মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রবর্তিত 'অমিত্রাক্ষর ছন্দ’ প্রকৃত পক্ষে বাংলা কোন ছন্দের নব-রূপায়ণ?
A
স্বরবৃত্ত ছন্দ
B
মাত্রাবৃত্ত ছন্দ
C
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ
D
গৈরিশ ছন্দ
উত্তরের বিবরণ
মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যের একজন অগ্রণী কবি এবং নাট্যকার, যিনি বাংলা কাব্যে নতুন ধারা ও ছন্দের প্রবর্তন ঘটিয়েছেন। তিনি ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদীর তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সনেটের প্রবর্তক এবং অমিত্রাক্ষর ছন্দের উদ্ভাবক, যা বাংলা সাহিত্যে একটি নতুন সুর এবং ছন্দশৈলী নিয়ে এসেছে।
-
মাইকেল মধুসূদন দত্ত একজন মহাকবি এবং নাট্যকার।
-
তিনি বাংলা সনেট প্রবর্তন করেন, যা বাংলা কবিতায় পশ্চিমা প্রভাবের সঙ্গে মিলিত হয়ে নতুন ধারা সৃষ্টি করে।
-
মাইকেল দত্ত অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক, যা বাংলা অক্ষরবৃত্ত ছন্দকে নবজীবন প্রদান করে।
-
তার সাহিত্যকর্মে বাংলা কাব্যকে সুরমুক্তি এবং ছন্দসমৃদ্ধি প্রদান করা হয়েছে।
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ বাংলা কাব্যের প্রধান ছন্দ, যা অন্য ছন্দের তুলনায় উচ্চারণে স্বাভাবিক এবং গদ্য উচ্চারণভঙ্গির অনুসারী। উনিশ শতকে মাইকেল মধুসূদন দত্তের মাধ্যমে অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তন এই ছন্দকে আরও সমৃদ্ধ এবং আধুনিক আকারে পরিণত করে।
-
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ শ্বাসাঘাতপ্রধান নয়, বরং তানপ্রধান। তান হলো স্বরধ্বনি বা সাধারণ উচ্চারণের অতিরিক্ত টান, যা দীর্ঘ পর্বের জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ ৮/৬ বা ৮/১০ মাত্রায় রচিত হয়, যা ছন্দের দীর্ঘতা নির্ধারণ করে।
-
অমিত্রাক্ষর ছন্দ আসলে বাংলা অক্ষরবৃত্ত ছন্দের নব সংস্করণ, যা সাহিত্যে নতুন ছন্দের ধারা প্রতিষ্ঠা করে।
-
মহাপয়ার হলো পয়ার ছন্দের একটি বিস্তৃত রূপ, যেখানে সাধারণ পয়ারের ৬ মাত্রার পরিবর্তে ১০ মাত্রা ব্যবহৃত হয়।
-
এভাবে, বাংলা সাহিত্যে অক্ষরবৃত্ত এবং তার নবীন রূপ চিরায়ত কাব্যসমূহকে শ্রেষ্ঠ ছন্দে রূপায়িত করেছে।

0
Updated: 1 day ago
‘ছাড়পত্র’ কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা কে?
Created: 3 days ago
A
প্রমথ চৌধুরী
B
শামসুর রাহমান
C
সুকান্ত ভট্টাচার্য
D
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
'ছাড়পত্র' কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা সুকান্ত ভট্টাচার্য। কবির মৃত্যুর তিন মাস পর ১৯৪৭ সালে গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। এটি বাংলা রাজনৈতিক কবিতার ইতিহাসে এক স্মরণীয় সংযোজন। গ্রন্থের অন্যতম বিখ্যাত পঙক্তি হলো—
“এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাবো আমি / নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।”
-
সুকান্ত ভট্টাচার্য:
-
জন্ম: ১৯২৬ সালের ১৫ আগস্ট, কলকাতার মাতুলালয়ে।
-
পৈতৃক নিবাস: ফরিদপুর জেলার কোটালিপাড়া।
-
তাঁর কবিতায় শোষিত মানুষের দুঃখ-কষ্ট, বিক্ষোভ ও বিদ্রোহের প্রতিধ্বনি প্রতিফলিত হয়েছে।
-
মৃত্যু: ১৯৪৭ সালের ১৩ মে, বয়স মাত্র ২০ বছর ৯ মাস।
-
-
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ:
-
কাব্যগ্রন্থ: ছাড়পত্র, পূর্বাভাস, মিঠেকড়া, অভিযান, ঘুম নেই, হরতাল, গীতিগুচ্ছ প্রভৃতি।
-

