প্যারীচাঁদ মিত্রের 'আলালের ঘরের দুলাল' প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় কত সালে?
A
১৮৫৮ সালে
B
১৯৭৮ সালে
C
১৮৪৮ সালে
D
১৮৬৮ সালে
উত্তরের বিবরণ
প্যারীচাঁদ মিত্র ছিলেন উনবিংশ শতকের একজন বহুমুখী ব্যক্তিত্ব যিনি সাহিত্য, সাংবাদিকতা, সমাজসেবা এবং ব্যবসায় বিশেষ অবদান রেখেছিলেন। তাঁকে বাংলা উপন্যাসের পথিকৃৎ বলা হয়।
-
জন্ম: ২২ জুলাই ১৮১৪ সালে কলকাতায়।
-
শিক্ষা: ১৮২৭ সালে হিন্দু কলেজে ভর্তি হন এবং সেখানে হেনরি ডিরোজিওর অধীনে শিক্ষা লাভ করেন।
-
পেশা ও পরিচয়: লেখক, সাংবাদিক, সংস্কৃতিসেবী, ব্যবসায়ী।
বাংলা সাহিত্যকর্ম:
-
আলালের ঘরের দুলাল
-
মদ খাওয়া বড় দায় জাত থাকার কি উপায়
-
রামারঞ্জিকা
-
কৃষিপাঠ
-
ডেভিড হেয়ারের জীবনচরিত
-
বামাতোষিণী
English works:
-
A Biographical Sketch of David Hare
-
The Spiritual Stray Leaves
-
Stray Thought of Spiritualism
-
Life of Dewan Ramkamal Sen
-
Life of Coles Worthy Grant
আলালের ঘরের দুলাল বাংলা উপন্যাস সাহিত্যের ইতিহাসে এক নতুন সূচনা করে।
-
এটি বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম উপন্যাস।
-
রচয়িতা: প্যারীচাঁদ মিত্র ওরফে টেকচাঁদ ঠাকুর (১৮১৪–১৮৮৩)।
-
রচনা: ১৮৫৭ সালে, প্রকাশ: ১৮৫৮ সালে।
-
মূল বিষয়বস্তু: কলকাতার সমকালীন সমাজচিত্র।
-
কাহিনি: উচ্চবিত্ত ঘরের আদুরে সন্তান মতিলালের উচ্ছৃঙ্খল জীবন।
-
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র: ঠকচাচা।
-
লেখক কথ্যভঙ্গির গদ্য ব্যবহার করে উপন্যাসকে বাস্তবধর্মী করেছেন।
-
এখানে ব্যবহৃত চলিত ভাষা পরবর্তীকালে ‘আলালী ভাষা’ নামে পরিচিত হয়।
-
এর মাধ্যমে বাংলা ভাষার নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়।
প্রধান চরিত্র:
-
মতিলাল
-
বাবুরাম
-
মোকাজান মিঞা বা ঠকচাচা

0
Updated: 1 day ago
নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ কোনটি?
Created: 2 months ago
A
রাজবন্দীর জবানবন্দী
B
ব্যথার দান
C
অগ্নিবীণা
D
নবযুগ
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যজগতে তাঁর প্রথম পদার্পণেই নতুন ধারা সৃষ্টি করেন। সাহিত্যের নানা শাখায় তাঁর প্রথম প্রকাশিত কৃতিগুলি তাঁর বৈচিত্র্যময় প্রতিভার প্রমাণ বহন করে। নিচে তাঁর প্রথম প্রকাশিত সাহিত্যকর্মগুলো ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হলো:
প্রথম কাব্যগ্রন্থ:
‘অগ্নি-বীণা’ (১৯২২) — নজরুলের বিদ্রোহী আত্মার প্রতীক এই গ্রন্থ বাংলা কাব্যধারায় অনন্য স্থান অধিকার করে।
প্রথম প্রকাশিত কবিতা:
‘মুক্তি’ — এই কবিতার মাধ্যমে নজরুল তাঁর কাব্য-প্রতিভার সূচনা ঘটান, যেখানে মুক্তির চেতনা ফুটে ওঠে।
প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধ:
‘তুর্কমহিলার ঘোমটা খোলা’ — সামাজিক প্রগতির আহ্বান জানানো এই প্রবন্ধে নজরুল নারীমুক্তির প্রশ্নে সাহসী অবস্থান নেন।
প্রথম প্রবন্ধগ্রন্থ:
