ক্রিয়া সম্পাদনের কাল (সময়) এবং আধারকে (স্থান) অধিকরণ কারক বলে। ক্রিয়ার সাথে কোথায়/কখন/কিসে যোগ করে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তাই অধিকরণ কারক। যেমন: বাবা বাড়ি নেই।

যাকে আশ্রয় করে ক্রিয়া সম্পন্ন হয় তা কর্মকারক। যেমন: ডাক্তার ডাক। আর ডাক্তার এর সাথে কোনো বিভক্তি না থাকায় শূন্য বিভক্তি। তাই উত্তর কর্মে শূন্য বিভক্তি।

বাংলা ব্যাকরণে অধিকরণ কারক সেই কারক, যা ক্রিয়ার আধার নির্দেশ করে। এখানে আধার বলতে ক্রিয়া সম্পাদনের স্থান, কাল ও ভাব বোঝানো হয়। অর্থাৎ, কোনো কাজ কোথায়, কখন বা কোন প্রেক্ষাপটে সম্পন্ন হচ্ছে তা অধিকরণ কারক দিয়ে প্রকাশিত হয়।

• ক্রিয়া সম্পাদনের স্থান বা অবস্থান বোঝালে অধিকরণ কারক ব্যবহৃত হয়।

• ক্রিয়া সংঘটনের সময় বা কাল প্রকাশেও অধিকরণ কারকের ভূমিকা থাকে।

• কখনো কোনো ভাব বা প্রেক্ষাপট বোঝাতেও এটি ব্যবহৃত হয়।

উদাহরণ:

• ইয়ারাই দুনিয়ায় আগুন লাগেয়া দিল।
  এখানে ক্রিয়াকে "কোথায়" দ্বারা প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যায় দুনিয়ায়। তাই, "দুনিয়ায়" শব্দটি অধিকরণ কারকের সপ্তমী বিভক্তির উদাহরণ।