নিচের কোনটি মূল্যবোধের উপাদান?
A
আইনের শাসন
B
সহমর্মিতা
C
সহনশীলতা
D
উপরের সবগুলো
উত্তরের বিবরণ
মূল্যবোধের উপাদান
মূল্যবোধ হলো মানুষের আচরণ, চিন্তা ও সিদ্ধান্তকে নিয়ন্ত্রণকারী নীতি ও মানদণ্ড। এটি একটি অর্জিত বিষয়, যা সমাজের পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও সামাজিক উপাদানের প্রভাবে গড়ে ওঠে। অর্থাৎ, একজন ব্যক্তির মূল্যবোধের ধরন নির্ভর করে তার জীবনযাপন, শিক্ষা, পরিবার, সংস্কৃতি ও সমাজের উপর।
মূল্যবোধের প্রধান উপাদানগুলো হলো:
-
নীতি ও ঔচিত্যবোধ – সঠিক ও ভুলের মধ্যে পার্থক্য চিহ্নিত করার ক্ষমতা।
-
শৃঙ্খলাবোধ – ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে নিয়ম ও বিধি মানার মানসিকতা।
-
সহনশীলতা – ভিন্ন মত, বিশ্বাস ও অবস্থার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া।
-
সহমর্মিতা – অন্যের দুঃখ-দুর্দশা উপলব্ধি করে সাহায্য করার প্রবণতা।
-
সামাজিক ন্যায়বিচার – সমাজে সমতা, ন্যায় এবং অধিকার রক্ষা করার মনোভাব।
-
শ্রমের মর্যাদা – পরিশ্রমের প্রতি সম্মান ও শ্রমিকের অধিকার স্বীকার করা।
-
আইনের শাসন – আইন অনুসরণ এবং আইনমাফিকভাবে আচরণ করার প্রবণতা।
-
নাগরিক সচেতনতা ও কর্তব্যবোধ – নাগরিক হিসেবে দায়িত্বপূর্ণ ও সচেতন হওয়া।
-
সরকার ও রাষ্ট্রের জনকল্যাণমুখিতা – জনগণের কল্যাণ ও সেবায় সরকারের মনোযোগ।
-
সরকার ও রাষ্ট্রের দায়দায়িত্ব ও জবাবদিহিতা – সরকারি কর্মকাণ্ডের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
উপসংহার:
মূল্যবোধ সমাজ ও রাষ্ট্রের ভিত্তি, যা সততা, ন্যায়, শৃঙ্খলা এবং সহমর্মিতার মতো গুণাবলীর মাধ্যমে মানুষকে সুশাসিত ও নৈতিকভাবে দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে।
0
Updated: 1 month ago
মূল্যবোধের......হলো সংস্কৃতি।
Created: 1 month ago
A
প্রাণ
B
সোপান
C
চালিকাশক্তি
D
কোনটিই নয়
মূল্যবোধ হলো সেই মৌলিক নীতি, ধারণা ও বিশ্বাস যা মানুষের আচরণ, কর্মকাণ্ড ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দিকনির্দেশনা দেয়। সমাজজীবনে একজন ব্যক্তি কিভাবে চলবে, অন্যদের সাথে কিভাবে আচরণ করবে, কোন কাজ ভালো এবং কোন কাজ মন্দ তা নির্ধারণ করে মূল্যবোধ। এগুলো সমাজ ও সংস্কৃতির সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত।
-
ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত জীবনে প্রভাব: সমাজে মানুষের ব্যক্তিগত জীবন যেমন—আচার-আচরণ, পারিবারিক সম্পর্ক, সামাজিক যোগাযোগ—সবকিছুই মূল্যবোধ দ্বারা প্রভাবিত হয়। একইভাবে সমষ্টিগতভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা, শিক্ষা, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ইত্যাদি ক্ষেত্রেও মূল্যবোধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
সংস্কৃতির ভূমিকা: মানুষের আচরণ ও মূল্যবোধ গঠনে সংস্কৃতি প্রধান ভূমিকা পালন করে। সংস্কৃতির মাধ্যমে মানুষ শিখে কীভাবে আচরণ করতে হবে এবং কোন কাজ সমাজে গ্রহণযোগ্য বা অগ্রহণযোগ্য।
-
আচরণের ভিন্নতা: বিভিন্ন সমাজে ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি প্রচলিত থাকার কারণে মানুষের আচরণেও পার্থক্য দেখা যায়। যেমন, একটি সমাজে যে কাজকে নৈতিক বা গ্রহণযোগ্য মনে করা হয়, অন্য সমাজে সেটিকে অগ্রহণযোগ্য মনে হতে পারে। এই ভিন্নতার পেছনে মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির পার্থক্য কাজ করে।
-
সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের সম্পর্ক: সংস্কৃতিকে মূল্যবোধের চালিকাশক্তি বলা হয়, কারণ সংস্কৃতি মানুষকে কাঙ্ক্ষিত আচরণের দিকনির্দেশনা দেয় এবং মূল্যবোধকে জীবন্ত রাখে।
