'আমার পথ' প্রবন্ধটি কাজী নজরুল ইসলামের কোন গ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে?
A
যুগ-বাণী
B
রুদ্র-মঙ্গল
C
দুর্দিনের যাত্রী
D
রাজবন্দির জবানবন্দি
উত্তরের বিবরণ
কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তিনি কেবল কবি নয়, প্রবন্ধকার ও সমাজচিন্তক হিসেবেও খ্যাত। তাঁর জীবন ও সাহিত্যকর্মের বিভিন্ন দিক নিম্নরূপ:
-
কাজী নজরুল ইসলাম ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে ১৮৯৯) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
তাঁর পিতা কাজী ফকির আহমদ ছিলেন মসজিদের ইমাম ও মাযারের খাদেম।
-
নজরুলের ডাক নাম ছিল ‘দুখু মিয়া’।
কাজী নজরুল ইসলামের প্রবন্ধগ্রন্থ ও সাহিত্য:
-
তাঁর প্রথম প্রবন্ধগ্রন্থ ছিল ‘যুগবাণী’।
-
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে:
-
রাজবন্দীর জবানবন্দি
-
দুর্দিনের যাত্রী
-
রুদ্র মঙ্গল
-
মন্দির ও মসজিদ
-
আমি সৈনিক
-
‘আমার পথ’ প্রবন্ধটি কাজী নজরুল ইসলামের ‘রুদ্র-মঙ্গল’ গ্রন্থের দ্বিতীয় প্রবন্ধ।
-
‘রুদ্র-মঙ্গল’ গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে।
-
গ্রন্থটিতে মোট ৮টি প্রবন্ধ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
‘আমার পথ’ প্রবন্ধের কিছু অংশ:
-
প্রবন্ধে নজরুল তাঁর যাত্রার স্বাধীনতা, সাহস ও সত্যনিষ্ঠার প্রতি সংকল্প প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন,
‘আমার এই যাত্রা হল শুরু ওগো কর্ণধার, তোমারে করি নমস্কার। মাভৈঃ বাণীর ভরসা নিয়ে ‘জয় প্রলয়ঙ্কর’ বলে ‘ধূমকেতু’কে রথ করে আমার আজ নতুন পথে যাত্রা শুরু হল। আমার কর্ণধার আমি। আমায় পথ দেখাবে আমার সত্য। আমার যাত্রা শুরুর আগে আমি সালাম জানাচ্ছি—নমস্কার করছি আমার সত্যকে।
যে পথ আমার সত্যের বিরোধী, সে পথ ছাড়া আর কোনো পথই আমার বিপথ নয়! রাজভয়—লোকভয় কোনো ভয়ই আমায় বিপথে নিয়ে যাবে না। আমি যদি সত্যি করে আমার সত্যকে চিনে থাকি, আমার অন্তরে মিথ্যার ভয় না থাকে, তা হলে বাইরের কোন ভয়ই আমার কিছু করতে পারবে না। যার ভিতরে ভয়, সে-ই বাইরে ভয় পায়।’
-
এখানে নজরুলের ব্যক্তিগত আত্মবিশ্বাস, নৈতিক সাহস এবং সত্যের প্রতি অটল বিশ্বাস ফুটে উঠেছে।
-
প্রবন্ধটি ব্যক্তিগত মুক্তি ও সামাজিক সচেতনতার সঙ্গে মিলিত হয়েছে, যা তাঁর লেখনীকে এক বিশেষ প্রভাবশালী অবস্থানে রাখে।
0
Updated: 1 month ago
’চিত্তনামা’-কাব্যগ্রন্থের লেখক কে?
Created: 1 month ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
কাজী নজরুল ইসলাম
C
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
D
কায়কোবাদ
চিত্তনামা কাজী নজরুল ইসলামের রচিত একটি বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ, যা তিনি তাঁর শ্রদ্ধেয় নেতা দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ হিসেবে রচনা করেন।
– কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯২৫ সালে।
– ১৩৩২ বঙ্গাব্দের ২ আষাঢ়ে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ দার্জিলিংয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
– তাঁর মৃত্যুর পর গভীর শোকাহত হয়ে নজরুল সমকালীন বিভিন্ন পত্রিকায় কবিতা রচনা করেন, যেগুলো পরে একত্র করে ‘চিত্তনামা’ নামে প্রকাশ করা হয়।
– এই কাব্যগ্রন্থে কবি দেশপ্রেম, বেদনা, শ্রদ্ধা ও অনুপ্রেরণার মিশ্রণ ঘটিয়েছেন।
– কবিতাগুলোতে দেশবন্ধুর আদর্শ ও কর্মজীবনের প্রতি কবির শ্রদ্ধা, বাঙালি জাতির বেদনাবোধ এবং স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ পেয়েছে।
কাজী নজরুল ইসলামের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ:
– অগ্নিবীণা
– সঞ্চিতা
– চিত্তনামা
– মরুভাস্কর
– সর্বহারা
– ফণি-মনসা
– চক্রবাক
– সাম্যবাদী
– ছায়ানট
– নতুন চাঁদ
– পুবের হাওয়া
– জিঞ্জির
– বিষের বাঁশি
– দোলনচাঁপা
– চন্দ্রবিন্দু
– সিন্ধু হিন্দোল
– ভাঙার গান
– সন্ধ্যা
0
Updated: 1 month ago
কোনটি কাজী নজরুল ইসলামের উপন্যাস?
Created: 2 months ago
A
রিক্তের বেদন
B
সর্বহারা
C
আলেয়া
D
কুহেলিকা
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যকর্ম
উপন্যাস:
-
কাজী নজরুল ইসলামের উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে ‘বাঁধনহারা’, ‘মৃত্যুক্ষুধা’ এবং ‘কুহেলিকা’।
-
‘কুহেলিকা’ উপন্যাসের মূল তথ্য:
-
প্রথম প্রকাশিত: ১৯৩৪ বঙ্গাব্দে নওরোজ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে।
-
গ্রন্থাকারে প্রকাশ: ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ (১৯৩১ খ্রিস্টাব্দ)।
-
রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রসঙ্গের ওপর বড় ক্যানভাসে লেখা।
-
নায়ক: জাহাঙ্গীর।
-
প্রসিদ্ধ উক্তি:
“ইহারা মায়াবিনীর জাত। ইহারা সকল কল্যাণের পথে মায়াজাল পাতিয়া রাখিয়াছে। ইহারা গহন পথের কণ্টক, রাজপথের দস্যু।”
-
অন্যান্য সাহিত্যকর্ম:
-
‘আলেয়া’ – কাজী নজরুল ইসলামের গীতিনাট্য।
-
‘সর্বহারা’ – ১৯২৬ সালে প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।
-
‘রিক্তের বেদন’ – নজরুলের দ্বিতীয় প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 2 months ago
কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ-
Created: 1 day ago
A
অগ্নিবীণা
B
ব্যথার দান
C
যুগবাণী
D
রাজবন্দীর জবান্দী
কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ - ব্যথার দান এবং এটি একটি গল্পগ্রন্থ। গ্রন্থ্যটি ১৯২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়।
0
Updated: 1 day ago