‘যুগবাণী’ — সমাজ, রাজনীতি ও ধর্ম বিষয়ক বিভিন্ন চিন্তাধারা নিয়ে রচিত এই গ্রন্থটি পরে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়, যা নজরুলের প্রগতিশীল মনোভাবের প্রমাণ।
প্রথম গল্পগ্রন্থ:
‘ব্যথার দান’ — ছোটগল্পের মধ্য দিয়ে মানব-ব্যথা ও সমাজবাস্তবতার চিত্র তুলে ধরেছেন।
প্রথম উপন্যাস:
‘বাঁধন-হারা’ — এই উপন্যাসে নজরুল ব্যক্তিস্বাধীনতা ও সমাজচিত্রকে কেন্দ্র করে এক নতুন ধারার সূচনা করেন।
প্রথম নাটক ও নাট্যগ্রন্থ:
‘ঝিলিমিলি’ — নাট্যসাহিত্যে নজরুলের প্রথম অবদান হিসেবে এই গ্রন্থ উল্লেখযোগ্য, যা নাট্যশৈলীতে নতুন গতি এনেছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, 'যুগবাণী' ছিল তাঁর প্রথম প্রবন্ধগ্রন্থ এবং এটিই ছিল নজরুলের প্রথম নিষিদ্ধ গ্রন্থ, যা তাঁর লেখনীতে বিপ্লবের ঝাঁঝ প্রতিফলিত করে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 2 months ago
কত সালে 'দুর্গেশনন্দিনী' উপন্যাস প্রথম প্রকাশিত হয়?
Created: 2 weeks ago
A
১৮৬০
B
১৮৬১
C
১৮৬৫
D
১৮৬৭
‘দুর্গেশনন্দিনী’ বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস হিসেবে পরিচিত। এটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচনা এবং ১৮৬৫ সালে প্রকাশিত হয়। উপন্যাসের শিরোনাম ‘দুর্গেশনন্দিনী’ শব্দের অর্থ প্রধানের কন্যা।
উপন্যাসের কেন্দ্রীয় নারী চরিত্র হলো তিলোত্তমা এবং অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চরিত্রের মধ্যে রয়েছে বীরেন্দ্র সিংহ, ওসমান, জগৎসিংহ, তিলোত্তমা, আয়েশা, এবং বিমলা।
উপন্যাসের গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহ:
-
এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস।
-
প্রকাশিত হয়েছে ১৮৬৫ খ্রিষ্টাব্দে।
-
কেন্দ্রীয় নারী চরিত্র: তিলোত্তমা।
-
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চরিত্র: বীরেন্দ্র সিংহ, ওসমান, জগৎসিংহ, তিলোত্তমা, আয়েশা, বিমলা।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক এবং বাংলার নবজাগরণের অন্যতম প্রধান সাহিত্যিক। তিনি ১৮৩৮ সালে চব্বিশ পরগনা জেলার কাঁঠালপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বঙ্কিমচন্দ্রকে বাংলা উপন্যাসের জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সাহিত্য ও রচনা সংক্রান্ত মূল তথ্য:
-
প্রথম উপন্যাস: রাজমোহনস ওয়াইফ (ইংরেজিতে লেখা)।
-
প্রথম বাংলা সার্থক উপন্যাস: দুর্গেশনন্দিনী (১৮৬৫)।
-
প্রথম কাব্যগ্রন্থ: ললিতা তথা মানস (১৮৫৬)।
-
দ্বিতীয় বাংলা উপন্যাস: কপালকুণ্ডলা (১৮৬৬)।
-
ত্রয়ী উপন্যাস: আনন্দমঠ, দেবী চৌধুরানী, সীতারাম।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অন্যান্য উপন্যাস:
-
কপালকুণ্ডলা
-
মৃণালিনী
-
বিষবৃক্ষ
-
ইন্দিরা
-
যুগলাঙ্গুরীয়
-
চন্দ্রশেখর
-
রাধারানী
-
রজনী
-
কৃষ্ণকান্তের উইল
-
রাজসিংহ

0
Updated: 2 weeks ago
'আলালের ঘরের দুলাল' প্রথমে কোন পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়?
