'দুর্দিনের দিনলিপি' স্মৃতিগ্ৰন্থটি কার লেখা?
A
আবুল ফজল
B
আবদুল কাদির
C
জাহানারা ইমাম
D
মুশতারি শফী
উত্তরের বিবরণ
‘দুর্দিনের দিনলিপি’ গ্রন্থটি আবুল ফজল রচিত। এটি মূলত মুক্তিযুদ্ধকালীন তার রোজনামচা, যেখানে তিনি ১৯৭১ সালের ঘটনাবলি সংরক্ষণ করেছেন।
এই ডায়রিতে তিনি তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, পাকিস্তানি সেনাদের হাত থেকে আত্মগোপন, এবং সেই সময়ের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন।
-
আবুল ফজল ১৯০৩ সালে চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
-
তিনি মুসলিম সাহিত্য সমাজের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে ‘বুদ্ধির মুক্তি’ আন্দোলন গড়ে তোলেন, যার মুখপত্র ছিল শিখা পত্রিকা।
-
“দুর্দিনের দিনলিপি” ১৯৭২ সালে প্রকাশিত হয়।
-
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি পাক সেনাদের হাত থেকে বাঁচতে আত্মগোপন করতেন এবং সেই সময় এই ডায়রি লিখেছেন।
-
তিনি রচনা করেছেন ‘রেখাচিত্র’, যা আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিনলিপি।
-
আবুল ফজল উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটক, আত্মকথা, ধর্ম ও ভ্রমণকাহিনীসহ বিভিন্ন বিষয়ে বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন।
উল্লেখযোগ্য রচনা:
-
চৌচির
-
প্রদীপ ও পতঙ্গ
-
মাটির পৃথিবী
-
বিচিত্র কথা
-
রাঙ্গা প্রভাত
-
রেখাচিত্র
-
দুর্দিনের দিনলিপি
0
Updated: 1 month ago
মীর মশাররফ হোসেনের কোন গ্রন্থের উপজীব্য হিন্দু-মুসলমানের বিরোধ?
Created: 1 month ago
A
গো-জীবন
B
ইসলামের জয়
C
এর উপায় কী
D
বসন্তকুমারী নাটক
মীর মশাররফ হোসেন ছিলেন একজন প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক, নাট্যকার এবং প্রাবন্ধিক, যিনি উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম পথিকৃৎ।
তার সাহিত্যিক যাত্রা শুরু হয়েছিল সাংবাদিকতার মাধ্যমে, যখন তিনি ছাত্রাবস্থায় সংবাদ প্রভাকর (১৮৩১) এবং কুমারখালির গ্রামবার্তা প্রকাশিকা (১৮৬৩)-এর মফঃস্বল সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করতেন। তিনি বঙ্কিমযুগের গদ্যশিল্পী হিসেবে পরিচিত।
-
তার প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ হলো 'রত্নাবতী' (গল্পগ্রন্থ)।
-
তিনি প্রহসনও রচনা করেছেন, যার মধ্যে প্রধান হলো 'এর উপায় কি?'
-
তার নাটকগুলো হলো:
-
বসন্তকুমারী
-
জমীদার দর্পণ
-
বেহুলা গীতাভিনয়
-
গো জীবন (১৮৮৯) একটি প্রবন্ধ পুস্তিকা, যার মূল বক্তব্য হলো কৃষি নির্ভর অর্থনীতিতে যেকোনো কারণে গোরহত্যা অনুচিত। মীর মশাররফ হোসেন এই প্রবন্ধ রচনা করেছিলেন হিন্দু ও মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ করার মানস থেকে।
তবে এ গ্রন্থের কারণে তিনি মামলায় জড়িয়ে পড়েন এবং অবশেষে মৌলবাদীদের প্রবল চাপের মুখে প্রবন্ধটি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন।
0
Updated: 1 month ago
'যখন উদ্যত সঙ্গীন' কাব্যগ্রন্থটি রচনা করেছেন-
Created: 5 months ago
A
গিরিশচন্দ্র ঘোষ
B
কুসুমকুমারী দাশ
C
কামিনী রায়
D
হাসান হাফিজুর রহমান
• হাসান হাফিজুর রহমান:
- হাসান হাফিজুর রহমান১৯৩২ সালের ১৪ জুন জামালপুর শহরে তাঁর জন্ম।
- ১৯৫৩ সালে তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় ভাষা আন্দোলনের ওপর প্রথম সংকলন গ্রন্থ 'একুশে ফেব্রুয়ারী'।
- হাসান হাফিজুর রহমানের সম্পাদনায় ১৫ খন্ডে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ: দলিলপত্র (১৯৮২-৮৩) প্রকাশিত হয়।
- হাসান হাফিজুর রহমান রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ: বিমুখ প্রান্তর
• হাসান হাফিজুর রহমান রচিত কাব্য:
- বিমুখ প্রান্তর,
- প্রতিবিম্ব,
- আর্ত শব্দাবলী,
- অন্তিম শহরের মতো,
- যখন উদ্যত সঙ্গীন,
- শোকার্ত তরবারি ইত্যাদি।
- হাসান হাফিজুর রহমান রচিত গল্প:
- আরো দুটি মৃত্যু।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।
0
Updated: 5 months ago
কোনটি ইব্রাহিম খাঁর গ্রন্থ নয়?
Created: 5 months ago
A
আনোয়ার পাশা
B
ইস্তাম্বুল যাত্রীর পত্র
C
কুচবরণের কন্যে
D
সোনার শিকল
ইব্রাহিম খাঁ
জন্ম ও পটভূমি:
ইব্রাহীম খাঁ ১৮৯৪ সালে টাঙ্গাইল জেলার শাবাজ নগর গ্রামে এক মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
পেশা ও পরিচিতি:
তিনি ছিলেন একাধারে শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজচিন্তক। নাটক, গল্প, উপন্যাস, শিশুসাহিত্য, ভ্রমণকাহিনি এবং স্মৃতিকথা মিলিয়ে তাঁর রচনাসংখ্যা ২১টি।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি:
-
ব্রিটিশ আমলে: ‘খান সাহেব’ ও ‘খান বাহাদুর’ উপাধি
-
পাকিস্তান আমলে: ‘সিতারা-ই-ইমতিয়াজ’
-
সাহিত্যিক অবদান:
-
বাংলা একাডেমি পুরস্কার (নাটকে) – ১৯৬৩
-
একুশে পদক (সাহিত্যে) – ১৯৭৬
-
মৃত্যু:
তিনি ১৯৭৮ সালের ২৯ মার্চ ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
✍️ সাহিত্যকর্ম:
স্মৃতিকথা:
-
বাতায়ন — যা সমকালীন মুসলিম সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে বিবেচিত।
নাটক:
-
আনোয়ার পাশা
গল্প:
-
সোনার শিকল
-
আলু বোখরা
-
ব্যাঘ্র মামা
উপন্যাস:
-
ঋণ পরিশোধ
-
কামাল পাশা
ভ্রমণকাহিনি:
-
ইস্তাম্বুল যাত্রীর পত্র
-
বেদুঈনদের দেশে
শিশুসাহিত্য:
-
কুচবরণ কন্যা রচনা করেন বন্দে আলী মিয়া, এটি ইব্রাহীম খাঁর রচনা নয়।
উৎস: বাংলাপিডিয়া ও ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা’ – ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 5 months ago