কবি যশোরাজ খান বৈষ্ণবপদ রচনা করেন কোন ভাষায়?
A
ব্রজবুলি
B
বাংলা
C
সংস্কৃত
D
হিন্দি
উত্তরের বিবরণ
ব্রজবুলি আসলে মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের একটি বিশেষ কাব্যভাষা, যাকে কৃত্রিমভাবে গঠিত একটি সাহিত্যিক উপভাষা বলা হয়। এ ভাষার মূল বৈশিষ্ট্য, ব্যবহার ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব নিম্নরূপভাবে বোঝা যায়।
-
ব্রজবুলি ছিল মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের দ্বিতীয় কাব্যভাষা বা উপভাষা।
-
মিথিলার কবি বিদ্যাপতি (আনুমানিক ১৩৭৪-১৪৬০) প্রথম এই ভাষার উদ্ভাবন করেন।
-
তিনি মৈথিলী ভাষার সঙ্গে বাংলা ভাষার মিশ্রণ ঘটিয়ে একটি নতুন artificial literary language সৃষ্টি করেন।
-
এই ভাষায় বিদ্যাপতি অসংখ্য lyrics (পদ) রচনা করেন, যার অধিকাংশই Radha-Krishna’s divine love বা রাধাকৃষ্ণের লীলাকাহিনি নিয়ে। পদগুলিতে রাধাকৃষ্ণের Braj-lila বর্ণিত হওয়ায় ভাষার নাম হয় ব্রজবুলি।
-
বিদ্যাপতির পদ বাংলায় অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছিল; বিশেষত Chaitanyadev এই পদগুচ্ছের আস্বাদন করায় বাংলার কবিরা এ ভাষার প্রতি বিশেষভাবে আকৃষ্ট হন।
-
ষোড়শ শতাব্দীতে বাঙালি বৈষ্ণব কবিরা বিদ্যাপতির ভাষা ও ছন্দ অনুকরণ করে রাধাকৃষ্ণবিষয়ক পদ রচনা করতে থাকেন।
-
Hindu-Muslim বৈষ্ণব কবিরা উভয়েই এই ভাষায় প্রচুর পদ রচনা করেছেন। এই ধারা উনিশ শতক পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।
-
আধুনিক যুগেও এর প্রভাব দেখা যায়; যেমন Rabindranath Tagore, তাঁর Bhanusingher Padavali এই ভাষায় রচনা করেন।
-
বাংলাদেশের প্রথম ব্রজবুলি পদ রচনা করেন যশোরাজ খান, আসামে শংকরদেব, এবং উড়িষ্যায় রামানন্দ রায়।
-
এঁরা তিনজনই ষোড়শ শতকের কবি।
-
ব্রজবুলির শ্রেষ্ঠ বাঙালি কবি ছিলেন গোবিন্দদাস কবিরাজ (১৬শ–১৭শ শতক)।
0
Updated: 1 month ago
জ্ঞানদাসকে আর কী নামে ডাকা হতো?
Created: 1 month ago
A
গোবিন্দ দাস
B
শ্রীমঙ্গল
C
মদনমোহন
D
শ্রীকান্ত
জ্ঞানদাস চৈতন্যোত্তর বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি হিসেবে পরিচিত। তিনি পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার কাটোয়ার কাঁদড়া গ্রামে এক মঙ্গল-ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর কাব্যিক এবং আধ্যাত্মিক অবদান তাঁকে মঙ্গল ঠাকুর, শ্রীমঙ্গল এবং মদন-মঙ্গল নামেও পরিচিত করে।
-
বৈষ্ণব সাধকদের মধ্যে তিনি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিলেন।
-
তিনি বৈষ্ণবগুরু নিত্যানন্দের পত্নী জাহ্নবী দেবীর শিষ্য ছিলেন।
-
ষোড়শ-গোপাল-এর রূপ প্রথমবার পদে বর্ণনা করেছেন জ্ঞানদাস।
-
তিনি বাংলা এবং ব্রজ ভাষায় রাধাকৃষ্ণ সম্পর্কিত প্রায় ২০০ (কিছু মতে ৪০০) পদ রচনা করেছেন।
-
তাঁর রচিত মাথুর ও মুরলীশিক্ষা বৈষ্ণবগীতিকাব্যের দুটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ।
পদরচনায় তিনি বিদ্যাপতি ও চণ্ডীদাসকে অনুসরণ করলেও সংস্কার ত্যাগ করে সরল ও স্বাভাবিক সুরে রচনা করেছেন, যা পাঠকদের আকৃষ্ট করে। তাঁর লেখায় প্রেম, সৌন্দর্য ও আধ্যাত্মিকতা প্রধান বিষয় এবং তিনি বৃন্দাবনের কিশোর-কিশোরীর লীলাকে মানবজীবনের দৃষ্টিকোণ থেকে বর্ণনা করেছেন।
0
Updated: 1 month ago
বৈষ্ণব পদাবলীর সঙ্গে কোন ভাষা সম্পর্কিত?
Created: 2 months ago
A
সন্ধ্যাভাষা
B
অধিভাষা
C
ব্রজবুলি
D
সংস্কৃত ভাষা
বৈষ্ণব পদাবলি
বাংলা মধ্যযুগের সাহিত্যের সবচেয়ে উজ্জ্বল সৃষ্টি হলো বৈষ্ণব পদাবলি। এ কাব্যের প্রধান নায়ক ও নায়িকা হচ্ছেন শ্রীকৃষ্ণ ও রাধা। তাঁদের প্রেমকাহিনীকে কেন্দ্র করে বহু কবি পদ রচনা করেছেন।
এ ধারার উল্লেখযোগ্য কবিদের মধ্যে আছেন—
-
বিদ্যাপতি
-
চণ্ডীদাস
-
জ্ঞানদাস
-
গোবিন্দদাস
ভাষা ও বৈশিষ্ট্য
-
বৈষ্ণব পদাবলি মূলত রচিত হয়েছে ব্রজবুলি ভাষায়।
-
ব্রজবুলি হলো মৈথিলি ও বাংলার মিশ্রণে গঠিত এক ধরনের কৃত্রিম সাহিত্যিক ভাষা।
-
এটিকে বাংলা মধ্যযুগের দ্বিতীয় কাব্যভাষা বলা হয়।
-
ধারণা করা হয়, পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষভাগে মিথিলার কবি বিদ্যাপতি প্রথম ব্রজবুলি ব্যবহার করেন।
অন্যদিকে, চর্যাপদের ভাষাকে গবেষকেরা অনেক সময় সন্ধ্যাভাষা বা সন্ধাভাষা নামে অভিহিত করেছেন।
উৎসঃ লাল নীল দীপাবলি – হুমায়ুন আজাদ
0
Updated: 2 months ago
ব্রজবুলিতে কোন কবি পদাবলি রচনা করেন?
Created: 3 months ago
A
জ্ঞানদাস
B
বিদ্যাপতি
C
গোবিন্দদাস
D
কোনটিই নয়
ব্রজবুলি মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের দ্বিতীয় কাব্যভাষা বা উপভাষা। মিথিলার কবি বিদ্যাপতি (আনু. ১৩৭৪-১৪৬০) এর উদ্ভাবক। তিনি মৈথিলী ভাষার সঙ্গে বাংলা ভাষার মিশ্রণে এই কৃত্রিম সাহিত্যিক ভাষা উদ্ভাবন করেন। এ ভাষায় তিনি রাধাকৃষ্ণের লীলাবিষয়ক বহু পদ রচনা করেন।
পদগুলিতে রাধাকৃষ্ণের ব্রজলীলা বর্ণিত হওয়ায় এর নাম হয়েছে ব্রজবুলি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী রচনা করেছেন এ ভাষায়।
0
Updated: 3 months ago