⇒ অর্থাৎ, মূল্যবোধ সমাজে শৃঙ্খলা, সহযোগিতা, ন্যায়পরায়ণতা, সততা, দায়িত্বশীলতা ইত্যাদি গুণাবলী প্রতিষ্ঠা করে এবং একটি উন্নত ও মানবিক সমাজ গঠনে সহায়তা করে।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের 'নব্য-নৈতিকতার' প্রবর্তক হলেন-
Created: 3 weeks ago
A
মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ
B
জি. সি. দেব
C
আরজ আলী মাতুব্বর
D
আব্দুল মতীন
বাংলাদেশের যুক্তিবাদী দর্শনের ইতিহাসে আরজ আলী মাতুব্বর একটি অনন্য নাম। তিনি ছিলেন এমন এক চিন্তাবিদ যিনি উচ্চশিক্ষা না থাকা সত্ত্বেও স্বশিক্ষিত মননের মাধ্যমে সমাজে নতুন এক দার্শনিক ধারা সৃষ্টি করেন।তাঁর দর্শনের মূল লক্ষ্য ছিল মানুষকে কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস ও ধর্মীয় গোঁড়ামি থেকে মুক্ত করা এবং যুক্তি, বিজ্ঞান ও মানবিকতার আলোয় সত্যকে উপলব্ধি করানো।
জীবনের অভিজ্ঞতা ও প্রকৃতির বাস্তবতা থেকে তিনি শিখেছেন এবং সেই শিক্ষা থেকেই নির্মাণ করেছেন নিজের ভাবনাজগৎ, যা পরবর্তীতে পরিচিত হয় ‘নব-নৈতিকতা’ নামে।
তিনি বিশ্বাস করতেন, মানুষের মুক্তি আসবে চিন্তার স্বাধীনতা ও যুক্তিনিষ্ঠ মনোভাব থেকে। তাই জীবনের প্রতিটি প্রশ্নে তিনি খুঁজেছেন যুক্তিসঙ্গত উত্তর, ধর্মীয় অনুশাসন বা সমাজের প্রচলিত ধারণার অন্ধ অনুসরণ নয়।
তাঁর চিন্তাধারা মূলত বস্ত্তবাদী দর্শননির্ভর, যেখানে মানবজীবন, প্রকৃতি, পরিবেশ ও বিশ্বজগতের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ দেখা যায়। আরজ আলী মাতুব্বর কখনো গোঁড়ামির সঙ্গে আপস করেননি; বরং দৃঢ়চিত্তে অজ্ঞতা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে কলম ধরেছিলেন।
তাঁর লেখায় স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে যুক্তি, বাস্তবতা ও মানবতার আহ্বান। সহজ ভাষায় গভীর ভাব প্রকাশ করার ক্ষমতার কারণে সাধারণ মানুষও তাঁর চিন্তাধারার সঙ্গে একাত্মতা অনুভব করত। জীবনের নানা অভিজ্ঞতা, পর্যবেক্ষণ ও যুক্তিনিষ্ঠ বিশ্লেষণের সমন্বয়ে তিনি গড়ে তুলেছিলেন এমন এক দর্শন, যা আজও প্রাসঙ্গিক।
তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে:
-
‘সত্যের সন্ধান’ (১৯৭৩) – এখানে তিনি সত্য ও যুক্তির ভিত্তিতে ধর্ম ও সমাজকে বিশ্লেষণ করেছেন।
-
‘সৃষ্টিরহস্য’ (১৯৭৭) – জগৎ ও জীবনের উৎপত্তি নিয়ে তাঁর দার্শনিক অনুসন্ধান প্রকাশ পেয়েছে।
-
‘অনুমান’ (১৯৮৩) – মানবচিন্তা ও অভিজ্ঞতার ভূমিকা সম্পর্কে তাঁর গভীর উপলব্ধি প্রকাশিত হয়েছে।
-
‘মুক্তমন’ (১৯৮৮) – চিন্তার স্বাধীনতা ও যুক্তিনিষ্ঠ মানবতাবাদের দার্শনিক ব্যাখ্যা তুলে ধরা হয়েছে।
আরজ আলী মাতুব্বরের জীবন ও চিন্তা বাংলাদেশের বৌদ্ধিক ইতিহাসে এক উজ্জ্বল অধ্যায়, যেখানে যুক্তি ও মানবতার পথেই তিনি খুঁজেছেন সমাজের সত্যিকারের মুক্তি।
0
Updated: 3 weeks ago
মূল্যবোধ পরীক্ষা করে কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ন্যায় ও অন্যায়
B
ভালো ও মন্দ
C
নৈতিকতা ও অনৈতিকতা
D
উপরের সবগুলো
মূল্যবোধ
সংজ্ঞা:
মূল্যবোধ হলো একটি মানদণ্ড, যার মাধ্যমে কোনো কাজ বা আচরণের ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ, নৈতিক-অনৈতিক দিক বিচার করা হয়।
বৈশিষ্ট্য ও ব্যাখ্যা:
-
মূল্যবোধ একটি মানবিক গুণাবলী, যা মানুষের নীতি-নৈতিকতা ও বিবেকের উপর নির্ভরশীল।
-
এটি সামাজিক আচার-ব্যবহার, সংস্কৃতি চর্চা এবং পরিবেশে বসবাসের মাধ্যমে বিকশিত হয়।
-
মূল্যবোধ ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, নৈতিক-অনৈতিক বিচার করতে সহায়তা করে।
-
এটি আপেক্ষিক এবং সম্পর্কের ভিত্তিতে পরিবর্তনশীল হতে পারে।
-
মূল্যবোধের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত উপাদানসমূহ:
-
নীতিবোধ
-
শৃঙ্খলা
-
মানবিকতা
-
সহমর্মিতা
-
সৌজন্যবোধ
-
আইনের প্রতি শ্রদ্ধা
-
0
Updated: 1 month ago