আধুনিক মূল্যবোধ হচ্ছে -
A
আইন মেনে চলা
B
বাল্যবিবাহ বন্ধ করা
C
আইনসভাকে কার্যকর হতে সাহায্য করা
D
কোনটি নয়
উত্তরের বিবরণ
আধুনিক মূল্যবোধ
-
সমাজ পরিবর্তনশীল, তাই মূল্যবোধও ক্রমশ পরিবর্তিত হয়।
-
অতীতের অনেক মূল্যবোধ বর্তমানে অর্থহীন হয়ে গেছে।
-
উদাহরণস্বরূপ, বাল্যবিবাহ অতীতে প্রচলিত ছিল, কিন্তু এখন অপছন্দনীয়। রাষ্ট্র আইন প্রণয়ন করে বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধ করেছে।
-
অতীতে হিন্দু সমাজে প্রচলিত ছিল সতীদাহ, সহমরণ প্রথা এবং বিধবা বিবাহ নিষিদ্ধ। বর্তমানে এসব প্রথা নেই।
-
মূল্যবোধের পরিবর্তন হওয়ায় তা নৈর্ব্যক্তিক, অর্থাৎ সমাজের সময় ও প্রয়োজন অনুযায়ী গড়ে ওঠে।
-
বর্তমানের কিছু মূল্যবোধ ভবিষ্যতে অপসারণযোগ্য, এবং নতুন মূল্যবোধ উদ্ভূত হতে পারে।
0
Updated: 1 month ago
সরকারি চাকরিতে সততার মাপকাঠি কি?
Created: 2 months ago
A
যথা সময়ে অফিসে আগমন ও অফিস ত্যাগ করা
B
দাপ্তরিক কাজে কোনো অবৈধ সুবিধা গ্রহণ না করা
C
নির্মোহ ও নিরপেক্ষভাবে অর্পিত দায়িত্ব যথাবিধি সম্পন্ন করা
D
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যে কোনো নির্দেশ প্রতিপালন করা
সরকারি চাকরিতে সততার মানদণ্ড
সরকারি চাকরিতে সততার মাপকাঠি হলো নির্মোহ ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের অভ্যাস। একজন কর্মকর্তা তার দায়িত্ব যথাযথভাবে সম্পন্ন করলে তাকে সততাবান ধরা হয়।
নৈতিকতা (Ethics)
-
নৈতিকতার ইংরেজি শব্দ Ethics এসেছে গ্রিক শব্দ Ethos থেকে, যার অর্থ হলো চরিত্র বা রীতিনীতি (Character or Custom)।
-
প্রতিটি মানুষের জীবনেই নৈতিকতার গুরুত্ব রয়েছে।
-
নৈতিকতা হলো মানুষের আচরণগত মান এবং নৈতিক বিচার যা ভাল ও মন্দ, সঠিক ও ভুলের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করে।
-
Webster’s Dictionary অনুযায়ী, নৈতিকতা হলো এমন একটি শৃঙ্খলা, যা নৈতিক কর্তব্য ও দায়বোধের মাধ্যমে ঠিক করে কী ভালো ও কী মন্দ।
-
Godiwalla & Faramarz মতে, নৈতিকতা হলো ভুল ও খারাপ থেকে সঠিক ও ভালো আলাদা করার প্রক্রিয়া, এবং তা বাস্তবে প্রয়োগযোগ্য।
-
Kreitner & Eliason (Foundations of Management) উল্লেখ করেছেন, নৈতিকতা হলো ভুল বনাম সঠিক এবং তার সাথে সম্পর্কিত দায়বদ্ধতার মূল্যায়ন।
নৈতিকতার মূল বৈশিষ্ট্য:
-
ভুল ও সঠিকের তুলনা করা।
-
নৈতিক দায়বদ্ধতা সৃষ্টি করা।
-
প্রতিষ্ঠান ও সমাজের প্রতি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
-
ভালো ও মন্দের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করা।
সংক্ষেপে, নৈতিকতা এমন কিছু মৌলিক নীতি নির্ধারণ করে যা আমাদের কাজকে গ্রহণযোগ্য ও সামাজিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতিতে পরিচালিত হতে সাহায্য করে।
সততা (Honesty)
-
নীতিশাস্ত্রে সততা হলো মানুষের চরিত্রের স্থায়ী সৎ প্রবণতা, যা জন্মগত নয় বরং অর্জিত।
-
সততা মূলত কর্তব্যপরায়ণ অভ্যাসের ফল।
-
এরিস্টটল বলেছেন, সততা হলো মনের স্থায়ী অবস্থা, যা আমাদের ইচ্ছা ও বিচার-বুদ্ধি দ্বারা গঠিত এবং বাস্তব জীবনের আদর্শের উপর ভিত্তি করে।
-
