণে স্বাভাবিক আকারের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে অক্সিজেন পরিবহন করা সম্ভব হয়।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, লোহিত কণিকা বিভাজিত হতে পারে না। এগুলো সার্বক্ষণিকভাবে অস্থিমজ্জায় তৈরি হয় এবং সেখান থেকে রক্তে প্রবেশ করে।
প্রতিটি লোহিত রক্তকণিকার গড় আয়ুষ্কাল প্রায় ৪ মাস বা ১২০ দিন।
উৎস: বিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 3 weeks ago