নিচের কোনটি যৌগিক শব্দ?
A
প্রবীণ
B
জেঠামি
C
সরোজ
D
মিতালি
উত্তরের বিবরণ
যৌগিক শব্দ হলো সেই সব শব্দ যেগুলোর ব্যুৎপত্তিগত অর্থ এবং ব্যবহারিক অর্থ একই থাকে। অর্থাৎ, শব্দগঠনের প্রক্রিয়ায় যখন মূল শব্দের অর্থ পরিবর্তিত হয় না, তখন সেই শব্দকে যৌগিক শব্দ বলা হয়।
-
মিতা + আলি = মিতালি; অর্থ হলো সখ্য, বন্ধুত্ব, বন্ধুতা।
-
গায়ক (মূল শব্দ গৈ + অক) ; অর্থ হলো যে গান করে।
-
মধুর = মধু + র; অর্থ হলো মধুর মতো মিষ্টি গুণযুক্ত।
অন্যদিকে, কিছু শব্দ যৌগিক হলেও তাদের অর্থ প্রাথমিক ব্যুৎপত্তিগত অর্থ থেকে ভিন্ন হয়ে গেছে:
-
প্রবীণ - এটি একটি রূঢ়ি শব্দ। শাব্দিকভাবে অর্থ হলো প্রকৃষ্টভাবে বীণা বাজাতে সক্ষম ব্যক্তি, কিন্তু ব্যবহারিক অর্থ হলো অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বয়স্ক ব্যক্তি।
-
জেঠামি = জেঠা + আমি; এটি একটি রূঢ়ি শব্দ। জেঠা মানে বয়স্ক ব্যক্তি, কিন্তু জেঠামি অর্থ হলো বৃদ্ধ না হয়ে তদ্রূপ আচরণ বা পাকামি ব্যক্তি।
-
সরোজ একটি যোগরূঢ় শব্দ।

0
Updated: 13 hours ago
অর্থের বিবেচনায় 'দয়ালু' কোন ধরনের শব্দ?
Created: 4 days ago
A
রূঢ় শব্দ
B
মিশ্র শব্দ
C
যোগরূঢ় শব্দ
D
যৌগিক শব্দ
দয়ালু শব্দটি অর্থের দিক থেকে একটি যৌগিক শব্দ হিসেবে বিবেচিত হয়।
যৌগিক শব্দের সংজ্ঞা: যে সমস্ত শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ এবং ব্যবহারিক অর্থ একই রকম হয়, সেগুলোকে যৌগিক শব্দ বলা হয়।
-
উদাহরণস্বরূপ:
-
গায়ক = গৈ + ণক (অক) → অর্থ: গান করে যে
-
কর্তব্য = কৃ + তব্য → অর্থ: যা করা উচিত
-
বাবুয়ানা = বাবু + আনা → অর্থ: বাবুর ভাব
-
মধুর = মধু + র → অর্থ: মধুর মতো মিষ্টি গুণযুক্ত
-
দৌহিত্র = দুহিতা + ষ্ণ্য → অর্থ: কন্যার পুত্র, নাতি
-
চিকামারা = চিকা + মারা → অর্থ: দেওয়ালের লিখন
-
‘দয়ালু’ শব্দের গঠন ও বিশ্লেষণ:
-
গঠিত: দয়া (বিশেষ্য পদ) + আলু (প্রত্যয়) = দয়ালু
-
ব্যুৎপত্তিগত অর্থ: "যে দয়া রাখে"
-
ব্যবহারিক অর্থ: "দয়াশীল বা করুণাময় ব্যক্তি"
বৈশিষ্ট্য: শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ও ব্যবহারিক অর্থ একই, যা যৌগিক শব্দের মূল বৈশিষ্ট্য।

0
Updated: 4 days ago
যৌগিক শব্দ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
হস্তী
B
বাঁশি
C
বাবুয়ানা
D
মহাযাত্রা
যৌগিক শব্দ
-
সংজ্ঞা: যেসব শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ (মূল অর্থ) ও ব্যবহারিক অর্থ একই থাকে, তাদের যৌগিক শব্দ বলে।
-
উদাহরণ: গায়ক, দৌহিত্র, কর্তব্য, বাবুয়ানা, চিকামারা, মধুর, শয়ন, গুণবান।
রূঢ়ি শব্দ
-
যেসব শব্দের অর্থ ব্যুৎপত্তিগত অর্থ থেকে ভিন্ন হয়ে একটি নির্দিষ্ট অর্থে ব্যবহৃত হয়, তাদের রূঢ়ি শব্দ বলে।
-
উদাহরণ: হস্তী, বাঁশি।
যোগরূঢ় শব্দ
-
দুটি বা ততোধিক শব্দ মিলে এমন একটি নতুন অর্থ প্রকাশ করে, যা মূল শব্দগুলোর আক্ষরিক অর্থের সঙ্গে মেলে না, তাকে যোগরূঢ় শব্দ বলে।
-
উদাহরণ: মহাযাত্রা।
উৎস:
১) বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)
২) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা

0
Updated: 1 month ago
৫) নিচের কোনটি যোগরূঢ় শব্দ?
Created: 1 month ago
A
কলম
B
বাশিঁ
C
শাখামৃগ
D
সন্দেশ
শাখামৃগ
-
সংজ্ঞা:
শাখামৃগ সমাসবদ্ধ শব্দটি মূলত ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় অঞ্চলে বিচরণকারী, লম্বা লেজ ও লোমাবৃত দেহবিশিষ্ট মাঝারি আকৃতির স্তন্যপায়ী বৃক্ষচর প্রাণী বোঝায়। -
ব্যবহারিক অর্থ:
সাধারণভাবে শাখামৃগ শব্দটি বানরকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। -
শ্রেণিবিন্যাস:
এটি একটি যোগরূঢ় শব্দ।
যোগরূঢ় শব্দ
-
সংজ্ঞা:
সমাস নিষ্পন্ন যে সকল শব্দ সম্পূর্ণভাবে সমস্যমান পদসমূহের অনুসারী না হয়ে কোনো স্বতন্ত্র অর্থ গ্রহণ করে, তাদের যোগরূঢ় শব্দ বলে। -
উদাহরণ:
-
মহাযাত্রা: ‘মহাসমারোহে যাত্রা’ অর্থ পরিত্যাগ করে, অর্থ: মৃত্যু।
-
জলধি: ‘জল ধারণ করে এমন’ অর্থ পরিত্যাগ করে, অর্থ: সমুদ্র।
-
রাজপুত: ‘রাজার পুত্র’ অর্থ পরিত্যাগ করে, অর্থ: জাতি বিশেষ।
-
পঙ্কজ: পঙ্কে জন্মানো উদ্ভিদের নাম হতে বিশেষভাবে পদ্মফুল বোঝায়।
-
অন্যান্য শব্দের শ্রেণি
-
যৌগিক শব্দ: কলম
-
রূঢ়ি শব্দ: সন্দেশ, বাশিঁ
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, ৯ম ও ১০ম শ্রেণি (২০১৮ সংস্করণ)

0
Updated: 1 month ago