0
Updated: 3 days ago
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত ইংরেজি উপন্যাস কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
দি ফিউচার এশিয়া
B
দি মুন নাইট
C
দি নেকেড ট্রুথ
D
দি আগলি এশিয়ান
‘The Ugly Asian’ (দি আগলি এশিয়ান) — সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
-
শিরোনাম: The Ugly Asian বা বাংলা অনুবাদে কদর্য এশীয়
-
প্রকৃতি: মৌলিক ইংরেজি উপন্যাস
-
প্রধান বিষয়: রাজনৈতিক উপন্যাস, মূলত তৃতীয় বিশ্বের দেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এবং অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক উৎকণ্ঠা প্রকাশ।
-
বিশেষ লক্ষণ: যদিও গল্পটি কল্পিত এশিয়ার দেশের কথা বলে, বাস্তবে পাঠকরা এটিকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সংযুক্ত করেন।
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ (১৯২২–১৯৭১)
-
জন্মস্থান ও তারিখ: ১৫ আগস্ট ১৯২২, চট্টগ্রামের ষোলশহর, সৈয়দ বাড়ি
-
পিতা: সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (সরকারি কর্মকর্তা)
-
বৈবাহিক জীবন: ফরাসি নাগরিক এ্যান মেরির সঙ্গে বিবাহ; মেরি ওয়ালীউল্লাহর প্রথম উপন্যাস লালসালু ফরাসিতে অনুবাদ করেন এবং পরে ইংরেজিতে Tree Without Roots নামে প্রকাশিত হয়
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর সাহিত্যকর্ম
উপন্যাস:
-
লালসালু
-
চাঁদের অমাবস্যা
-
কাঁদো নদী কাঁদো
-
The Ugly Asian / কদর্য এশীয়
গল্পগ্রন্থ:
-
নয়নচারা
-
দুই তীর ও অন্যান্য গল্প
নাটক:
-
বহিপীর
-
তরঙ্গভঙ্গ
-
সুড়ঙ্গ
উল্লেখযোগ্য মন্তব্য:
-
The Ugly Asian কেবল বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নয়, বরং সমগ্র তৃতীয় বিশ্বের রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের জটিলতা তুলে ধরে।
-
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ এখানে একজন নতুন মাত্রার শিল্পী হিসেবে প্রকাশ পেয়েছেন।

0
Updated: 2 weeks ago
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘কুহেলিকা’ উপন্যাসটি কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?
Created: 2 weeks ago
A
ভারতী
B
নওরোজ
C
বিজলী
D
সাপ্তাহিক সংবাদ
‘কুহেলিকা’ উপন্যাসটি নওরোজ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
‘কুহেলিকা’ উপন্যাস:
- কাজী নজরুল ইসলাম রচিত এই উপন্যাসটি ১৯৩৪ বঙ্গাব্দে ‘নওরোজ’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।
- এটি রাজনৈতিক উপন্যাস, যার রাজনৈতিক প্রসঙ্গ অত্যন্ত বড় ক্যানভাসে তুলে ধরা হয়েছে।
উপন্যাসের বিখ্যাত উক্তি:
"ইহারা মায়াবিনীর জাত। ইহারা সকল কল্যাণের পথে মায়াজাল পাতিয়া রাখিয়াছে। ইহারা গহন পথের কণ্টক, রাজপথের দস্যু।"
উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্রসমূহ:
- জাহাঙ্গীর (নায়ক),
- তাহমিনা,
- চম্পা,
- ফিরদৌস বেগম।

0
Updated: 2 weeks ago