বিশ্বব্যাংক ২০০০ সালে সুশাসনের কতটি স্তম্ভের কথা বলেছে?
A
৩টি
B
৪টি
C
৫টি
D
৬টি
উত্তরের বিবরণ
বিশ্বব্যাংক ও সুশাসন সংক্রান্ত মূল তথ্য নিম্নরূপ:
-
'সুশাসন' ধারণাটি বিশ্বব্যাংকের উদ্ভাবিত।
-
১৯৮৯ সালে বিশ্ব ব্যাংকের এক সমীক্ষায় প্রথমবার ‘সুশাসন’ (Good Governance) শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
-
সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে যে, উন্নয়নশীল দেশের অনুন্নয়ন সুশাসনের অভাবের কারণে ঘটে।
-
বিশ্বব্যাংক ও UNDP মনে করে, সুশাসনের মাধ্যমে নাগরিকরা তাদের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করতে পারে এবং অধিকার ভোগ করতে পারে।
-
একটি রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব।
-
১৯৯৪ সালে বিশ্ব ব্যাংক সংজ্ঞা দিয়েছে: ‘‘সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশের **সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনার জন্য ক্ষমতা প্রয়োগের পদ্ধতিই গভর্নেন্স।’’
সুশাসনের চারটি প্রধান স্তম্ভ (২০০০, বিশ্বব্যাংক অনুযায়ী)
১. দায়িত্বশীলতা (Accountability)
২. স্বচ্ছতা (Transparency)
৩. আইনি কাঠামো (Rule of Law)
৪. অংশগ্রহণ (Participation)

0
Updated: 13 hours ago
বিধবা বিবাহ নিষিদ্ধ কোন মূল্যবোধের উদাহরণ?
Created: 23 hours ago
A
সামাজিক মূল্যবোধ
B
নৈতিক মূল্যবোধ
C
আত্মিক মূল্যবোধ
D
আধুনিক মূল্যবোধ
আধুনিক মূল্যবোধ (Modern Values)
সমাজ ক্রমাগত পরিবর্তনশীল এবং এই পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মূল্যবোধও পরিবর্তিত হয়। অতীতের অনেক মূল্যবোধ আজ অর্থহীন বা অপ্রচলিত হয়ে গেছে। সমাজের নৈতিকতা, রীতিনীতি ও সামাজিক আচরণের সাথে মানিয়ে নতুন মূল্যবোধ গড়ে ওঠে।
-
অতীতে বাল্যবিবাহ প্রচলিত ছিল, কিন্তু বর্তমানে মানুষ এটি অপছন্দ করে এবং রাষ্ট্র আইন প্রয়োগের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছে।
-
হিন্দু সমাজে অতীতে সতীদাহ ও সহমরণ প্রথা প্রচলিত ছিল, বিধবা বিবাহ নিষিদ্ধ ছিল; এগুলো আজ আর নেই।
-
মূল্যবোধের পরিবর্তনশীল প্রকৃতির কারণে বর্তমানের অনেক মূল্যবোধও ভবিষ্যতে পরিবর্তিত বা অপ্রচলিত হতে পারে, এবং নতুন মূল্যবোধ সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে।

0
Updated: 23 hours ago
সুশাসনের পথে অন্তরায় -
Created: 1 month ago
A
আইনের শাসন
B
জবাবদিহিতা
C
স্বজনপ্রীতি
D
ন্যায়পরায়ণতা
সুশাসনের পথে স্বজনপ্রীতির প্রভাব
সুশাসন হলো সমাজে শাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। এর অর্থ হলো শাসনযন্ত্রের কার্যক্রম ঠিকভাবে এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে পরিচালনা করা।
সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা। এগুলো ছাড়া দুর্নীতি রোধ করা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
সুশাসন নিশ্চিত করতে জনসাধারণের অংশগ্রহণ এবং ই-গভর্ন্যান্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তবে স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি, অস্বচ্ছতা এবং স্বেচ্ছাচারিতা হলো সুশাসনের প্রধান বাধা। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে, দুর্নীতি সুশাসনের বড় অন্তরায় হিসেবে বিবেচিত।
উৎস: মোঃ মোজাম্মেল হক, পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি সুশাসনের মূলনীতি?
Created: 1 week ago
A
কর্তৃত্ববাদী শাসন
B
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা
C
স্বজন প্রীতি ও পক্ষপাতিত্ব
D
কেন্দ্রীভূত সিদ্ধান্ত গ্রহণ
সুশাসন
-
সু-শাসন হলো এক ধরণের শাসন প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে ক্ষমতা সুষ্ঠুভাবে চর্চা করা হয়।
-
সুশাসন শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Good Governance।
-
সুশাসনের ধারণা সর্বপ্রথম প্রদান করে বিশ্বব্যাংক।
-
বিশ্বব্যাংক ১৯৮৯ সালে সর্বপ্রথম সুশাসনের ধারণা ব্যবহার করে।
-
জাতিসংঘের সংস্থা UNDP সুশাসনের সংজ্ঞা প্রদান করে।
-
২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক সুশাসনের চারটি স্তম্ভ ঘোষণা করে।
-
সুশাসন দুর্নীতি প্রতিরোধে সহায়ক।
-
সুশাসনের জন্য প্রয়োজন আইনের শাসন।
-
সুশাসনের মূলনীতি হলো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা।

0
Updated: 1 week ago