মানুষ তখনই সৎলোক হয় যখন সে সৎ অভ্যাস গড়ে তোলে এবং নৈতিক আদর্শ অনুসারে কাজ করে।
-
নিজের প্রবৃত্তি ও কামনা বিচার-বুদ্ধি দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করলে ব্যক্তি চরিত্রবান হয়ে ওঠে।
-
ম্যাকেনজি অনুযায়ী, সততা হলো চরিত্রের সৎ অভ্যাস, যা কর্তব্যের সাথে সম্পর্কিত কিন্তু তার থেকে পৃথক।
-
কর্তব্য বলতে বোঝায় সেই বিশেষ কাজ যা আমাদের অবশ্যই করা উচিত।
সংক্ষেপে, সততা হলো অভ্যাস ও নৈতিক আদর্শ অনুসরণ করে সৎ কাজ করার ক্ষমতা।
উৎসঃ সিভিক এডুকেশন-১, বিএ/বিএসএস প্রোগ্রাম, এসএসএইচএল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 2 months ago
লর্ড ব্রাইসের মতে, আইন মান্য করার কারণ-
Created: 1 month ago
A
অপরের প্রতি শ্রদ্ধা
B
নির্লিপ্ততা
C
শাস্তির ভয়
D
বর্ণিত সবগুলো
আইনের শাসন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো আইন মান্য করা। প্রতিটি আইনেই কিছু নির্দেশনা থাকে এবং তা অমান্য করলে শাস্তির ব্যবস্থা থাকে। আইন মান্য করার অন্যতম কারণ হলো আইনের উপযোগিতা, যা সমাজে শৃঙ্খলা ও ন্যায়বিচার বজায় রাখতে সহায়ক।
লর্ড ব্রাইস আইন মান্য করার কারণগুলোকে পাঁচ ভাগে ভাগ করেছেন:
-
যৌক্তিকতার উপলব্ধি
-
অপরের প্রতি শ্রদ্ধা
-
নির্লিপ্ততা
-
সহানুভূতি
-
শাস্তির ভয়
0
Updated: 1 month ago
সুশাসনের কোন নীতি সংগঠনের স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করে?
Created: 2 months ago
A
অংশগ্রহণ
B
জবাবদিহিতা
C
স্বচ্ছতা
D
সাম্য ও সমতা
সুশাসনের নীতি
সুশাসনে বেশ কয়েকটি নীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যেমন— অংশগ্রহণ, জবাবদিহিতা, সাম্য ও সমতা, স্বচ্ছতা ইত্যাদি। এর মধ্যে অংশগ্রহণের নীতি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি সংগঠনের স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করে।
অংশগ্রহণের নীতির গুরুত্ব
অংশগ্রহণ মানে হলো— সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় প্রত্যেক স্তরের মানুষকে যুক্ত করা। এর মাধ্যমে:
-
সদস্যদের মতামত ও উদ্বেগকে গুরুত্ব দেওয়া হয়, ফলে তারা স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের সুযোগ পায়।
-
সংস্থার ভেতরের প্রত্যেক সদস্য সক্রিয়ভাবে সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে, যা তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা বাড়ায়।
-
অংশগ্রহণ এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে, যেখানে অভ্যন্তরীণ সমস্যা ও প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের বিষয়গুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যায়। এতে সংগঠন আরও স্বচ্ছ ও স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয়।
যদিও জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা, সাম্য ইত্যাদি অন্য নীতিগুলোও সুশাসনে গুরুত্বপূর্ণ, তবে অংশগ্রহণ সরাসরি স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করতে বেশি কার্যকর।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক
0
Updated: 2 months ago