সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকের কর্তব্য নয় -
A
নিয়মিত কর প্রদান
B
আইন মান্য করা
C
সন্তানদের শিক্ষাদান
D
সরকার পরিচালনায় সাহায্য করা
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন ও নাগরিকের কর্তব্য
সংজ্ঞা ও ব্যাখ্যা:
একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নাগরিকদের অধিকার ভোগের পাশাপাশি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করাও অপরিহার্য। সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য শুধু সরকার সচেষ্ট হলে হবে না; নাগরিককেও তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। কর্তব্যবিমুখ জাতি কখনো উন্নতি লাভ করতে পারে না এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয় না।
নাগরিকের গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্যসমূহ:
-
সামাজিক দায়িত্ব পালন: সমাজ ও কমিউনিটির কল্যাণে অবদান রাখা।
-
রাষ্ট্রের সেবা করা: রাষ্ট্রের কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ।
-
সন্তানদের শিক্ষাদান: ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নৈতিক ও শিক্ষিত নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।
-
রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন: দেশের সংবিধান ও নীতি মেনে চলা।
-
আইন মান্য করা: আইন এবং বিধি-নিষেধ মেনে চলা।
-
সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন: সততার সঙ্গে ভোট প্রদান ও যোগ্য প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন।
-
নিয়মিত কর প্রদান: রাষ্ট্রের আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা।
উল্লেখযোগ্য:
নাগরিকের এই কর্তব্যসমূহের যথাযথ পালনই সুশাসনের মূল ভিত্তি।

0
Updated: 13 hours ago
মূল্যবোধের......হলো সংস্কৃতি।
Created: 20 hours ago
A
প্রাণ
B
সোপান
C
চালিকাশক্তি
D
কোনটিই নয়
মূল্যবোধ হলো সেই মৌলিক নীতি, ধারণা ও বিশ্বাস যা মানুষের আচরণ, কর্মকাণ্ড ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দিকনির্দেশনা দেয়। সমাজজীবনে একজন ব্যক্তি কিভাবে চলবে, অন্যদের সাথে কিভাবে আচরণ করবে, কোন কাজ ভালো এবং কোন কাজ মন্দ তা নির্ধারণ করে মূল্যবোধ। এগুলো সমাজ ও সংস্কৃতির সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত।
-
ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত জীবনে প্রভাব: সমাজে মানুষের ব্যক্তিগত জীবন যেমন—আচার-আচরণ, পারিবারিক সম্পর্ক, সামাজিক যোগাযোগ—সবকিছুই মূল্যবোধ দ্বারা প্রভাবিত হয়। একইভাবে সমষ্টিগতভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা, শিক্ষা, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ইত্যাদি ক্ষেত্রেও মূল্যবোধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
সংস্কৃতির ভূমিকা: মানুষের আচরণ ও মূল্যবোধ গঠনে সংস্কৃতি প্রধান ভূমিকা পালন করে। সংস্কৃতির মাধ্যমে মানুষ শিখে কীভাবে আচরণ করতে হবে এবং কোন কাজ সমাজে গ্রহণযোগ্য বা অগ্রহণযোগ্য।
-
আচরণের ভিন্নতা: বিভিন্ন সমাজে ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি প্রচলিত থাকার কারণে মানুষের আচরণেও পার্থক্য দেখা যায়। যেমন, একটি সমাজে যে কাজকে নৈতিক বা গ্রহণযোগ্য মনে করা হয়, অন্য সমাজে সেটিকে অগ্রহণযোগ্য মনে হতে পারে। এই ভিন্নতার পেছনে মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির পার্থক্য কাজ করে।
-
সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের সম্পর্ক: সংস্কৃতিকে মূল্যবোধের চালিকাশক্তি বলা হয়, কারণ সংস্কৃতি মানুষকে কাঙ্ক্ষিত আচরণের দিকনির্দেশনা দেয় এবং মূল্যবোধকে জীবন্ত রাখে।
⇒ অর্থাৎ, মূল্যবোধ সমাজে শৃঙ্খলা, সহযোগিতা, ন্যায়পরায়ণতা, সততা, দায়িত্বশীলতা ইত্যাদি গুণাবলী প্রতিষ্ঠা করে এবং একটি উন্নত ও মানবিক সমাজ গঠনে সহায়তা করে।

