কম্পিউটার বিজ্ঞানের জনক চার্লস ব্যাবেজ কোন কোন যন্ত্রের নকশা করেছিলেন?
A
Pascaline
B
Analytical Engine
C
Difference Engine
D
খ ও গ উভয়ই
উত্তরের বিবরণ
চার্লস ব্যাবেজ (Charles Babbage) কম্পিউটিং ইতিহাসের একজন প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব, যাকে সাধারণত "কম্পিউটারের জনক" বলা হয়। তিনি দুটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রের ডিজাইন তৈরি করেছিলেন: ডিফারেন্স ইঞ্জিন (Difference Engine) এবং অ্যানালিটিক ইঞ্জিন (Analytical Engine)। এই যন্ত্রগুলো আধুনিক কম্পিউটারের প্রাথমিক ধারণার ভিত্তি স্থাপন করে।
-
চার্লস ব্যাবেজ ছিলেন গণিতবিদ, দার্শনিক, আবিষ্কারক ও যন্ত্র প্রকৌশলী।
-
তাঁকে কম্পিউটারের জনক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
-
ডিফারেন্স ইঞ্জিন একটি যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর, যা গাণিতিক সারণী তৈরিতে ব্যবহৃত হতো।
-
অ্যানালিটিক ইঞ্জিন একটি প্রোগ্রামযোগ্য যন্ত্র, যা লজিক্যাল অপারেশন এবং ডেটা প্রসেসিং করতে সক্ষম ছিল। এটি আধুনিক কম্পিউটারের ধারণার ভিত্তি তৈরি করে।
-
প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে তাঁর উদ্ভাবিত যন্ত্রসমূহ তখনকার সময়ে কার্যকরভাবে কাজ করতে পারেনি।
-
১৯৯১ সালে ব্যাবেজের ডিজাইন অনুসারে একটি কার্যকর যন্ত্র সফলভাবে তৈরি করা হয়।
-
চার্লসের দুইটি ইঞ্জিনই গণনার কাজ করতে সক্ষম ছিল।
-
Pascaline হলো ব্লেইস প্যাসকালের (Blaise Pascal) তৈরি একটি ক্যালকুলেটিং মেশিন, যা ডিফারেন্স ইঞ্জিনের পূর্বসূরী হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 1 month ago
প্রথম সংরক্ষিত প্রোগ্রাম বিশিষ্ট ইলেকট্রনিক কম্পিউটারের নাম কী?
Created: 1 month ago
A
EDSAC
B
ABC
C
ENIAC
D
UNIVAC
EDSAC (Electronic Delay Storage Automatic Calculator) প্রথম সংরক্ষিত প্রোগ্রাম বিশিষ্ট ইলেকট্রনিক কম্পিউটার হিসেবে পরিচিত। এটি ১৯৪৯ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি হয় এবং প্রোগ্রামকে মেমরিতে সংরক্ষণ করতে সক্ষম ছিল, ফলে কোড পুনরায় ব্যবহারযোগ্য এবং সহজে পরিবর্তনযোগ্য হতো। EDSAC-এর মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা জটিল গণনা দ্রুত করতে পারতেন, যা আগের মেশিনগুলোর তুলনায় অনেক উন্নত। অন্যদিকে, ENIAC ও UNIVAC প্রধানত প্রি-প্রোগ্রামড বা সরাসরি সেটআপের ওপর নির্ভরশীল ছিল, আর ABC প্রাথমিক পর্যায়ের কম্পিউটার হিসেবে পরিচিত। সুতরাং সংরক্ষিত প্রোগ্রাম ধারণের ক্ষেত্রে EDSAC ছিল পথপ্রদর্শক।
-
EDSAC:
-
প্রথম সংরক্ষিত প্রোগ্রাম বিশিষ্ট ইলেকট্রনিক কম্পিউটার।
-
পূর্ণরূপ: Electronic Delay Storage Automatic Calculator।
-
নির্মিত: ১৯৪৯ সালে।
-
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গাণিতিক গবেষণার অধ্যাপক মার্কস উইলকিস এর নেতৃত্বে একটি দল EDSAC আবিষ্কার করেন।
-
-
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কম্পিউটার:**
-
UNIVAC ⇒ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে তৈরি প্রথম ইলেকট্রনিক কম্পিউটার।
-
EDSAC ⇒ প্রথম সংরক্ষিত প্রোগ্রাম বিশিষ্ট ইলেকট্রনিক কম্পিউটার।
-
Mark-I ⇒ পৃথিবীর প্রথম ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল কম্পিউটার।
-
ABC ⇒ প্রথম ইলেকট্রনিক কম্পিউটার।
-
ENIAC ⇒ প্রথম প্রজন্মের ডিজিটাল কম্পিউটার।
-
0
Updated: 1 month ago
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সাধারণত কোন কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়?
