নিয়ম অনুসারে সন্ধি হয় না কোনটির?
A
পাবক
B
শাবক
C
কুলটা
D
গায়ক
উত্তরের বিবরণ
নিয়ম অনুসারে সন্ধি হয় না কুলটা। যে সকল ব্যঞ্জনসন্ধি কোনো নিয়ম না মেনে, বরং নিয়মের ব্যতিক্রম করে সন্ধি হয়, তাদেরকে নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলে। যেমন, ‘পতৎ + অঞ্জলি’, এখানে অঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনি ‘ত’ এর সঙ্গে স্বরধ্বনি ‘অ’ এর সন্ধি হয়েছে। সুতরাং, সন্ধির নিয়ম অনুসারে ‘ত’ এর জায়গায় ‘দ’ হওয়ার কথা। তার বদলে একটি ‘ত’ লোপ পেয়ে হয়েছে ‘পতঞ্জলি’। এরকম-নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি: আ + চর্য = আশ্চর্য, গো +পদ = গোষ্পদ, বন + পতি=বনস্পতি, বৃহৎ + পতি =বৃহস্পতি, তৎ + কর =তস্কর।
0
Updated: 1 month ago
ণত্ব বিধান বাংলা বানানে কোন শব্দের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?
Created: 2 months ago
A
সংস্কৃত
B
বিদেশি শব্দ
C
দেশি শব্দ
D
তদ্ভব শব্দ
তৎসম শব্দের বানানে মূধন্য ণ এর সঠিক ব্যবহারের নিয়মই ণত্ব বিধান। বাংলা ভাষায় সাধারণত মূর্ধন্য - ণ ধ্বনির ব্যবহার নেই। সে জন্য বাংলা (দেশি), তদ্ভব ও বিদেশি শব্দের বানানে মূর্ধন্য - ণ বর্ণ লেখার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু বাংলা ভাষায় বহু তৎসম বা সংস্কৃত শব্দে মূর্ধন্য - ণ এবং দন্ত্য - ন এর ব্যবহার আছে। তা বাংলায় অবিকৃতভাবে রক্ষিত হয়।
0
Updated: 2 months ago
কোন ভাষারীতির পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট?
Created: 2 months ago
A
কথ্য ভাষা
B
সাধু ভাষা
C
আঞ্চলিক ভাষা
D
চলিত ভাষা
সাধু ভাষারীতির পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট। সাধু ভাষা হলো বাংলা লেখ্য গদ্যের অপেক্ষাকৃত প্রাচীন রূপ। এর নবীন ও বর্তমানে বহুল প্রচলিত রূপটি হলো চলিত।
সাধু ভাষা অনেকটা ধ্রুপদী বৈশিষ্ট্যের এবং চলিত ভাষা অপেক্ষা স্বল্প প্রাঞ্জল। "সাধু" শব্দের এক অর্থ শিষ্ট, মার্জিত বা ভদ্ররীতি সঙ্গত।রাজা রামমোহন রায় তাঁর "বেদান্ত গ্রন্থ" রচনাটিতে শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন।
0
Updated: 2 months ago
কোনটি পারস্পরিক সর্বনাম?
Created: 1 month ago
A
নিজেরা নিজেরা
B
স্বয়ং
C
অমুক
D
সকলকে
বাংলা ভাষায় সর্বনাম পদ হলো এমন একটি পদ যা বিশেষ্য পদের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়। সর্বনামকে মোট ৯টি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। প্রতিটি শ্রেণি বিশেষ অর্থ বহন করে এবং প্রয়োগের মাধ্যমে বাক্যকে সহজ ও বোধগম্য করে তোলে।
১. ব্যক্তিবাচক সর্বনাম: ব্যক্তির নামের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়।
যেমন: আমি, তুমি, সে।
২. প্রশ্নবাচক সর্বনাম: প্রশ্ন করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
যেমন: কে, কারা, কাকে, কার, কী।
৩. অনির্দিষ্ট সর্বনাম: পরিচয়হীন বা অনির্দিষ্ট কিছু বোঝায়।
যেমন: কেউ, কোথাও, একজন, কিছু।
৪. নির্দেশবাচক সর্বনাম: নৈকট্য বা দূরত্ব নির্দেশ করে।
যেমন: এ, এই, এরা, ইনি।
৫. আত্মবাচক সর্বনাম: কর্তা নিজেই কাজ করছে তা জোর দিয়ে বোঝায়।
যেমন: নিজে, স্বয়ং।
৬. সাপেক্ষ সর্বনাম: দুটি সর্বনামের মধ্যে নির্ভরশীল সম্পর্ক প্রকাশ করে।
যেমন: যে-সে, যেমন-তেমন।
৭. পারস্পরিক সর্বনাম: দুই পক্ষের সহযোগিতা বা নির্ভরশীলতা বোঝায়।
যেমন: পরস্পর, নিজেরা নিজেরা।
৮. সকলবাচক সর্বনাম: ব্যক্তি, বস্তু বা ভাবের সমষ্টি প্রকাশ করে।
যেমন: সবাই, সকলে, সকলকে।
৯. অন্যবাচক সর্বনাম: নিজ ব্যতীত অন্য কোনো অনির্দিষ্ট ব্যক্তি বা বস্তুকে বোঝায়।
যেমন: অন্য, অপর, পর, অমুক।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago