চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ প্রকাশ করেন কে?
A
প্রবোধচন্দ্র বাগচী
B
যতীন্দ্র মোহন বাগচী
C
প্রফুল্ল মোহন বাগচী
D
প্রণয়ভূষণ বাগচী
উত্তরের বিবরণ
চর্যাপদকে ঘিরে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ইতিহাসে পাওয়া যায়। ১৯৩৮ সালে ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতী ভাষার অনুবাদ আবিষ্কার করেন এবং তা প্রকাশ করে দীর্ঘদিনের রহস্য বা চর্যার জট উন্মোচন করেন। উল্লেখযোগ্য যে, চর্যাপদকে তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন কীর্তিচন্দ্র।
-
চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ/কবিতা সংকলন/গানের সংকলন হিসেবে স্বীকৃত।
-
এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন।
-
চর্যাগুলো রচনা করেছিলেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ, যেখানে বৌদ্ধধর্মের আধ্যাত্মিক দিক উঠে এসেছে।
-
সুকুমার সেন তাঁর বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস (প্রথম খন্ড) গ্রন্থে চর্যাপদের ২৪ জন পদকর্তার নাম উল্লেখ করেছেন।
-
অপরদিকে, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সম্পাদিত Buddhist Mystic Songs গ্রন্থে চর্যাপদের ২৩ জন কবির নাম পাওয়া যায়।
-
পদসংখ্যা নিয়ে মতভেদ আছে। সুকুমার সেন মনে করেন চর্যাপদের পদ সংখ্যা ৫১টি; তবে তাঁর চর্যাগীতি পদাবলী গ্রন্থে তিনি ৫০টি পদের উল্লেখ করেছেন। মুনিদত্তও ৫০টি পদ ব্যাখ্যা করেছিলেন।
-
ড. শহীদুল্লাহর মতে চর্যাপদের পদ সংখ্যা ৫০টি।
0
Updated: 1 month ago
"কাআ তরুবর পাঞ্চ বি ডাল।" সম্পর্কে কোনটি ভুল?
Created: 1 month ago
A
পঙ্ক্তিটির রচয়িতা চর্যাপদে ২টি পদ রচনা করেছেন।
B
পঙ্ক্তিটির রচয়িতা: লুইপা।
C
কোনোটিই নয়
D
এটি চর্যাপদের প্রথম পদ।
"কাআ তরুবর পাঞ্চ বি ডাল" পঙ্ক্তিটি চর্যাপদের প্রথম পদ এবং এর রচয়িতা লুইপা। এটি প্রাচীন যুগের রচনা, যার অর্থ হলো দেহ গাছের মতো, যার পাঁচটি ডাল।
পদটি হলো:
-
কাআ তরুবর পাঞ্চ বি ডাল। চঞ্চল চীএ পৈঠা কাল।।
-
দিঢ় করিঅ মহাসুহ পরিমাণ লূই ভণই গুরু পূছিহ জাণ।।
লুইপা সম্পর্কে তথ্য:
-
তিনি প্রবীণ বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্য ও চর্যাপদের কবি ছিলেন।
-
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্র অনুমান অনুযায়ী, লুইপা ৭৩০ থেকে ৮১০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে জীবিত ছিলেন।
-
চর্যাপদে তিনি দুটি পদ রচনা করেছেন, যা হলো ১ ও ২৯ নং পদ।
-
"চঞ্চল চীএ পৈঠা কাল" পদটিও তার রচনা।
0
Updated: 1 month ago
"কাআ তরুবর পাঞ্চ বি ডাল।" - চর্যাপদের এই পঙ্ক্তিটিতে “পাঞ্চ বি ডাল” দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
পঞ্চতত্ত্ব
B
পঞ্চ প্রাণ
C
পঞ্চশর
D
পঞ্চ ইন্দ্রিয়
চর্যাপদের প্রথম পদ —
''কাআ তরুবর পাঞ্চ বি ডালচঞ্চল চীএ পইঠা কাল।'' রচয়িতা লুইপা। আধুনিক বাংলায় এর রূপান্তর:
''কায়া তরুর মত, পাঁচটি তার ডালচঞ্চল চিত্তে কাল প্রবেশ করেছে।।''
-
অন্তর্নিহিত ভাব:
• মানুষকে একটি গাছের সাথে তুলনা করা হয়েছে, যার পাঁচটি শাখা হল পঞ্চ ইন্দ্রিয় (চোখ, কান, নাক, জিহ্বা, ত্বক)।
• এই পাঁচ ইন্দ্রিয় দ্বারা মানুষ দৈনন্দিন বস্তুজগতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখে।
• চর্যাপদের গূঢ় ভাষায়:-
“তরু” = দেহ
-
“ডাল/শাখা” = ইন্দ্রিয়
-
“পাঞ্চ বি ডাল” = দেহের পাঁচটি ইন্দ্রিয়
-
-
লুইপা সম্পর্কিত তথ্য:
• প্রবীণ বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্য ও চর্যাপদের কবি।
• মুহম্মদ শহীদুল্লাহ-এর অনুমান: ৭৩০–৮১০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে জীবিত ছিলেন।
• চর্যাপদে দুটি পদ লিখেছেন (১ ও ২৯ নং পদ)।
0
Updated: 1 month ago
বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন কোনটি?
Created: 6 months ago
A
চর্যাপদ
B
শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কাব্য
C
বঙ্গবাণী
D
অন্যমঙ্গল কাব্য
চর্যাপদ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের আদি নিদর্শন।
- এটি মূলত গানের সংকলন।
- ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপাল রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে এর পুথি আবিষ্কার করেন।
- চর্যাপদ রচনা করেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ। সহজিয়াগণ হচ্ছেন বৌদ্ধ সহজযান পন্থি।
- চর্যাপদের পদ সংখ্যা নিয়ে মতবিরোধ আছে। সুকুমার সেনের হিসাবে ৫১টি পদ এবং মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছেন ৫০টি পদ। চর্যাপদ ছিন্ন অবস্থায় পাওয়া যাওয়ায় এই মতান্তরের সৃষ্টি।
- চর্যাপদের কবির সংখ্যা ২৩ মতান্তরে ২৪ জন।
- চর্যাপদের পদগুলো প্রাচীন কোন ছন্দে রচিত তা আজ বলা সম্ভবপর নয়। তবে আধুনিক ছন্দের বিচারে এগুলো মাত্রাবৃত্ত ছন্দের অধীন বিবেচ্য।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।
0
Updated: 6 months ago