Created: 2 months ago
A
সুপারকম্পিউটার
B
মেইনফ্রেম
C
মিনি কম্পিউটার
D
মাইক্রোকম্পিউটার
আবহাওয়ার পূর্বাভাস তৈরির জন্য প্রচুর পরিমাণ ডেটা যেমন বায়ুমণ্ডলীয় তথ্য, মহাসাগরের স্রোত, স্যাটেলাইট ইমেজ এবং জটিল গাণিতিক মডেল প্রক্রিয়াজাত করতে হয়। এই কাজের জন্য অত্যন্ত দ্রুত প্রসেসিং ক্ষমতা এবং বৃহৎ স্টোরেজ ক্যাপাসিটি প্রয়োজন। সুপারকম্পিউটার একসাথে কোটি কোটি গণনা সম্পন্ন করতে পারে এবং জটিল মডেল চালিয়ে স্বল্প সময়ে সঠিক পূর্বাভাস তৈরি করতে সক্ষম।
-
সুপারকম্পিউটার হলো সবচেয়ে শক্তিশালী, ব্যয়বহুল এবং দ্রুতগতিসম্পন্ন কম্পিউটার।
-
এটি একসাথে একাধিক ব্যবহারকারীর জন্য কাজ করতে পারে।
-
বিপুল পরিমাণ ডেটা সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত মেমোরি এবং উচ্চ ক্ষমতার প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট থাকে।
-
একাধিক প্রসেসর সমান্তরালভাবে কাজ করে এবং প্রতি সেকেন্ডে কোটি কোটি বৈজ্ঞানিক ও গাণিতিক কাজ সম্পন্ন করে।
-
এর ব্যবহার ক্ষেত্রগুলো হলো: সূক্ষ্ম বৈজ্ঞানিক গবেষণা, ডেটা বিশ্লেষণ, নভোযান ও ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, মহাকাশ গবেষণা, আগ্নেয়াস্ত্র ডিজাইন, সিমুলেশন এবং পারমাণবিক চুল্লি নিয়ন্ত্রণ।
সুপারকম্পিউটারের বৈশিষ্ট্যসমূহ:
-
বিশাল সংখ্যার প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট।
-
RAM টাইপ মেমরি ইউনিটের বৃহৎ সংগ্রহ।
-
নোডের মধ্যে উচ্চ গতির আন্তঃসংযোগ।
-
দ্রুত ইনপুট/আউটপুট সিস্টেম।
-
কাস্টম সফ্টওয়্যার ব্যবহার।
-
কার্যকর তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা।
-
বিপুল পরিমাণ গণনা পরিচালনার ক্ষমতা যা মানুষের সাধ্যের বাইরে।
0
Updated: 2 months ago
কোনটি ইনপুট ডিভাইস নয়?
Created: 2 months ago
A
ট্যাকবল
B
ডিজিটাইজার
C
লাইটপেন
D
প্লটার
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
আউটপুট ডিভাইস (Output Device)
ইনপুট ডিভাইস (Input Device)
কম্পিউটার
কম্পিউটার (Computer)
ইনপুট, আউটপুট ও ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস
১. ইনপুট ডিভাইস
সংজ্ঞা:
যে যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে আমরা কম্পিউটারকে নির্দেশ দিই বা তথ্য প্রদান করি, সেগুলো ইনপুট ডিভাইস।
-
কম্পিউটার এই ডিভাইসের মাধ্যমে ডেটা গ্রহণ করে।
উদাহরণ:
-
কীবোর্ড (Keyboard)
-
মাউস (Mouse)
-
ওএমআর (OMR)
-
ওসিআর (OCR)
-
স্ক্যানার (Scanner)
-
ট্যাকবল (Trackball)
-
জয়স্টিক (Joystick)
-
ডিজিটাইজার (Digitizer)
-
টাচ স্ক্রিন (Touch Screen)
-
লাইটপেন (Lightpen)
-
বার কোড রিডার (Bar Code Reader)
-
গ্রাফিক্স প্যাড (Graphics Pad)
-
পয়েন্ট অফ সেল (Point-of-Sale)
-
ডিজিটাল ক্যামেরা (Digital Camera)
২. আউটপুট ডিভাইস
সংজ্ঞা:
কম্পিউটারে প্রক্রিয়াজাত ডেটা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল বা তথ্য প্রদর্শন করে এমন যন্ত্রপাতি।
উদাহরণ:
-
মনিটর (Monitor)
-
প্রিন্টার (Printer)
-
প্লটার (Plotter)
-
স্পিকার (Speaker)
-
মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর (Multimedia Projector)
-
ইমেজ সেটার (Image Setter)
-
হেডফোন (Headphone)
মন্তব্য:
-
প্লটার ইনপুট ডিভাইস নয়, এটি আউটপুট ডিভাইস।
৩. ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস
সংজ্ঞা:
কিছু ডিভাইস আছে যা একই সঙ্গে ডেটা গ্রহণ ও প্রদর্শন করতে পারে।
উদাহরণ:
-
হার্ডডিস্ক
-
সিডি/ডিভিডি
-
পেনড্রাইভ
-
টাচ স্ক্রিন
0
Updated: 2 months ago