"শাসক যদি ন্যায়বান হন, তাহলে আইন নিষ্প্রয়োজন আর শাসক যদি দুর্নীতিপরায়ণ হন, তাহলে আইন নিরর্থক"—উক্তিটি কার?
A
সক্রেটিস
B
অ্যারিস্টটল
C
কনফুসিয়াস
D
প্লেটো
উত্তরের বিবরণ
বিখ্যাত দার্শনিক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের নৈতিক ও শাসন সম্পর্কিত উক্তি সমাজ ও ব্যক্তি আচরণের মূলনীতি বোঝাতে সাহায্য করে।
-
প্লেটো (গ্রিক দার্শনিক): ‘‘শাসক যদি ন্যায়বান হয় তাহলে আইন অনাবশ্যক, আর শাসক যদি দুর্নীতিপরায়ণ হয় তাহলে আইন নিরর্থক।’’
-
লর্ড ব্রাইস (রাষ্ট্রবিজ্ঞানী): যে নাগরিকের মধ্যে বুদ্ধি, বিবেক এবং আত্মসংযম থাকবে এবং এসবের যথাযথ প্রয়োগ হবে, তাকে সুনাগরিক বলা যায়।
-
এরিস্টটল: সততা হলো মধ্যপন্থা নির্বাচন করার অভ্যাস, যা নিয়ন্ত্রিত বিচারবুদ্ধি ও ব্যবহারিক জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি দ্বারা নির্ধারিত।
-
সক্রেটিস: কোনো ব্যক্তি জ্ঞানসম্পন্ন না হলে জ্ঞাতসারে অন্যায় করতে পারে না, অর্থাৎ জ্ঞানই সততার মূল।

0
Updated: 13 hours ago
একজন যোগ্য প্রশাসক ও ব্যবস্থাপকের অত্যাবশ্যকীয় মৌলিক গুণাবলীর মধ্যে শ্রেষ্ঠ গুণ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
দায়িত্বশীলতা
B
নৈতিকতা
C
দক্ষতা
D
সরলতা
নৈতিকতা: যোগ্য প্রশাসক ও ব্যবস্থাপকের শ্রেষ্ঠ গুণ
একজন দক্ষ প্রশাসক ও ভালো ব্যবস্থাপকের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুণ হলো নৈতিকতা। কারণ নৈতিকতা মানুষের আচরণ, সিদ্ধান্ত ও দায়িত্ব পালনে সঠিক দিকনির্দেশনা দেয়।
নৈতিকতার বৈশিষ্ট্য
-
নৈতিকতা হলো মানুষের ভেতরের ধ্যান-ধারণা ও মূল্যবোধের সমষ্টি।
-
এটি একটি মানসিক বিষয়, যা মানুষের চিন্তা ও আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে।
-
বিবেক ও মানবিক মূল্যবোধ নৈতিকতাকে পরিচালিত করে।
-
নৈতিকতা ব্যক্তিগত জীবন যেমন নিয়ন্ত্রণ করে, তেমনি সমাজজীবনকেও প্রভাবিত করে।
-
তাই নৈতিকতাকে মানবজীবনের অন্যতম নৈতিক আদর্শ বলা হয়।
দার্শনিক ও বিশেষজ্ঞদের মতামত
-
সক্রেটিস বলেছেন: “সৎ গুণই জ্ঞান” (Virtue is knowledge)।
-
জোনাথান হেইট (Jonathan Haidt)-এর মতে, নৈতিকতার উৎস হলো ধর্ম, ঐতিহ্য ও মানবীয় আচরণ।
-
নীতিবিদ ম্যুর বলেছেন: শুভর প্রতি ভালোবাসা এবং অশুভর প্রতি বিরাগই নৈতিকতার মূল ভিত্তি।
-
Collins English Dictionary-এর সংজ্ঞা অনুযায়ী: “Morality is concerned with human behaviour, especially the distinction between good and bad and right and wrong behaviour.”
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক

0
Updated: 1 month ago
"আইনের চোখে সব নাগরিক সমান।"- বাংলাদেশের সংবিধানের কত নম্বর ধারায় এ নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
ধারা ০৭
B
ধারা ২৭
C
ধারা ৩৭
D
ধারা ৪৭
সংবিধান সম্পর্কিত তথ্য
মৌলিক অধিকার ও সমতার নীতি:
বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় অধ্যায়ে মৌলিক অধিকারগুলো বর্ণিত হয়েছে। এর মধ্যে ২৭ নং অনুচ্ছেদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী:
-
সব নাগরিক আইনসম্মতভাবে সমান।
-
আইনের রক্ষাকবচ প্রত্যেক নাগরিকের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য।
অর্থাৎ, কোনও নাগরিককে আইন অনুসারে অন্যের তুলনায় বৈষম্যের শিকার হতে হবে না এবং সবাই সমান অধিকার ভোগ করবে।
(উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান, অনুচ্ছেদ ২৭)
বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদসমূহ
অনুচ্ছেদ | বিষয়বস্তু (সহজ ভাষায়) |
---|---|
১৩ | ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রের মালিকানার নীতি নির্ধারণ |
১৯ | সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা |
২২ | বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করা |
২৮ | ধর্ম বা অন্যান্য কারণে বৈষম্য নিষিদ্ধ |
২৯ | সরকারি নিয়োগ ও সুযোগে সমতার নীতি |
৩১ | আইনের আশ্রয় ও সুরক্ষা লাভের অধিকার |
৩৩ | গ্রেপ্তার ও আটক সংক্রান্ত নাগরিক সুরক্ষা |
উৎস: বাংলাদেশ সংবিধান

0
Updated: 1 month ago
“সুশাসন বলতে রাষ্ট্রের সাথে সুশীল সমাজের, সরকারের সাথে জনগণের এবং শাসকের সাথে শাসিতের সম্পর্ককে বুঝায়” কে উক্তিটি করেছেন?
Created: 13 hours ago
A
ম্যাক্স ওয়েবার
B
ল্যান্ডেল মিল
C
ম্যাক্স মিল
D
ম্যাককরণী
সুশাসন
-
ম্যাককরণী: “সুশাসন বলতে রাষ্ট্রের সাথে সুশীল সমাজের, সরকারের সাথে জনগণের এবং শাসকের সাথে শাসিতের সম্পর্ককে বুঝায়।”
-
মারটিন মিনোগ: “ব্যাপক অর্থে সুশাসন হলো কতগুলো উদ্যোগের সমষ্টি এবং একটি সংস্কার কৌশল, যা সরকারকে অধিকতর গণতান্ত্রিক, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক করতে সুশীল সমাজের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে কার্যকর করে তোলে।”
-
ল্যান্ডেল মিল: “সুশাসন একটি জাতির রাজনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে দিক নির্দেশ করে এবং জন প্রশাসন ও আইনী কাঠামোর মধ্যে এটি কিভাবে কার্যকর হয় তা জানায়।”
উপসংহার: বিভিন্ন গবেষক ও বিশ্লেষকের মতে, সুশাসন হলো রাষ্ট্র, সরকার, জনগণ ও সুশীল সমাজের মধ্যে সম্পর্ক এবং জবাবদিহি, স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার একটি প্রক্রিয়া।

0
Updated: 13 hours ago