"শাসক যদি ন্যায়বান হন, তাহলে আইন নিষ্প্রয়োজন আর শাসক যদি দুর্নীতিপরায়ণ হন, তাহলে আইন নিরর্থক"—উক্তিটি কার?
A
সক্রেটিস
B
অ্যারিস্টটল
C
কনফুসিয়াস
D
প্লেটো
উত্তরের বিবরণ
বিখ্যাত দার্শনিক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের নৈতিক ও শাসন সম্পর্কিত উক্তি সমাজ ও ব্যক্তি আচরণের মূলনীতি বোঝাতে সাহায্য করে।
-
প্লেটো (গ্রিক দার্শনিক): ‘‘শাসক যদি ন্যায়বান হয় তাহলে আইন অনাবশ্যক, আর শাসক যদি দুর্নীতিপরায়ণ হয় তাহলে আইন নিরর্থক।’’
-
লর্ড ব্রাইস (রাষ্ট্রবিজ্ঞানী): যে নাগরিকের মধ্যে বুদ্ধি, বিবেক এবং আত্মসংযম থাকবে এবং এসবের যথাযথ প্রয়োগ হবে, তাকে সুনাগরিক বলা যায়।
-
এরিস্টটল: সততা হলো মধ্যপন্থা নির্বাচন করার অভ্যাস, যা নিয়ন্ত্রিত বিচারবুদ্ধি ও ব্যবহারিক জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি দ্বারা নির্ধারিত।
-
সক্রেটিস: কোনো ব্যক্তি জ্ঞানসম্পন্ন না হলে জ্ঞাতসারে অন্যায় করতে পারে না, অর্থাৎ জ্ঞানই সততার মূল।
0
Updated: 1 month ago
সুশাসনের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয় কোনটিকে?
Created: 1 month ago
A
স্বচ্ছতা
B
আইনের শাসন
C
মানবাধিকার রক্ষা
D
জনকল্যাণ
আইনের শাসন এবং সুশাসন
-
সুশাসনের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয় আইনের শাসন।
-
এটি একটি রাষ্ট্র বা সমাজে সুবিচার, ন্যায়বিচার ও সুশৃঙ্খল প্রশাসন নিশ্চিত করে।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ:
-
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত থাকলে সবাই সমানভাবে আইনের আওতায় থাকবে; কেউ আইনের ঊর্ধ্বে থাকবে না।
-
এর ফলে দুর্নীতি হ্রাস পায় এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়।
-
আইনের শাসন ব্যতীত জনগণের মতপ্রকাশ, ভোটাধিকার ও মৌলিক অধিকার সংরক্ষিত থাকতে পারে না।
দ্রষ্টব্য:
-
জনকল্যাণ সুশাসনের একটি লক্ষ্য হতে পারে, তবে এটি একমাত্র ভিত্তি নয়।
0
Updated: 1 month ago
জাতিসংঘের অভিমত অনুসারে সুশাসনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কোনটি?
Created: 1 month ago
A
মৌলিক স্বাধীনতার উন্নয়ন
B
মৌলিক অধিকার রক্ষা
C
দারিদ্র্য বিমোচন
D
জীবনমানের উন্নয়ন ও সুরক্ষা
জাতিসংঘ ও সুশাসন
জাতিসংঘ ১৯৯৭ সালে ‘শাসন ও ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে প্রথমবার সুশাসন সম্পর্কে সংজ্ঞা ও দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করা হয়। জাতিসংঘের মতে, সুশাসনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো মৌলিক স্বাধীনতার উন্নয়ন, যা দেশের সার্বিক উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
মৌলিক স্বাধীনতার উন্নয়ন নিশ্চিত করলে একদিকে মৌলিক অধিকার রক্ষিত হয়, অন্যদিকে নারীর উন্নয়ন ও সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।
-
এর ফলে দেশের সার্বিক উন্নয়ন সাধিত হয় এবং দারিদ্র্য হ্রাস পায়।
-
জাতিসংঘ সুশাসনের ৮টি মূল উপাদান:
১. অংশগ্রহণ (Participation)
২. মতামতের উপর নির্ভরশীলতা (Responsiveness)
৩. জবাবদিহিতা (Accountability)
৪. স্বচ্ছতা (Transparency)
৫. দায়বদ্ধতা (Responsibility)
৬. কার্যকরী ও দক্ষ প্রশাসন ব্যবস্থা (Effective & Efficient Administration)
৭. ন্যাযতা (Equity & Fairness)
৮. আইনের শাসন (Rule of Law)
0
Updated: 1 month ago
মানুষের কোন ক্রিয়া নীতিবিদ্যার আলোচ্য বিষয়?
Created: 3 weeks ago
A
ঐচ্ছিক ক্রিয়া
B
অনৈচ্ছিক ক্রিয়া
C
ইচ্ছা নিরপেক্ষ ক্রিয়া
D
ক ও গ নামক ক্রিয়া
নীতিবিদ্যা (Ethics)
নীতিবিদ্যা বা Ethics শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ Ethos থেকে, যার অর্থ “আচরণের ধরন” বা “ঐচ্ছিক আচরণ”। নীতিবিদ্যার মূল কাজ হলো মানুষের আচরণের নৈতিক মূল্যায়ন করা এবং তার আদর্শ নির্ধারণ করা। এটি মানুষের আচরণের নিয়ম-কানুন বা রীতিনীতি সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞান।
নীতিবিদ্যা মানুষের ঐচ্ছিক আচরণ নিয়ে আলোচনা করে। ঐচ্ছিক আচরণ বলতে সেই আচরণকে বোঝায়, যা মানুষ নিজের ইচ্ছায়, সচেতনভাবে করে থাকে।
উদাহরণস্বরূপ, উইলিয়াম লিলি তাঁর বই An Introduction to Ethics-এ নীতিবিদ্যার সংজ্ঞা দিয়েছেন:
“নীতিবিদ্যা হলো সমাজে বসবাসকারী মানুষের আচরণ সম্পর্কিত বিজ্ঞান, যেখানে আচরণের সঠিকতা বা অসঠিকতা, ভালো বা মন্দ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।”
সংক্ষেপে বলা যায়,
নীতিবিদ্যা হলো এমন একটি জ্ঞানশাখা যা মানুষের ঐচ্ছিক আচরণের ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, উচিত-অনুচিত, যথার্থতা-অযথার্থতা নির্ধারণ করে, আচরণের মানদণ্ড ও নিয়মাবলী নির্ধারণ করে এবং এগুলোর প্রয়োগ বিশ্লেষণ করে।
উৎস: নীতিবিদ্যা, এসএসএইচএল, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, Britannica.
0
Updated: 3 weeks ago