নদী যখন সমুদ্র বা হ্রদে পতিত হয়, তখন সেই পতিত স্থানকে কী বলে?
A
দোয়াব
B
মোহনা
C
নদীগর্ভ
D
নদীসংগম
উত্তরের বিবরণ
নদী সম্পর্কিত মৌলিক ধারণা হলো নদী এবং তার সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন ভৌগোলিক উপাদান ও বৈশিষ্ট্য। নদী প্রকৃতির গুরুত্বপূর্ণ জলসম্পদ এবং মানুষের জীবন ও পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।
-
নদীর উৎস: যেখান থেকে নদী উৎপত্তি লাভ করে।
-
মোহনা: নদী যখন সমুদ্র বা হ্রদে পতিত হয়, সেই স্থানকে মোহনা বলা হয়।
-
খাঁড়ি: নদীর অধিক বিস্তৃত মোহনাকে খাঁড়ি বলা হয়।
-
দোয়াব: প্রবাহমান দুটি নদীর মধ্যবর্তী ভূমি।
-
নদীসংগম: দুই বা একাধিক নদীর মিলনস্থল।
উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য ও উপাদান:
-
উপনদী: ছোট নদী যা কোনো বড় নদীতে পতিত হয়। উদাহরণ: তিস্তা ও করতোয়া হলো যমুনার উপনদী।
-
শাখানদী: মূল নদী থেকে বের হওয়া নদী। উদাহরণ: কুমার ও গড়াই হলো পদ্মার শাখানদী।
-
নদী উপত্যকা: নদী যে খাতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়।
-
নদীগর্ভ: নদী উপত্যকার তলদেশ।
-
নদী অববাহিকা: উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত শাখা-প্রশাখাসহ যে বিস্তীর্ণ অঞ্চল দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়, সেই সমগ্র অঞ্চল।

0
Updated: 14 hours ago
পদ্মা ও মেঘনা নদী কোথায় মিলিত হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
কুষ্টিয়া
B
চাঁদপুর
C
রাজবাড়ী
D
নারায়ণগঞ্জ
পদ্মা নদী:
-
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান নদী পদ্মা।
-
এই নদী গঙ্গা নামে মধ্য হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপন্ন হয়েছে।
-
এরপর প্রথমে দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পরে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ভারতের হরিদ্বারের নিকট গঙ্গা নামে সমভূমিতে প্রবেশ করেছে।
-
গঙ্গা নদীর মূল প্রবাহ রাজশাহী জেলার দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সীমানা বরাবর এসে কুষ্টিয়ার উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
-
এরপর রাজবাড়ি জেলার গোয়ালন্দের নিকট যমুনার সাথে মিলিত হয়েছে।
-
এই মিলিত ধারা পদ্মা নামে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে চাঁদপুরে মেঘনার সাথে মিশেছে।
-
অতঃপর তিন নদীর মিলিত স্রোত মেঘনা নামে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।
-
পদ্মার শাখানদীর মধ্যে কুমার, ভৈরব, গড়াই, মাথাভাঙ্গা, ইছামতি ও আড়িয়াল খাঁ উল্লেখযোগ্য।
তথ্যসূত্র: ভূগোল ও পরিবেশ, এসএসসি প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
'চিত্রা' নদী কোন জেলায় অবস্থিত?
Created: 2 weeks ago
A
বরিশাল
B
নড়াইল
C
কিশোরগঞ্জ
D
বগুড়া
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নদীর নাম ও অবস্থান এখানে তুলে ধরা হলো, যা জাতীয় তথ্য বাতায়নের তথ্যের উপর ভিত্তি করে উল্লেখ করা হয়েছে।
-
চিত্রা নদী নড়াইল জেলায় অবস্থিত
-
আড়িয়াল খাঁ নদী মাদারীপুর জেলায়
-
চেঙি নদী খাগড়াছড়ি জেলায়
-
ভৈরব নদী ঝিনাইদহ জেলায়
-
কীর্তনখোলা নদী বরিশাল জেলায়
-
বুড়িগঙ্গা নদী ঢাকায়
-
গোমতী নদী কুমিল্লা জেলায়

0
Updated: 2 weeks ago
নদীর অধিক বিস্তৃত মোহনাকে কী বলে?
Created: 5 days ago
A
খাঁড়ি
B
দোয়াব
C
নদীর উৎস
D
নদীসংগম
নদী হলো একটি প্রাকৃতিক জলপ্রবাহ যা উঁচু স্থান থেকে সমভূমি বা নিম্নভূমির দিকে প্রবাহিত হয়ে কোনো হ্রদ, জলাধার বা সমুদ্রের সঙ্গে মিলিত হয়। নদী ভূ-প্রকৃতি, কৃষি, পরিবহন ও মানুষের জীবনযাত্রার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।
-
উঁচু পর্বত, মালভূমি বা উঁচু স্থান থেকে বৃষ্টি, প্রস্রবণ, হিমবাহ বা বরফ গলার পানির ক্ষুদ্র স্রোতধারা মিলিত হয়ে নদী গঠন করে।
-
নদীর উৎপত্তি স্থানের নাম নদীর উৎস।
-
নদী যখন কোনো হ্রদ বা সাগরে পতিত হয়, সেই স্থানকে মোহনা বলে।
-
নদীর অধিক বিস্তৃত মোহনাকে খাঁড়ি বলে।
-
প্রবাহমান দুটি নদীর মধ্যবর্তী ভূমিকে দোয়াব বলা হয়।
-
দুই বা ততোধিক নদীর মিলনস্থলকে নদীসংগম বলা হয়।
-
পর্বত বা হ্রদ থেকে উৎপন্ন ছোট নদীগুলো কোনো বড় নদীতে পতিত হলে তা বড় নদীর উপনদী বলে। উদাহরণ: বাংলাদেশের তিস্তা ও করতোয়া নদী যমুনা নদীর উপনদী।
-
মূল নদী থেকে যে সকল নদী বের হয়, তা শাখানদী নামে পরিচিত। উদাহরণ: বাংলাদেশের কুমার ও গড়াই নদী পদ্মা নদীর শাখানদী।
নদী শুধুমাত্র পানি সরবরাহের উৎস নয়, এটি মাটির উর্বরতা, মাছধরা, পরিবহন ও বানিজ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের নদীমাতৃক ভূ-প্রকৃতির কারণে নদীসমূহ দেশের অর্থনীতি, জীবন ও সংস্কৃতিতে অপরিসীম অবদান রাখে।

0
Updated: 5 days ago