A
ব্রাজিল
B
আর্জেন্টিনা
C
পেরু
D
পানামা
উত্তরের বিবরণ
সঠিক উত্তর: পানামা।
ব্যাখ্যা:
পানামা ভৌগোলিকভাবে মধ্য আমেরিকায় অবস্থিত, যদিও সাংস্কৃতিকভাবে কিছু অংশ ল্যাটিন আমেরিকার অন্তর্ভুক্ত ধরা হয়। তবে তুলনামূলকভাবে পানামা ল্যাটিন আমেরিকার মূল দেশগুলোর মধ্যে পড়ে না যেমন—ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, বা পেরু।
তবে কিছু পরীক্ষায় উত্তর পানামা নয়, বরং বাহ্যিক ব্যাখ্যার উপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে। তা সত্ত্বেও সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন হিসেবে, "ল্যাটিন আমেরিকার অন্তর্ভুক্ত নয়"—এই প্রশ্নে পানামা-কে সঠিক উত্তর হিসেবে ধরা হয় না।
আসলে ল্যাটিন আমেরিকার অন্তর্ভুক্ত নয়—এই অপশনগুলোর মধ্যে কোনো দেশই একেবারে বাদ পড়ে না।
তবে যদি প্রশ্নে বলা হয়, **"সবচেয়ে কম সংযুক্ত"

0
Updated: 1 week ago
মধ্যপ্রাচ্যে কখন প্রথম তেলঅস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল?
Created: 1 week ago
A
১৯৭৩ সালে
B
১৯৮১ সালে
C
১৯৯১ সালে
D
২০০৩ সালে
১৯৭৩ সালে তেলকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার: এক ঐতিহাসিক মোড়
১৯৭৩ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ (যা ইয়োম কিপুর যুদ্ধ নামে পরিচিত) ছিল শুধু একটি সামরিক সংঘর্ষ নয়, বরং এটি বিশ্ব রাজনীতিতে জ্বালানি সম্পদের কৌশলগত ব্যবহারের এক যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। এই যুদ্ধে ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সামরিক সহায়তা দেওয়া শুরু করলে, এর প্রতিক্রিয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ আরব দেশগুলো প্রথমবারের মতো তেলকে রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে।
তেলের মাধ্যমে প্রতিরোধ
যুদ্ধ চলাকালে সৌদি আরব, ইরাক, কুয়েত এবং অন্যান্য তেলসমৃদ্ধ দেশসমূহ তাদের তেলের উৎপাদন কমিয়ে দেয় এবং দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তোলে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ইউরোপীয় মিত্রদের উপর তেল সরবরাহ সীমিত করে ফেলে। এই অবরোধ মূলত তাদের সেই নীতির অংশ ছিল যেখানে তারা চেয়েছিল ইসরায়েলের প্রতি পশ্চিমা সমর্থনের প্রতিবাদ জানাতে।
তেলের দাম নির্ধারণে স্বাধীনতা
১৯৭৩ সালে ইরাকের ফেডারেল আন্ডার সেক্রেটারি (তেল সংক্রান্ত) ড. ফাদিল চালাবির নেতৃত্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়—তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোরই তেলের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা থাকবে, কোনো পশ্চিমা তেল কোম্পানি এতে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
এই সিদ্ধান্ত মূলত তেল কোম্পানিগুলোর আধিপত্য ভেঙে উৎপাদনকারী দেশগুলোর অর্থনৈতিক স্বাধীনতার দিকে এক বড় পদক্ষেপ ছিল।
তেল অবরোধের প্রভাব
এই তেল অবরোধ শুধু যুক্তরাষ্ট্রের নয়, সমগ্র পশ্চিমা বিশ্বের জন্য একটি বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়ায়। বিশ্ববাজারে তেলের দাম কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এর ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে ব্যাপক মন্দা সৃষ্টি হয়, এবং অনেক উন্নত দেশেই জ্বালানি সংকট দেখা দেয়। একই সঙ্গে, এই ঘটনার মাধ্যমে বোঝা যায় যে তেল শুধু একটি প্রাকৃতিক সম্পদ নয়, বরং এটি একটি কৌশলগত রাজনৈতিক হাতিয়ারও হতে পারে।
উপসংহার:
১৯৭৩ সালের এই ঘটনাটি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক ভারসাম্যের ওপর তেলের শক্তিশালী প্রভাবের এক ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত। এই সময় থেকেই বিশ্ব তেলের রাজনীতিকে ভিন্ন চোখে দেখতে শুরু করে।
তথ্যসূত্র: World Atlas, BBC.

