রাষ্ট্রপ্রধান না হয়েও কোন ব্যক্তি রাষ্ট্রপ্রধানের মর্যাদা ভোগ করেন?

A

 ইয়াসির আরাফাত 

B

কফি আনান 

C

ওসামা বিন লাদেন 

D

অ্যারিয়েল শ্যারন

উত্তরের বিবরণ

img

রাষ্ট্রপ্রধান না হয়েও রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পাওয়া নেতা: ইয়াসির আরাফাত

ফিলিস্তিনি জাতিসত্তার অবিসংবাদিত রূপকার ইয়াসির আরাফাত এমন একজন নেতা, যিনি আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো রাষ্ট্রের প্রধান না হয়েও রাষ্ট্রপ্রধানের সম্মান ও মর্যাদা ভোগ করেছেন। তিনি মুসলিম বিশ্বের একজন প্রভাবশালী এবং জনপ্রিয় নেতা হিসেবে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নিজস্ব অবস্থান তৈরি করেন।

জন্ম ও রাজনৈতিক যাত্রার শুরু:
ইয়াসির আরাফাতের জন্ম ১৯২৯ সালে মিসরের কায়রো শহরে। তরুণ বয়সেই তিনি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে আকৃষ্ট হন।

১৯৫০ সালে তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন এবং ১৯৫৯ সালে কুয়েতে অবস্থানকালে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন ‘ফাতাহ’ গঠন করেন। পরে এই সংগঠনটি প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (PLO)-এ পরিণত হয়।

মুক্তিসংগ্রাম ও নেতৃত্ব:
১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে আরাফাত সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৬৯ সালে তিনি পিএলও’র চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং দীর্ঘদিন এ পদে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৮৮ সালে জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি ইসরায়েলের অস্তিত্ব স্বীকার করে একটি শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সমাধানের পথ গ্রহণ করেন।

শান্তি প্রচেষ্টা ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি
ইসরায়েলের সঙ্গে দীর্ঘ বৈরিতার অবসান ঘটাতে আরাফাত একাধিক শান্তি উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

১৯৯১ সালে মাদ্রিদ সম্মেলন, ১৯৯৩ সালের অসলো চুক্তি এবং ২০০০ সালের ক্যাম্প ডেভিড আলোচনায় তিনি সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। অসলো চুক্তির পর তিনি প্যালেস্টাইন অথরিটির (PA) প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন (১৯৯৬-২০০৪)। শান্তি প্রচেষ্টার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ১৯৯৪ সালে ইসরায়েলি নেতারা ইজহাক রাবিন ও শিমন পেরেসের সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।

প্রতিরোধ ও পতনের সময়কাল:
এই সময়েই হামাসসহ বিভিন্ন ফিলিস্তিনি সংগঠনের উত্থান ঘটে, যারা আরাফাতের নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এবং রাজনৈতিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু করে। ২০০২ সাল থেকে ইসরায়েলি বাহিনী তাঁকে পশ্চিম তীরের রামাল্লার নিজের সদর দপ্তরে অবরুদ্ধ করে রাখে। সেখানেই গৃহবন্দী অবস্থায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং ২০০৪ সালের ১১ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ব্যক্তিত্ব:

  • কফি আনান, যিনি জাতিসংঘের সপ্তম মহাসচিব ছিলেন, ২০০১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

  • ওসামা বিন লাদেন, চরমপন্থী সংগঠন আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা এবং ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবে পরিচিত।

  • অ্যারিয়েল শ্যারন ছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী, যিনি ২০০১ সালে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন।

    উৎস: Britannica

Unfavorite

0

Updated: 1 month ago

Related MCQ

সম্প্রতি, ফিলিস্তিনপন্থী 'মার্চ ফর হিউম্যানিটি' কর্মসূচি কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছে? [আগস্ট, ২০২৫]

Created: 3 weeks ago

A

প্যারিস, ফ্রান্স

B

সিডনি, অস্ট্রেলিয়া

C

লন্ডন, যুক্তরাজ্য

D

ওয়াশিংটন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

Unfavorite

0

Updated: 3 weeks ago

Links

Home

Exams

Live Exam

© LXMCQ, Inc. - All Rights Reserved

Developed by WiztecBD