Created: 1 week ago
A
বিবিধার্থ সংগ্রহ
B
সংবাদ প্রভাকর
C
মাসিক পত্রিকা
D
বঙ্গদর্শন
প্যারীচাঁদ মিত্রের প্রথম গ্রন্থ 'আলালের ঘরের দুলাল' বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম সফল উপন্যাস হিসেবে পরিচিত। এটি ১৮৫৮ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হলেও, ১৮৫৪ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে 'মাসিক পত্রিকা'তে প্রকাশিত হতে থাকে।
উপন্যাসের মূল বিষয়বস্তু কলকাতার সমকালীন সমাজ এবং উচ্চবিত্ত পরিবারের আদুরে সন্তান মতিলালের উচ্ছৃঙ্খল জীবনাচার। লেখক কথ্যভঙ্গির গদ্য ব্যবহার করে উপন্যাসটিকে বাস্তবধর্মী করেছেন, যা পরবর্তীতে 'আলালী ভাষা' নামে পরিচিতি পায়। কাহিনি ও চরিত্রের যথাযথ প্রকাশের জন্য তদ্ভব, চলিত এবং বিদেশি শব্দও ব্যবহার করা হয়েছে।
পরবর্তীতে হীরালাল মিত্র নাট্যরূপে এটি মঞ্চস্থ করেন (জানুয়ারি ১৮৭৫) এবং গ্রন্থটি ইংরেজিতেও অনূদিত হয়। উপন্যাসে দেশীয় শিক্ষাব্যবস্থা, পাশ্চাত্য সভ্যতার অনুকরণ এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিশৃঙ্খলা নিয়ে লেখকের দৃষ্টিভঙ্গি ফুটে ওঠে।
ধনী বাবুরামের পুত্র মতিলাল পিতার অবহেলায় অধঃপতনে পতিত হয় এবং পিতার মৃত্যুর পর তার সম্পত্তি নষ্ট করে ফেলে। উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলো হলো:
-
মোকাজান মিয়া বা ঠকচাচা
-
বাবুরাম
-
বাবুরামের পুত্র মতিলাল
-
ধূর্ত উকিল বটলর
-
অর্থলোভী বাঞ্ছারাম
-
তোষামোদকারী বক্রেশ্বর
প্যারীচাঁদ মিত্র ছিলেন একজন লেখক, সাংবাদিক, সংস্কৃতিসেবী ও ব্যবসায়ী, যিনি ১৮১৪ সালের ২২ জুলাই কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবন পারিবারিক পরিবেশে শুরু করে তিনি পণ্ডিত ও মুনশির কাছে যথাক্রমে বাংলা ও ফারসি ভাষা শিখেন। ১৮২৭ সালে হিন্দু কলেজে ভর্তি হয়ে খ্যাতিমান শিক্ষক হেনরি ডিরোজিওর তত্ত্বাবধানে শিক্ষা সম্পন্ন করেন।
১৮৩৬ সালে কলকাতা পাবলিক লাইব্রেরিতে ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। বাংলা গদ্যের বিবর্তন ও নতুন ভঙ্গি প্রবর্তনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, বিশেষত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রভাবকে অনুকরণ না করে নিজের অভিনব লঘু ভঙ্গি তৈরি করেছেন।
প্যারীচাঁদ মিত্রের সাহিত্যকর্মগুলো হলো:
-
'মদ খাওয়া বড় দায়, জাত থাকার কি উপায়' (১৮৫৯) – তৎকালীন গোঁড়া শ্রেণির ব্যক্তিদের চিত্রাঙ্কন, ভাষা সহজ সরল।
-
'রামারঞ্জিকা' (১৮৬০) – স্ত্রীশিক্ষামূলক গ্রন্থ।
-
'কৃষিপাঠ' (১৮৬১), 'যৎকিঞ্চিৎ' (১৮৬৫), 'ডেবিড হেয়ারের জীবনচরিত' (১৮৭৮) – প্রবন্ধমূলক বই।
-
'অভেদী' (১৮৭১), 'আধ্যাত্মিকা' (১৮৮০) – সংলাপপ্রধান গল্পমূলক, নীতিবিষয়ক।
-
'গীতাঙ্কুর' (৩য় সংস্করণ, ১৮৭০) – ব্রহ্মবিষয়ক গানের সমষ্টি।
-
'এতদ্দেশীয় স্ত্রীলোকদিগের পূর্বাবস্থা' (১৮৭৮) – প্রাচীন ভারতের নারীদের শিক্ষা ও মহত্ত্বের বর্ণনা।
-
'বামাতোষিণী' (১৮৮১) – নারীশিক্ষার উদ্দেশ্যে সর্বশেষ রচনা।

0
Updated: 1 week ago