'চর আলেকজান্ডার' কোন জেলায় অবস্থিত?
A
ভোলা
B
নোয়াখালী
C
রাজশাহী
D
লক্ষ্মীপুর
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের চরসমূহ হলো নদীর মাঝে বা মোহনায় পলি সঞ্চিত হয়ে জেগে ওঠা ভূখণ্ড। এই চরগুলো প্রায়শই নদীভাঙনের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং স্থানীয় মানুষের জীবন ও কৃষিকাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
লক্ষ্মীপুর জেলা: চর গজারিয়া, চর আলেকজান্ডার
-
ভোলা জেলা: চরফ্যাশন, চর মানিক, চর কুকড়ি-মুকড়ি, চর নিউটন, চর নিজাম
-
নোয়াখালী জেলা: ভাসান চর, সুবর্ণ চর, চর শ্রীজনী, চর শাহাবানী
-
ফেনী জেলা: মুহুরীর চর
-
রাজশাহী জেলা: নির্মল চর
-
সুন্দরবন: দুবলার চর, পাটনি চর
0
Updated: 1 month ago
'মরিবন্ড ডেল্টা' কোন্ এলাকাকে বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর
B
খুলনা-সাতক্ষীরা-বাগেরহাট
C
বরিশাল-পিরোজপুর-পটুয়াখালী
D
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-মহেশখালী
মরিবন্ড ডেল্টা (Moribund Delta) হলো এমন একটি নিষ্ক্রিয় বা মৃত ব’দ্বীপ, যেখানে নদী আর নতুন করে পলি (sediment) জমা করতে সক্ষম নয়। এই কারণে ডেল্টাটি ধীরে ধীরে ক্ষয়প্রাপ্ত বা অবসানমুখী অবস্থায় চলে যায়।
-
বৈশিষ্ট্য:
-
নদীর প্রবাহ দুর্বল বা পরিবর্তিত হওয়ায় নতুন পলি জমে না।
-
বিদ্যমান ভূমি ক্ষয়, ভাঙন ও নিম্নগতি দেখা যায়।
-
জলোচ্ছ্বাস বা সাগরের ঢেউ দ্বারা ক্রমে ভূমি বিলুপ্ত হতে থাকে।
-
-
উদাহরণ: বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সুন্দরবন অঞ্চলের কিছু অংশ বর্তমানে মরিবন্ড ডেল্টা হিসেবে বিবেচিত, যেখানে নদীগুলোর পলি বহনক্ষমতা কমে গেছে।
বিশ্লেষণ: প্রশ্নে প্রদত্ত বিকল্পে “ক” ও “খ” উভয়টি যুক্তিযুক্ত হতে পারে, তবে “খ” উত্তরের ব্যাখ্যা বেশি গ্রহণযোগ্য, কারণ এটি নদীর পলি জমার অক্ষমতা ও নিষ্ক্রিয়তার কারণ সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরে।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদী কোনটি?
Created: 2 months ago
A
মেঘনা
B
যমুনা
C
পদ্মা
D
কর্ণফুলী
দেশের দীর্ঘতম নদী: পদ্মা নদী
পদ্মার আরেকটি নাম কীর্তিনাশা।
-
ভারতের মধ্য হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপন্ন গঙ্গা নদী বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার উত্তরের দিকে প্রবেশ করে।
-
কুষ্টিয়া থেকে নদী প্রবাহিত হয়ে রাজশাহী অঞ্চলের কাছ দিয়ে যায়।
-
এরপর গোয়ালন্দে যমুনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে পদ্মা নামে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়।
-
চাঁদপুরের কাছে পদ্মা মেঘনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে তিন নদীর মিলিত স্রোত বঙ্গোপসাগরে প্রবাহিত হয়।
শাখা নদী:
মধুমতী, আড়িয়াল খাঁ, ভৈরব, মাথাভাঙা, কুমার, কপোতাক্ষ, শিবসা, পশুর (বা পসুর) বড়াল।
উপনদী:
মহানন্দা, ট্যাঙ্গন, পুনর্ভবা, নগর, কুলিক।
দৈর্ঘ্য ও অঞ্চল:
-
বাংলাদেশের তিনটি বিভাগের ১২টি জেলায় পদ্মা নদী প্রবাহিত।
-
নদীর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৪১ কিমি।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী: ইছামতী (৩৩৪ কিমি) এবং সাঙ্গু/শঙ্খ (২৯৪ কিমি)।
-
সবচেয়ে বেশি উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত নদী: মেঘনা (৩৬টি উপজেলা)।
-
সবচেয়ে বেশি নদ-নদী আছে: ঢাকা বিভাগ (২২২টি নদী)।
-
সবচেয়ে বেশি নদী আছে জেলায়: সুনামগঞ্জ (৯৭টি নদী)।
-
দেশের ক্ষুদ্রতম নদী: গাঙ্গিনা নদী (দৈর্ঘ্য ০.০৩২ কিমি)।
উৎস: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, SSC প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, নদী রক্ষা কমিশন।
0
Updated: 2 months ago
পদ্মা ও মেঘনা নদী কোথায় মিলিত হয়েছে?
Created: 2 months ago
A
কুষ্টিয়া
B
চাঁদপুর
C
রাজবাড়ী
D
নারায়ণগঞ্জ
পদ্মা নদী:
-
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান নদী পদ্মা।
-
এই নদী গঙ্গা নামে মধ্য হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপন্ন হয়েছে।
-
এরপর প্রথমে দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পরে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ভারতের হরিদ্বারের নিকট গঙ্গা নামে সমভূমিতে প্রবেশ করেছে।
-
গঙ্গা নদীর মূল প্রবাহ রাজশাহী জেলার দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সীমানা বরাবর এসে কুষ্টিয়ার উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
-
এরপর রাজবাড়ি জেলার গোয়ালন্দের নিকট যমুনার সাথে মিলিত হয়েছে।
-
এই মিলিত ধারা পদ্মা নামে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে চাঁদপুরে মেঘনার সাথে মিশেছে।
-
অতঃপর তিন নদীর মিলিত স্রোত মেঘনা নামে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।
-
পদ্মার শাখানদীর মধ্যে কুমার, ভৈরব, গড়াই, মাথাভাঙ্গা, ইছামতি ও আড়িয়াল খাঁ উল্লেখযোগ্য।
তথ্যসূত্র: ভূগোল ও পরিবেশ, এসএসসি প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 2 months ago