'তোমার নাম কী?'-এখানে 'কী' কোন প্রকারের পদ?
A
প্রশ্নবাচক
B
অব্যয়
C
সর্বনাম
D
বিশেষণ
উত্তরের বিবরণ
সর্বনাম পদ হলো সেই পদ যা বাক্যে বিশেষ্য (noun) বা সংজ্ঞাপদের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়। Pronoun বলতে আমরা বুঝাই এমন শব্দকে যা কোনো ব্যক্তি, বস্তু, স্থান বা ধারণাকে পুনঃউল্লেখ বা নির্দেশ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়—সুন্দর ফুল, বাজে কথা—এখানে মূল বিশেষ্য না বলে বস্তু বা বিষয়ের প্রতিস্থাপন হিসেবে সর্বনাম ব্যবহৃত হয়েছে।
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত সর্বনামগুলোকে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করা যায়:
-
ব্যক্তিবাচক বা পুরুষবাচক সর্বনাম: আমি, আমরা, তুমি, তোমরা, সে, তারা, তাহারা, তিনি, তাঁরা, এ, এরা, ও, ওরা—ব্যক্তি বা ব্যক্তির সংখ্যা নির্দেশ করে।
-
আত্মবাচক সর্বনাম: স্বয়ং, নিজে, খোদ, আপনি—নিজের প্রতি নির্দেশ বা নিজের দ্বারা কৃত কাজ বোঝায়।
-
সামীপ্যবাচক সর্বনাম: এ, এই, এরা, ইহারা, ইনি—নিকটবর্তী বা কাছাকাছি বস্তুর প্রতি নির্দেশ করে।
-
দূরত্ববাচক সর্বনাম: ঐ, ঐসব—দূরে থাকা বস্তু বা ব্যক্তির প্রতি নির্দেশ করে।
-
সাকুল্যবাচক সর্বনাম: সব, সকল, সমুদয়, তাবৎ—সম্পূর্ণতা বা সবকিছু বোঝায়।
-
প্রশ্নবাচক সর্বনাম: কে, কি, কী, কোন, কাহার, কার, কিসে—প্রশ্ন তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমন: কী দিয়ে ভাত খায়?
-
অনির্দিষ্টতাজ্ঞাপক সর্বনাম: কোন, কেহ, কেউ, কিছু—নির্দিষ্ট নয় এমন ব্যক্তি বা বস্তুর প্রতি নির্দেশ করে।
-
ব্যতিহারিক সর্বনাম: আপনা আপনি, নিজে নিজে, আপসে, পরস্পর—কোনো কাজের প্রতিফলন বা পারস্পরিক সম্পর্ক বোঝায়।
-
সংযোগজ্ঞাপক সর্বনাম: যে, যিনি, যাঁরা, যারা, যাহারা—বাক্য সংযোগ বা সম্পর্ক নির্দেশ করে।
-
অন্যাদিবাচক সর্বনাম: অন্য, অপর, পর—ভিন্ন বা অবশিষ্ট ব্যক্তি বা বস্তুর প্রতি নির্দেশ করে।
0
Updated: 1 month ago
'যারা-তারা' - কোন ধরনের সর্বনাম?
Created: 1 month ago
A
সাপেক্ষ সর্বনাম
B
আত্মবাচক সর্বনাম
C
অনির্দিষ্ট সর্বনাম
D
নির্দেশক সর্বনাম
বাংলা ব্যাকরণে সর্বনামের বিভিন্ন রূপ রয়েছে, যার মধ্যে সাপেক্ষ সর্বনাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। যখন দুটি সর্বনাম একে অপরের উপর নির্ভরশীল হয়, তখন তাকে সাপেক্ষ সর্বনাম বলা হয়।
-
সাপেক্ষ সর্বনাম:
-
উদাহরণ: যারা–তারা, যে–সে, যেমন–তেমন (যেমন কর্ম তেমন ফল)।
-
-
আত্মবাচক সর্বনাম:
-
উদাহরণ: নিজে (সে নিজে অঙ্কটা করছে), স্বয়ং।
-
-
অনির্দিষ্ট সর্বনাম:
-
উদাহরণ: কেউ, কোথাও, কিছু, একজন (একজন এসে খবরটা দেয়)।
-
-
নির্দেশক সর্বনাম:
-
নিকট নির্দেশক: এ, এই, এরা, ইনি
-
দূর নির্দেশক: ও, ওই, ওরা, উনি
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'যাহারা সত্য বলে, তাহারা সম্মানিত হয়।' – এখানে 'যাহারা, তাহারা' কী?
