প্লেটোর 'রিপাবলিক' গ্রন্থে সুশাসনের ধারণাকে কীরূপ প্রত্যয় হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে?
A
একমুখী প্রত্যয়
B
দ্বিমুখী প্রত্যয়
C
সরল প্রত্যয়
D
জটিল প্রত্যয়
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন (Good Governance) সম্পর্কিত তথ্য
-
প্লেটো অনুযায়ী, সুশাসন হলো সরকার ও জনগণের মধ্যে সম্পর্কযুক্ত দ্বিমুখী প্রত্যয়, যেখানে উভয়েরই দায়িত্ব ও অধিকার রয়েছে।
-
শব্দার্থ: সুশাসনের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Good Governance।
-
অর্থ: সুশাসন মানে হলো নির্ভুল, দক্ষ ও কার্যকরী শাসন।
-
উদ্ভাবক ও প্রথম ব্যবহার: সুশাসন ধারণাটি বিশ্বব্যাংকের উদ্ভাবিত। ১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংক প্রথমবার এটি ব্যবহার করে।
-
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বারবার কোনাবল এই শব্দটি প্রথম প্রচলিত করেন।
-
প্লেটোর ‘রিপাবলিক’ গ্রন্থে সুশাসনের ধারণা প্রায়ই উল্লেখিত হয়েছে, যেখানে এটি সরকারের এবং জনগণের মধ্যে দ্বিমুখী প্রত্যয় হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 1 month ago
’শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস’ কোন ধরনের অবক্ষয়?
Created: 1 month ago
A
সামাজিক
B
নৈতিক
C
অর্থনৈতিক
D
পারিবারিক
সমাজে নৈতিকতা, আদর্শ ও সুশাসনের অভাব সমাজকে নষ্ট করে দেয় এবং সামাজিক বন্ধনকে দুর্বল করে। এর ফলে আইন-শৃঙ্খলা অক্ষুণ্ণ থাকে না এবং মানুষের মধ্যে অসততা, অনাচার ও অন্যায়ের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
সামাজিক অবক্ষয়সমূহের মধ্যে রয়েছে:
-
অপসংস্কৃতি
-
যুব সমাজের অবক্ষয়
-
বাল্যবিবাহ
-
যৌতুক প্রথা
-
মাদকাসক্তি
-
শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস
-
ইভটিজিং
-
নারী ও শিশু নির্যাতন
-
আর্থ-সামাজিক সমস্যা
-
দুর্নীতি
-
রাজনৈতিক অস্থিরতা
-
দরিদ্রতা
-
খাদ্যে ভেজাল
-
সহিংসতা ও যুদ্ধমূলক সমস্যা
-
যুদ্ধ, জঙ্গিবাদ, চরমপন্থা, মৌলবাদ, বর্ণবাদ
-
রাষ্ট্র কর্তৃক রাষ্ট্র আক্রমণ
0
Updated: 1 month ago
UNCAC-এর লক্ষ্য কী?
Created: 1 month ago
A
শিক্ষা প্রসার
B
রাষ্ট্রের উন্নয়ন
C
দুর্নীতি প্রতিরোধ
D
কৃষি উন্নয়ন
মেরিডা কনভেনশন (আনুষ্ঠানিক নাম: United Nations Convention Against Corruption – UNCAC) হলো জাতিসংঘের দুর্নীতি বিরোধী একমাত্র বাধ্যতামূলক আন্তর্জাতিক চুক্তি, যা দুর্নীতি প্রতিরোধ ও স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গৃহীত।
-
লক্ষ্য: দুর্নীতি প্রতিরোধ, অপরাধীকরণ, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, সম্পদ পুনরুদ্ধার এবং কারিগরি সহায়তা প্রদান।
-
সাধারণ পরিষদে অনুমোদন: ৩১ অক্টোবর, ২০০৩
-
স্বাক্ষরকাল: ৯–১১ ডিসেম্বর, ২০০৩
-
স্বাক্ষরস্থল: মেরিডা, ইউকাটান, মেক্সিকো
-
কার্যকর হওয়ার তারিখ: ১৪ ডিসেম্বর, ২০০৫
-
বর্তমান স্বাক্ষরকারী দেশ: ১৯১টি
-
বাংলাদেশের স্বাক্ষর ও অনুমোদন: ২০০৭ সালে
0
Updated: 1 month ago
কোনটিকে সুশাসনের প্রাণ বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
স্বচ্ছতা
B
দায়িত্বশীলতা
C
দক্ষতা
D
গণতন্ত্র
গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা, দায়িত্বশীলতা ও দক্ষতা সুশাসনের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত। এগুলোই একটি কার্যকর ও জনগণমুখী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মূল চাবিকাঠি।
-
গণতন্ত্র (Democracy): গণতন্ত্র হলো সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রাণ। সুশাসন নিশ্চিত করতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিকল্প নেই। এটি জনগণের অংশগ্রহণ, মতপ্রকাশ ও সমানাধিকার নিশ্চিত করে।
-
স্বচ্ছতা (Transparency): স্বচ্ছতার অর্থ হলো পরিষ্কার, স্পষ্ট ও নির্ভুল ব্যবস্থা। দ্ব্যর্থহীনতা স্বচ্ছতার প্রধান লক্ষণ। যখন শাসন ব্যবস্থার আইন, নীতি বা সিদ্ধান্ত স্পষ্ট ও পরিস্কার হয় এবং এর একাধিক ব্যাখ্যার সুযোগ থাকে না, তখন তা জনগণের জন্য সহজবোধ্য হয়। স্বচ্ছ নীতি ও সিদ্ধান্ত সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথে সহায়ক।
-
দায়িত্বশীলতা (Responsibility): সুশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো দায়িত্বশীলতা। এর অর্থ হলো সরকার ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার কর্মকাণ্ডের প্রতি দায়বদ্ধ থাকা। সরকারের শাসন বিভাগের নীতি-সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রমের জন্য আইন বিভাগের কাছে দায়বদ্ধ থাকা এবং পরোক্ষভাবে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকা দায়িত্বশীলতার অংশ।
-
দক্ষতা (Efficiency): দক্ষতা বলতে প্রাপ্ত সম্পদ ও উপকরণের সুষ্ঠু ব্যবহার করে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জনকে বোঝায়। অবাধ তথ্য সরবরাহ, প্রশিক্ষণ, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জ্ঞান, দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব, কর্তব্যনিষ্ঠা, নিয়ম মেনে চলা, সততা ও কাজে আগ্রহ দক্ষতা বৃদ্ধির মূল উপাদান। এই সব নিশ্চিত করলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সহজ হয়।
0
Updated: 1 month ago