0
Updated: 20 hours ago
নিচের কোনটি মূল্যবোধের উপাদান?
Created: 13 hours ago
A
আইনের শাসন
B
সহমর্মিতা
C
সহনশীলতা
D
উপরের সবগুলো
মূল্যবোধের উপাদান
মূল্যবোধ হলো মানুষের আচরণ, চিন্তা ও সিদ্ধান্তকে নিয়ন্ত্রণকারী নীতি ও মানদণ্ড। এটি একটি অর্জিত বিষয়, যা সমাজের পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও সামাজিক উপাদানের প্রভাবে গড়ে ওঠে। অর্থাৎ, একজন ব্যক্তির মূল্যবোধের ধরন নির্ভর করে তার জীবনযাপন, শিক্ষা, পরিবার, সংস্কৃতি ও সমাজের উপর।
মূল্যবোধের প্রধান উপাদানগুলো হলো:
-
নীতি ও ঔচিত্যবোধ – সঠিক ও ভুলের মধ্যে পার্থক্য চিহ্নিত করার ক্ষমতা।
-
শৃঙ্খলাবোধ – ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে নিয়ম ও বিধি মানার মানসিকতা।
-
সহনশীলতা – ভিন্ন মত, বিশ্বাস ও অবস্থার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া।
-
সহমর্মিতা – অন্যের দুঃখ-দুর্দশা উপলব্ধি করে সাহায্য করার প্রবণতা।
-
সামাজিক ন্যায়বিচার – সমাজে সমতা, ন্যায় এবং অধিকার রক্ষা করার মনোভাব।
-
শ্রমের মর্যাদা – পরিশ্রমের প্রতি সম্মান ও শ্রমিকের অধিকার স্বীকার করা।
-
আইনের শাসন – আইন অনুসরণ এবং আইনমাফিকভাবে আচরণ করার প্রবণতা।
-
নাগরিক সচেতনতা ও কর্তব্যবোধ – নাগরিক হিসেবে দায়িত্বপূর্ণ ও সচেতন হওয়া।
-
সরকার ও রাষ্ট্রের জনকল্যাণমুখিতা – জনগণের কল্যাণ ও সেবায় সরকারের মনোযোগ।
-
সরকার ও রাষ্ট্রের দায়দায়িত্ব ও জবাবদিহিতা – সরকারি কর্মকাণ্ডের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
উপসংহার:
মূল্যবোধ সমাজ ও রাষ্ট্রের ভিত্তি, যা সততা, ন্যায়, শৃঙ্খলা এবং সহমর্মিতার মতো গুণাবলীর মাধ্যমে মানুষকে সুশাসিত ও নৈতিকভাবে দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে।

0
Updated: 13 hours ago
জাতীয় উন্নতির চাবিকাঠি -
Created: 20 hours ago
A
সামাজিক মূল্যবোধ
B
নৈতিক মূল্যবোধ
C
রাজনৈতিক মূল্যবোধ
D
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে সমাজ ও রাষ্ট্রে এই মূল্যবোধের ধারণা বেশি উন্নত, সেই সমাজ ও রাষ্ট্র তত উন্নত ও প্রগতিশীল হয়।
-
জাতীয় সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ভিত্তি: গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ একটি জাতির রাজনৈতিক সম্পদ হিসেবে বিবেচিত। এর ওপর ভিত্তি করে জাতির সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য গড়ে ওঠে।
-
জাতীয় উন্নতির চাবিকাঠি: গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ জাতিকে কর্মঠ ও পরিশ্রমী করে এবং দ্রুত উন্নতি অর্জনের পথ সুগম করে।
-
দেশাত্মবোধ জাগ্রত করে: এটি নাগরিকদের মধ্যে নিজের প্রতি ও দেশের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি করে এবং দেশের মঙ্গলের জন্য কর্তব্য পালন করার মনোভাব জাগ্রত করে।
-
সামাজিক বন্ধন ও জাতীয় ঐক্য সুদৃঢ় করে: গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রত্যেকের মধ্যে সৌভ্রাতৃত্ববোধ, সহানুভূতি ও সহমর্মিতা তৈরি করে, যার ফলে সামাজিক বন্ধন ও জাতীয় ঐক্য দৃঢ় হয়।
-
নাগরিকের ব্যক্তিত্ব বিকাশে সাহায্য করে: এটি নাগরিকের ব্যক্তিত্বের পূর্ণ বিকাশ ও পরিপূর্ণতা নিশ্চিত করে।
-
উদারতা ও সহনশীলতার শিক্ষা দেয়: গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ফলে রাজনৈতিক সততা, শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ, সহিষ্ণুতা, সংখ্যাগরিষ্ঠ ও সংখ্যালঘিষ্ঠের প্রতি শ্রদ্ধা, বিরোধী মত প্রচার ও নির্বাচনে জয়-পরাজয় মেনে নেওয়ার মনোভাব তৈরি হয়। এর ফলে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে উত্তেজনা প্রশমিত হয়।
-
জবাবদিহিতার মানসিকতা ও দায়িত্বশীল আচরণ: নাগরিক ও সরকার উভয়েই দায়িত্বশীল হয়ে ওঠে। সরকার তাদের কাজের জন্য জনগণের নিকট জবাবদিহি করে এবং আইনসভায় জনপ্রতিনিধিদের প্রশ্নের উত্তর বা কৈফিয়ত প্রদান করে।
-
শৃঙ্খলাবোধ জাগ্রত করে: গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ জাতিকে শৃঙ্খলাবদ্ধ হতে উদ্বুদ্ধ করে, যা রাষ্ট্রের অগ্রগতি ও উন্নতি ত্বরান্বিত করে।
-
নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সরকার পরিবর্তন: এটি নির্বাচনি রায় ও জনগণের ম্যান্ডেট মেনে সরকারকে নির্দিষ্ট মেয়াদে কাজ করতে দেয় এবং শান্তিপূর্ণভাবে সরকার গঠন ও পরিবর্তনের মানসিকতা তৈরি করে।

0
Updated: 20 hours ago