0
Updated: 1 week ago
বাদশা ফাহাদের পর সৌদি বাদশা কে হন?
Created: 1 week ago
A
খালেদ
B
ফয়সাল
C
আব্দুল আজিজ
D
আবদুল্লাহ
বাদশা ফাহাদের পর সৌদি আরবের রাজসিংহাসনে আরেক বাদশা আবদুল্লাহ।
আবদুল্লাহ:
-
ফাহাদ ইবনে আবদুল আজিজ আল সৌদ ১৯৮২ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত সৌদি আরবের রাজা এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
২০০৫ সালে ফাহাদের মৃত্যুর পর তার সৎ ভাই আবদুল্লাহ আবদুল আজিজ আল সৌদ রাজত্ব গ্রহণ করেন এবং একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী হন।
উল্লেখযোগ্য বিষয়:
-
২০১৫ সালে আবদুল্লাহর মৃত্যু ঘটে, এরপর তার সৎ ভাই সালমান আবদুল আজিজ আল সৌদ রাজা ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
-
বর্তমান ক্রাউন প্রিন্স হলেন তার ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমান।
সৌদি আরব সম্পর্কে:
-
সৌদি আরব মধ্যপ্রাচ্যের একটি বৃহৎ দেশ, যা আরব উপদ্বীপের বিস্তৃত এলাকা জুড়ে অবস্থিত।
-
উত্তরে অবস্থান করছে জর্ডান ও ইরাক, উত্তর-পূর্বে কুয়েত, কাতার ও বাহরাইন, পূর্বে সংযুক্ত আরব আমিরাত, দক্ষিণ-পূর্বে ওমান এবং দক্ষিণে ইয়েমেন।
-
১৯৩২ সালে ইবনে সাউদ সৌদি আরবে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন।
-
মক্কা ও মদিনা, এই দুই পবিত্র শহরের জন্য সৌদি আরব বিশ্ববিখ্যাত।
-
দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি হলো বিপুল তেল ও গ্যাস মজুদ।
-
রাজধানী এবং সর্ববৃহৎ শহর: রিয়াদ।
-
সরকারি ভাষা: আরবি।
-
দেশটির মুদ্রা: সৌদি রিয়াল।
-
জাতিসংঘের সদস্যপদ প্রাপ্তির তারিখ: ২৪ অক্টোবর ১৯৪৫।
-
সৌদি আরবে কোনও সংবিধান বা আইনসভা নেই।
-
সৌদি আরবই একমাত্র দেশ যার পতাকায় ইসলামিক কালেমা লিপিবদ্ধ রয়েছে।
-
পৃথিবীতে সৌদি আরবের পতাকা কখনোই অর্ধনমিত করা হয় না, যা একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য।
তথ্যসূত্র: Britannica

0
Updated: 1 week ago
'বান্দুং' শহরটি কোন দেশে অবস্থিত?
Created: 1 week ago
A
চীন
B
ইন্দোনেশিয়া
C
যুগোস্লাভিয়া
D
মালয়েশিয়া
বান্দুং শহর – একটি ঐতিহাসিক শহর ইন্দোনেশিয়ায়
বান্দুং ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর, যা পশ্চিম জাভা প্রদেশের রাজধানী এবং সবচেয়ে বড় শহর হিসেবে পরিচিত।
এই শহরটি শুধুমাত্র ভৌগোলিক দিক থেকে নয়, ইতিহাসের ধারাবাহিকতাতেও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৫৫ সালের ১৮ থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত এখানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিখ্যাত বান্দুং সম্মেলন, যা পরবর্তীতে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (NAM) ভিত্তি নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তথ্যসূত্র: Britannica

0
Updated: 1 week ago