Created: 1 month ago
A
বিশেষণ
B
অব্যয়
C
যোজক অব্যয়
D
সর্বনাম
বাক্য “যাহারা সত্য বলে, তাহারা সম্মানিত হয়।”– এখানে ‘যাহারা’ ও ‘তাহারা’ একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত; অর্থাৎ একটির উপস্থিতি অন্যটির উপর নির্ভরশীল। তাই এগুলোকে বলা হয় সাপেক্ষ সর্বনাম। সাপেক্ষ সর্বনাম ব্যবহারে বাক্যের দুটি অংশ পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে একটি সম্পূর্ণ ভাব প্রকাশ করে।
তথ্যসমূহ:
-
সর্বনাম পদ হলো সেই পদ যা বিশেষ্য পদের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়।
-
বাংলা ভাষার সর্বনাম পদগুলোকে ব্যবহারিক অর্থ ও প্রয়োগ অনুযায়ী কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়।
সর্বনামের শ্রেণিবিন্যাস:
১. ব্যক্তিবাচক বা পুরুষবাচক সর্বনাম: আমি, আমরা, তুমি, তোমরা, সে, তারা, তাহারা, তিনি, তাঁরা, এ, এরা, ও, ওরা ইত্যাদি।
২. আত্মবাচক সর্বনাম: স্বয়ং, নিজে, খোদ, আপনি।
৩. সামীপ্যবাচক সর্বনাম: এ, এই, এরা, ইহারা, ইনি ইত্যাদি।
৪. দূরত্ববাচক সর্বনাম: ঐ, ঐসব।
৫. সাকুল্যবাচক সর্বনাম: সব, সকল, সমুদয়, তাবৎ।
৬. প্রশ্নবাচক সর্বনাম: কে, কি, কী, কোন, কাহার, কার, কিসে।
-
উদাহরণ: “কী দিয়ে ভাত খায়?”
৭. অনির্দিষ্টতাজ্ঞাপক সর্বনাম: কোন, কেহ, কেউ, কিছু।
৮. ব্যতিহারিক সর্বনাম: আপনা আপনি, নিজে নিজে, আপসে, পরস্পর ইত্যাদি।
৯. সংযোগজ্ঞাপক সর্বনাম: যে, যিনি, যাঁরা, যারা, যাহারা ইত্যাদি।
১০. অন্যাদিবাচক সর্বনাম: অন্য, অপর, পর ইত্যাদি।
১১. সাপেক্ষ সর্বনাম: দুটি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত অংশে ব্যবহৃত সর্বনাম। যেমন— যারা–তারা, যে–সে, যেমন–তেমন, যেমন কর্ম তেমন ফল ইত্যাদি।
অতিরিক্ত তথ্য:
সাপেক্ষ সর্বনাম বাক্যের দুই অংশকে নির্ভরতা বা শর্তের সম্পর্কে যুক্ত করে। উদাহরণ— “যে পরিশ্রম করে, সে সফল হয়।” এখানে ‘যে’ ও ‘সে’ একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত হয়ে শর্ত ও ফলাফলের ধারণা প্রকাশ করছে।
0
Updated: 1 month ago
সাধুরীতি ও চলিতরীতির পার্থক্য কোন পদে বেশি?
Created: 1 week ago
A
ক্রিয়া ও অব্যয়
B
অব্যয় ও ক্রিয়া
C
সর্বনাম ও বিশেষ্য
D
ক্রিয়া ও সর্বনাম
সাধুরীতি ও চলিতরীতি উভয়ই বাংলা ভাষার দুটি ভিন্ন রূপ, যাদের ব্যবহারে শব্দরূপ ও গঠনে পার্থক্য দেখা যায়। এদের মধ্যে বিশেষভাবে ক্রিয়া ও সর্বনাম পদে এই পার্থক্য সবচেয়ে স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায়।
ক্রিয়া পদে সাধুরীতিতে সাধারণত দীর্ঘ ও সংস্কৃতঘেঁষা রূপ ব্যবহৃত হয় যেমন—“করিয়াছি”, “যাইতেছি”, যেখানে চলিতরীতিতে ব্যবহৃত হয় সংক্ষিপ্ত রূপ “করেছি”, “যাচ্ছি”।
সর্বনাম পদে পরিবর্তন দেখা যায় যেমন সাধুরীতিতে “তুমি”, “তিনি”, “আমার” এর পরিবর্তে চলিতরীতিতে “তুই”, “ও”, “আমারে” ইত্যাদি ব্যবহার হয়।
এভাবে ভাষার গঠন, উচ্চারণ ও প্রয়োগের সহজীকরণের জন্য চলিতরীতি জনপ্রিয় হয়েছে।
0
Updated: 1 week ago