সুশাসনের মানদণ্ড কী?
A
শাসকের সম্মতি ও সন্তুষ্টি
B
জনগণের সম্মতি ও সন্তুষ্টি
C
আন্তর্জাতিক সম্মতি ও সন্তুষ্টি
D
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সন্তুষ্টি
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন (Good Governance)
সুশাসন হলো একটি শাসন ব্যবস্থার নির্ভুল, দক্ষ ও কার্যকরী পরিচালনা, যার লক্ষ্য হলো জনকল্যাণ ও মৌলিক স্বাধীনতার উন্নয়ন।
মূল দিকসমূহ:
-
আইনের শাসন: সুশাসনের মূলভিত্তি হলো আইন অনুসরণ ও কার্যকর করা।
-
স্বচ্ছতা: সরকার ও প্রশাসনের কর্মকাণ্ডের স্বচ্ছতা সুশাসনের চালিকাশক্তি।
-
জনগণের আস্থা ও সম্মতি: একটি শাসন ব্যবস্থা কতটা সুশাসিত তা পরিমাপ করা হয় জনগণের আস্থা, সম্মতি এবং সন্তুষ্টির মাধ্যমে।
-
কার্যকারিতা: সরকার ও প্রশাসন দক্ষ ও ফলপ্রসূভাবে কাজ করতে সক্ষম হতে হবে।
উপসংহার:
সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্রের জনগণ স্বচ্ছ, জবাবদিহি এবং ন্যায়নিষ্ঠ শাসনের মাধ্যমে তাদের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে।
0
Updated: 1 month ago
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকের কর্তব্য নয় -
Created: 1 month ago
A
নিয়মিত কর প্রদান
B
আইন মান্য করা
C
সন্তানদের শিক্ষাদান
D
সরকার পরিচালনায় সাহায্য করা
সুশাসন ও নাগরিকের কর্তব্য
সংজ্ঞা ও ব্যাখ্যা:
একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নাগরিকদের অধিকার ভোগের পাশাপাশি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করাও অপরিহার্য। সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য শুধু সরকার সচেষ্ট হলে হবে না; নাগরিককেও তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। কর্তব্যবিমুখ জাতি কখনো উন্নতি লাভ করতে পারে না এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয় না।
নাগরিকের গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্যসমূহ:
-
সামাজিক দায়িত্ব পালন: সমাজ ও কমিউনিটির কল্যাণে অবদান রাখা।
-
রাষ্ট্রের সেবা করা: রাষ্ট্রের কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ।
-
সন্তানদের শিক্ষাদান: ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নৈতিক ও শিক্ষিত নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।
-
রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন: দেশের সংবিধান ও নীতি মেনে চলা।
-
আইন মান্য করা: আইন এবং বিধি-নিষেধ মেনে চলা।
-
সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন: সততার সঙ্গে ভোট প্রদান ও যোগ্য প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন।
-
নিয়মিত কর প্রদান: রাষ্ট্রের আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা।
উল্লেখযোগ্য:
নাগরিকের এই কর্তব্যসমূহের যথাযথ পালনই সুশাসনের মূল ভিত্তি।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি মূল্যবোধের উপাদান?
Created: 1 month ago
A
আইনের শাসন
B
সহমর্মিতা
C
সহনশীলতা
D
উপরের সবগুলো
মূল্যবোধের উপাদান
মূল্যবোধ হলো মানুষের আচরণ, চিন্তা ও সিদ্ধান্তকে নিয়ন্ত্রণকারী নীতি ও মানদণ্ড। এটি একটি অর্জিত বিষয়, যা সমাজের পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও সামাজিক উপাদানের প্রভাবে গড়ে ওঠে। অর্থাৎ, একজন ব্যক্তির মূল্যবোধের ধরন নির্ভর করে তার জীবনযাপন, শিক্ষা, পরিবার, সংস্কৃতি ও সমাজের উপর।
মূল্যবোধের প্রধান উপাদানগুলো হলো:
-
নীতি ও ঔচিত্যবোধ – সঠিক ও ভুলের মধ্যে পার্থক্য চিহ্নিত করার ক্ষমতা।
-
শৃঙ্খলাবোধ – ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে নিয়ম ও বিধি মানার মানসিকতা।
-
সহনশীলতা – ভিন্ন মত, বিশ্বাস ও অবস্থার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া।
-
সহমর্মিতা – অন্যের দুঃখ-দুর্দশা উপলব্ধি করে সাহায্য করার প্রবণতা।
-
সামাজিক ন্যায়বিচার – সমাজে সমতা, ন্যায় এবং অধিকার রক্ষা করার মনোভাব।
-
শ্রমের মর্যাদা – পরিশ্রমের প্রতি সম্মান ও শ্রমিকের অধিকার স্বীকার করা।
-
আইনের শাসন – আইন অনুসরণ এবং আইনমাফিকভাবে আচরণ করার প্রবণতা।
-
নাগরিক সচেতনতা ও কর্তব্যবোধ – নাগরিক হিসেবে দায়িত্বপূর্ণ ও সচেতন হওয়া।
-
সরকার ও রাষ্ট্রের জনকল্যাণমুখিতা – জনগণের কল্যাণ ও সেবায় সরকারের মনোযোগ।
-
সরকার ও রাষ্ট্রের দায়দায়িত্ব ও জবাবদিহিতা – সরকারি কর্মকাণ্ডের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
উপসংহার:
মূল্যবোধ সমাজ ও রাষ্ট্রের ভিত্তি, যা সততা, ন্যায়, শৃঙ্খলা এবং সহমর্মিতার মতো গুণাবলীর মাধ্যমে মানুষকে সুশাসিত ও নৈতিকভাবে দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে।
0
Updated: 1 month ago
প্লেটোর 'রিপাবলিক' গ্রন্থে সুশাসনের ধারণাকে কীরূপ প্রত্যয় হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
একমুখী প্রত্যয়
B
দ্বিমুখী প্রত্যয়
C
সরল প্রত্যয়
D
জটিল প্রত্যয়
সুশাসন (Good Governance) সম্পর্কিত তথ্য
-
প্লেটো অনুযায়ী, সুশাসন হলো সরকার ও জনগণের মধ্যে সম্পর্কযুক্ত দ্বিমুখী প্রত্যয়, যেখানে উভয়েরই দায়িত্ব ও অধিকার রয়েছে।
-
শব্দার্থ: সুশাসনের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Good Governance।
-
অর্থ: সুশাসন মানে হলো নির্ভুল, দক্ষ ও কার্যকরী শাসন।
-
উদ্ভাবক ও প্রথম ব্যবহার: সুশাসন ধারণাটি বিশ্বব্যাংকের উদ্ভাবিত। ১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংক প্রথমবার এটি ব্যবহার করে।
-
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বারবার কোনাবল এই শব্দটি প্রথম প্রচলিত করেন।
-
প্লেটোর ‘রিপাবলিক’ গ্রন্থে সুশাসনের ধারণা প্রায়ই উল্লেখিত হয়েছে, যেখানে এটি সরকারের এবং জনগণের মধ্যে দ্বিমুখী প্রত্যয় হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 1 month ago