রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য কিসের চর্চা প্রয়োজন?
A
মূল্যবোধের
B
ক্ষমতার
C
রাজনীতির
D
আমলাতন্ত্রের
উত্তরের বিবরণ
মূল্যবোধ ও সুশাসন
-
যে সমাজ বা রাষ্ট্রে সততা, ন্যায়পরায়ণতা এবং অন্যান্য নৈতিক মূল্যবোধ অনুপস্থিত, সেখানে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা প্রায় অসম্ভব।
-
রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য মূল্যবোধের চর্চা অপরিহার্য।
-
মূল্যবোধ হলো মানুষের আচরণের সামাজিক মাপকাঠি, যা সততা, ন্যায়বিচার, সহমর্মিতা, শৃঙ্খলা ও মানবিকতার ভিত্তি গড়ে তোলে।
-
মূল্যবোধের অভাবে সমাজে দুর্নীতি, অপরাধ ও অবক্ষয় বৃদ্ধি পায় এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা কঠিন হয়ে পড়ে।
-
সুশাসনের মূল ভিত্তি হলো আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা।
-
এগুলো কার্যকর করতে হলে শাসক ও শাসিত উভয়ের মধ্যেই মূল্যবোধ থাকা প্রয়োজন।
-
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পরিবার ও সমাজে মূল্যবোধের শিক্ষা সঠিকভাবে প্রয়োগ করাই প্রকৃত নাগরিক তৈরির মূল চাবিকাঠি।
-
নাগরিকদের সচেতন অংশগ্রহণ এবং সরকারের জবাবদিহিমূলক কার্যক্রম মিলেই সুশাসনকে টেকসই করা সম্ভব।
-
তাই রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বাগ্রে মূল্যবোধের চর্চা অপরিহার্য।

0
Updated: 13 hours ago
‘কর্তব্যের জন্য কর্তব্য’-ধারণাটির প্রবর্তক কে?
Created: 2 weeks ago
A
ইমানুয়েল কান্ট
B
হার্বার্ট স্পেন্সার
C
বার্ট্রান্ড রাসেল
D
অ্যারিস্টটল
ইমানুয়েল কান্টকে আধুনিক নীতিশাস্ত্রে 'কর্তব্যমুখী নৈতিকতার' প্রবর্তক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। তিনি একজন প্রখ্যাত জার্মান নীতিবিজ্ঞানী, যিনি নৈতিকতার মূলনীতিকে কর্মের ফলাফলের চেয়ে কর্মের ধরণ ও উদ্দেশ্যের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তাঁর নীতিবিদ্যার মূল কনসেপ্ট তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশ করে: সৎ ইচ্ছা, কর্তব্যের জন্য কর্তব্য এবং শর্তহীন আদেশ। বিশেষভাবে, কান্টের কর্তব্যের নৈতিকতার দর্শন বলে যে কোনো কর্মের মূল্য তার ফলাফলের উপর নয়, বরং সেই কর্মের নৈতিক উদ্দেশ্য এবং স্বভাবের উপর নির্ভর করে। তিনি সততার জন্য সদিচ্ছা এবং কর্তব্যের জন্য কর্তব্যের ধারণার প্রবর্তক।
-
কর্তব্যমুখী নৈতিকতা বা কর্তব্যের নৈতিকতা যে কোনো কর্মের ফলাফলের বদলে কর্মের প্রকৃতির ওপর গুরুত্ব দেয়।
-
সৎ ইচ্ছা হলো নৈতিক ক্রিয়ার মূল ভিত্তি।
-
কর্তব্যের জন্য কর্তব্য বোঝায়, যে কাজ আমরা করি তা শুধুমাত্র নৈতিক দায়বদ্ধতার কারণে করা উচিত।
-
শর্তহীন আদেশ বা কাতেগরিক্যাল ইম্পেরেটিভ নৈতিকতার একটি মূলনীতি, যা নির্দেশ করে যে নৈতিক আইন সবক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
নিশ্চিতভাবে তাঁর নীতিশাস্ত্রের উপর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো:
-
Groundwork for the Metaphysics of Morals
-
Critique of Pure Reason
-
Critique of Practical Reason
-
Critique of Judgement

0
Updated: 2 weeks ago
রাষ্ট্র ও সমাজে দুর্নীতিপ্রবণতার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী-
Created: 14 hours ago
A
আইনের প্রয়ােগের অভাব
B
নৈতিকতা ও মূল্যবােধের অভাব
C
দুর্বল পরিবীক্ষণ ব্যবস্থা
D
অসৎ নেতৃত্ব
দুর্নীতির সংজ্ঞা নির্ধারণ করা সহজ কাজ নয়, কারণ এটি সমাজভেদে এবং একই সমাজের বিভিন্ন যুগে ভিন্নভাবে দেখা যায়। নীতি, আদর্শ ও মূল্যবোধের পার্থক্য অনুযায়ী কোনো কাজকে দুর্নীতি হিসেবে ধরা বা না ধরা যায়।
-
দুর্নীতি হলো নীতি, আদর্শ ও মূল্যবোধের পরিপন্থী কাজ, তাই কোন কাজকে দুর্নীতিমূলক বলার ক্ষেত্রে স্থান, কাল, পাত্র ও আদর্শ বিবেচনা করা জরুরি।
-
সাধারণভাবে বলতে গেলে, দুর্নীতি হলো আইন ও নীতির বিরুদ্ধে সংঘটিত কার্যকলাপ।
-
দুর্নীতির সঙ্গে পেশা, ক্ষমতা, সুযোগ-সুবিধা, পদবি, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থান ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত থাকে।
সুতরাং, “নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অভাব” রাষ্ট্র ও সমাজে দুর্নীতিপ্রবণতার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী।

0
Updated: 14 hours ago
সুশাসন দ্বারা শাসনের কোন দিকটি বুঝায়?
Created: 1 week ago
A
বিপরীত দিক
B
পরিমানগত দিক
C
গুণগত দিক
D
কোনটি নয়
সুশাসন (Good Governance)
-
সুশাসন দ্বারা শাসনের গুণগত দিক বোঝানো হয়।
-
অর্থ: রাষ্ট্র, সমাজ ও সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা।
-
সুশাসনের ধারণা বহুমাত্রিক ও আপেক্ষিক।
-
অর্থ: নির্ভুল, দক্ষ ও কার্যকরী শাসন।
-
উদ্ভাবক: বিশ্বব্যাংক, যা ১৯৮৯ সালে প্রথম সুশাসন প্রত্যয় ব্যবহার করে।
-
সুশাসন সব সময় সকলের স্বার্থ রক্ষা করার চেষ্টা করে।
-
চিহ্নিতকরণে জোর:
-
সরকারি খাতের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা
-
উন্নয়নের জন্য আইনী কাঠামো
-
জবাবদিহিতা
-
স্বচ্ছতা
-
অবাধ তথ্য প্রবাহ
-

0
Updated: 1 week ago