কোন প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক সুশাসনের সংজ্ঞা দেয়?
A
Governance and Politics
B
Governance and Development
C
Development Report
D
World Governance Index
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন
-
বর্তমান বিশ্বে একটি জনপ্রিয় ধারণা হলো সুশাসন, যা সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত।
-
১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদন সর্বপ্রথম সুশাসন (Good Governance) ধারণা ব্যবহার করা হয়।
-
বিশ্বব্যাংক Governance and Development রিপোর্টে সুশাসনের সংজ্ঞা প্রদান করেছে, যেখানে শাসন প্রক্রিয়া এবং উন্নয়নের মধ্যে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
-
২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক সুশাসনের চারটি প্রধান স্তম্ভ ঘোষণা করে।
-
এই চারটি স্তম্ভ হলো:
১. দায়িত্বশীলতা
২. স্বচ্ছতা
৩. আইনী কাঠামো
৪. অংশগ্রহণ

0
Updated: 13 hours ago
৭ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশের সংখ্যা-
Created: 3 days ago
A
১৯২টি
B
১০৯টি
C
১৯০টি
D
১৯১টি
United Nations Convention Against Corruption (UNCAC), popularly known as Merida Convention, ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী চুক্তি। এটি বিশ্বব্যাপী দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং সহযোগিতা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে জাতিসংঘের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ৭ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত UNCAC-এর স্বাক্ষরকারী দেশ সংখ্যা ১৯১টি।
• জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্র সংখ্যা ১৯৩, যার মধ্যে প্রায় সব দেশ UNCAC-এ অংশ নিয়েছে, মাত্র ২টি দেশ যুক্ত হয়নি।
• ১৯২টি: এটি জাতিসংঘের মোট সদস্যরাষ্ট্রের সংখ্যা, কিন্তু UNCAC-এর স্বাক্ষরকারী দেশ নয়।
• ১০৯টি: কোনো প্রাসঙ্গিক UNCAC পরিসংখ্যান নয়, সম্ভবত অন্য কোনো কনভেনশনের সঙ্গে মিশ্রণ।
• ১৯০টি: ২০২৪-এর পূর্বের আনুমানিক সংখ্যা; ৭ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত সঠিক সংখ্যা ১৯১।
মেরিডা কনভেনশন সম্পর্কিত তথ্য:
• আনুষ্ঠানিক নাম: United Nations Convention Against Corruption (UNCAC)
• জাতিসংঘের একমাত্র binding আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী চুক্তি
• UNCAC-এর মূল লক্ষ্য: দুর্নীতি প্রতিরোধ (prevention), অপরাধীকরণ (criminalization), আন্তর্জাতিক সহযোগিতা (international cooperation), সম্পদ পুনরুদ্ধার (asset recovery) এবং কারিগরি সহায়তা (technical assistance) প্রদান
• জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে অনুমোদন: ৩১ অক্টোবর, ২০০৩
• স্বাক্ষরকাল: ৯-১১ ডিসেম্বর, ২০০৩
• স্বাক্ষর স্থান: মেরিডা, ইউকাতান, মেক্সিকো
• কার্যকর হওয়ার তারিখ: ১৪ ডিসেম্বর, ২০০৫
• বর্তমান স্বাক্ষরকারী দেশ: ১৯১টি
• বাংলাদেশের স্বাক্ষর: ২০০৭, পরবর্তীতে অনুমোদনও প্রদান করেছে

0
Updated: 3 days ago
বিশ্বব্যাংকের প্রেসক্রিপশন নামে পরিচিত কোনটি?
Created: 1 week ago
A
নৈতিকতা
B
মূল্যবোধ
C
সুশাসন
D
কোনটিই নয়
সুশাসন হলো একটি কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার প্রতিফলন, যা ন্যায়নীতি অনুসারে উত্তম, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে রাষ্ট্র শাসন বোঝায়। অন্যভাবে, সুশাসন বলতে রাষ্ট্র ও সুশীল সমাজের, সরকার ও শাসিত জনগণের, শাসক ও শাসিতের সম্পর্ক বোঝায়। এটি একটি অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ, দায়িত্বশীল ও ন্যায়সংগত ব্যবস্থা, যা আইনের শাসন নিশ্চিত করে এবং সরকারের উচ্চতর দক্ষতা হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
সুশাসনের উদ্ভব ও ইতিহাস:
-
ল্যাটিন আমেরিকা ও আফ্রিকা মহাদেশে বিশ্বব্যাংকের ব্যর্থতার ফলে ১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংক সুশাসনের ধারণা উদ্ভব করে।
-
এটি পরিচিত হয় বিশ্বব্যাংকের প্রেসক্রিপশন নামে।
-
১৯৮০-এর দশকের দ্বিতীয়ার্ধে বিশ্বব্যাংক সুশাসনকে উন্নয়নের এজেন্ডা হিসেবে গ্রহণ করে।
-
সুশাসন সরকার ও জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে, যা উভয়ের জন্য লাভজনক হওয়ায় এটিকে ‘Win Win Game’ বলা হয়।
-

0
Updated: 1 week ago
'Power: A New Social Analysis' গ্রন্থটি কার লেখা?
Created: 1 month ago
A
ম্যাকিয়াভেলি
B
হবস
C
লক
D
রাসেল
'Power: A New Social Analysis' গ্রন্থটি বার্ট্রান্ড রাসেল-এর লেখা।
বার্ট্রান্ড রাসেল
- রাসেল ছিলেন একজন ব্রিটিশ দার্শনিক, যুক্তিবিদ, গণিতবিদ, ইতিহাসবেত্তা, সমাজকর্মী, অহিংসাবাদী, এবং সমাজ সমালোচক।
- তিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত যুদ্ধবিরোধী ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ব্যক্তিত্ব।
- ১৯৫০ সালে রাসেল সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন, যা ছিল তার 'মানবতার আদর্শ ও চিন্তার মুক্তি'কে ওপরে তুলে ধরা তার বহুবিধ গুরুত্বপূর্ণ রচনার স্বীকৃতিস্বরূপ।
উল্লেখ্য,
- বিখ্যাত দার্শনিক বাট্রান্ড রাসেলের মতে সচেতনভাবে বা অচেতনভাবেই হোক মানুষের মনে এমন কিছু প্রশ্ন জাগে যাদের কোন যুক্তি সঙ্গত উত্তর ধর্মতত্ত্বে যেমন পাওয়া যায় না, তেমনি আবার বিজ্ঞান এদের নিয়ে আদৌ মাথা ঘামায় না।
- ধর্মতত্ত্ব ও বিজ্ঞানের মধ্যবর্তী এই যে অনধিকৃত একটি রাজ্য তাতেই দর্শন বিচরণ করে চলেছে।
- আর এ কারণেই রাসেল দর্শনকে বিজ্ঞান ও ধর্মতত্ত্বের মধ্যবর্তী অনধিকৃত রাজ্য (No Man's Land) বলে অভিহিত করেছেন।
এছাড়াও,
- Power : A New Social Analysis গ্রন্থটির রচয়িতা ব্রিটিশ দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেল।
- বইটি ১৯৩০ সালে প্রকাশিত হয়।
- এই গ্রন্থের মূল বিষয় হচ্ছে মানুষের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো ক্ষমতা অর্জন করা।
উৎস: শিক্ষার দার্শনিক ও মনোবৈজ্ঞানিক ভিত্তি, এমএড প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago