রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য কিসের চর্চা প্রয়োজন?
A
মূল্যবোধের
B
ক্ষমতার
C
রাজনীতির
D
আমলাতন্ত্রের
উত্তরের বিবরণ
মূল্যবোধ ও সুশাসন
-
যে সমাজ বা রাষ্ট্রে সততা, ন্যায়পরায়ণতা এবং অন্যান্য নৈতিক মূল্যবোধ অনুপস্থিত, সেখানে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা প্রায় অসম্ভব।
-
রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য মূল্যবোধের চর্চা অপরিহার্য।
-
মূল্যবোধ হলো মানুষের আচরণের সামাজিক মাপকাঠি, যা সততা, ন্যায়বিচার, সহমর্মিতা, শৃঙ্খলা ও মানবিকতার ভিত্তি গড়ে তোলে।
-
মূল্যবোধের অভাবে সমাজে দুর্নীতি, অপরাধ ও অবক্ষয় বৃদ্ধি পায় এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা কঠিন হয়ে পড়ে।
-
সুশাসনের মূল ভিত্তি হলো আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা।
-
এগুলো কার্যকর করতে হলে শাসক ও শাসিত উভয়ের মধ্যেই মূল্যবোধ থাকা প্রয়োজন।
-
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পরিবার ও সমাজে মূল্যবোধের শিক্ষা সঠিকভাবে প্রয়োগ করাই প্রকৃত নাগরিক তৈরির মূল চাবিকাঠি।
-
নাগরিকদের সচেতন অংশগ্রহণ এবং সরকারের জবাবদিহিমূলক কার্যক্রম মিলেই সুশাসনকে টেকসই করা সম্ভব।
-
তাই রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বাগ্রে মূল্যবোধের চর্চা অপরিহার্য।

0
Updated: 13 hours ago
প্লেটো “সদণ্ডণ” বলতে বুঝিয়েছেন-
Created: 2 weeks ago
A
প্রজ্ঞা, সাহস, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ন্যায়
B
অপ্রত্যয়, প্রেষণা ও নিয়ন্ত্রণ
C
সুখ, ভালোত্ব ও প্রেম
D
প্রজ্ঞা, আত্মনিয়ন্ত্রণ, সুখ ও ন্যায়
সদ্গুণ বা Virtue হল মানুষের চরিত্রের সেই গুণাবলি যা তার উৎকর্ষতা বা উৎকৃষ্টতা প্রকাশ করে। Virtue শব্দটির আভিধানিক অর্থ Excellence। মানুষের চরিত্রে যে সমস্ত বৈশিষ্ট্য তার উৎকর্ষতা প্রমাণ করে, সেগুলোকেই সদ্গুণ বলা হয়।
-
প্লেটো চারটি প্রধান সদ্গুণ (Cardinal Virtues) উল্লেখ করেছেন: প্রজ্ঞা, সাহস, মিতাচার ও ন্যায়।
-
এই চারটির মধ্যে ন্যায়কে তিনি রাষ্ট্র ও ব্যক্তি উভয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ সদ্গুণ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
-
ব্যক্তি বা রাষ্ট্রে যখন অন্য তিনটি সদ্গুণ উপস্থিত থাকে, তখনই ন্যায়ের উদয় ঘটে।
-
এই নীতি অনুসরণ করলে মানুষের মধ্যে যে সদ্গুণের জন্ম হয় তা শুধু মানুষের মধ্যেই নয়, অন্যান্য সকল কাজকর্ম ও জীবনের ক্ষেত্রেও ভারসাম্যপূর্ণ জীবন যাপনে সহায়ক হয়।
-
এভাবেই নৈতিকতা শুধুমাত্র ব্যক্তি বা সমাজে সীমাবদ্ধ না থেকে, আরও বিস্তৃতভাবে প্রভাব বিস্তার করে।

0
Updated: 2 weeks ago
কোনটির মাধ্যমে মূল্যবোধ সুদৃঢ় হয়?
Created: 1 week ago
A
শিক্ষা
B
অর্থনীতি
C
আইন প্রয়োগ
D
রাজনীতি
শিক্ষা এবং মূল্যবোধ
-
জ্ঞানার্জন বা শিক্ষার মাধ্যমে মূল্যবোধ সুদৃঢ় হয়।
-
শিক্ষার মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন স্তরে মূল্যবোধের প্রসার ঘটে এবং মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করে।
-
শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ নৈতিকতা, ন্যায়নীতি এবং সামাজিক মূল্যবোধ সম্পর্কে জানতে পারে।
মূল্যবোধ
-
মূল্যবোধ হলো মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড।
-
শিক্ষার মাধ্যমে সমাজে প্রচলিত রীতিনীতি, প্রথা, আদর্শ ইত্যাদির বিকাশ ঘটে, যা হলো মূল্যবোধ শিক্ষা।
-
মূল্যবোধ হলো রীতিনীতি ও আদর্শের মাপকাঠি; যা সমাজ ও রাষ্ট্রের ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়।
-
এটি মানুষের আচরণের সামাজিক মাপকাঠি নির্ধারণ করে।
-
একটি দেশের সমাজ, রাষ্ট্র, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উৎকর্ষের অন্যতম মাপকাঠি হিসেবে মূল্যবোধ কাজ করে।

0
Updated: 1 week ago
তথ্য পাওয়া মানুষের কী ধরনের অধিকার?
Created: 3 weeks ago
A
রাজনৈতিক অধিকার
B
অর্থনৈতিক অধিকার
C
মৌলিক অধিকার
D
সামাজিক অধিকার
অধিকার
-
অধিকার সাধারণত বোঝায়—নিজের ইচ্ছানুযায়ী কিছু করা বা পাওয়া।
-
তবে আইনবিরোধী কাজকে অধিকার বলা যায় না, কারণ তা স্বেচ্ছাচার।
-
অধ্যাপক আনেস্ট বার্কার বলেছেন— কোনো বিষয় তখনই প্রকৃত অধিকার হিসেবে গণ্য হবে যখন রাষ্ট্র তা স্বীকার করবে এবং তা রক্ষার ব্যবস্থা নেবে।
-
অর্থাৎ রাষ্ট্র ও সমাজ কর্তৃক অনুমোদিত সুযোগ বা সুবিধাকেই অধিকার বলা হয়।
-
যেমন: পরিবার গঠন, শিক্ষা গ্রহণ, ভোট দেওয়া, নির্বাচিত হওয়া—এসব অধিকার রাষ্ট্র ও সমাজ কর্তৃক স্বীকৃত।
মৌলিক অধিকার
-
মৌলিক অধিকার হলো নাগরিক জীবনের উন্নয়ন ও ব্যক্তিস্বাধীনতার জন্য অপরিহার্য শর্ত, যা রাষ্ট্রের সংবিধান দ্বারা নিশ্চিত ও অলঙ্ঘনীয়।
-
এগুলো সংবিধানে লিখিত থাকায় সাংবিধানিক আইনের মর্যাদা পায়।
-
ফলে সরকার এসব অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
-
নাগরিকরা কোনো সরকারি বাধা ছাড়াই এগুলো ভোগ করতে পারেন।
গুরুত্বপূর্ণ দিক
-
মৌলিক অধিকারের উৎস: রাষ্ট্রের সংবিধান।
-
রক্ষক: রাষ্ট্র ও সংবিধান।
-
বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় ভাগে মৌলিক অধিকার সম্পর্কিত অনুচ্ছেদ রয়েছে।
-
তথ্য পাওয়া মানুষের একটি মৌলিক অধিকার।
উৎসঃ জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 3 weeks ago