সর্বপ্রথম বাংলা ভাষার ব্যাকরণ রচনা করেন কে?
A
মানোএল দ্য আস্সুম্পসাঁও
B
রাজা রামমোহন রায়
C
রামেন্দ্র সুন্দর ত্রিবেদী
D
নাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ রচনা ও প্রথম ব্যাকরণগ্রন্থ সম্পর্কিত ইতিহাসটি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক থেকে দেখা যায়। প্রথমে, বাংলা ভাষার ব্যাকরণ বিষয়ে আলোচনা শুরু করেন মানোএল দ্য আস্সুম্পসাঁও।
তিনি ১৭৪৩ সালে পর্তুগালের রাজধানী লিসবন থেকে পোর্তুগীজ ভাষায় তার গ্রন্থ প্রকাশ করেন, যার নাম ছিল Vocabulario em Idioma Bengalla E Portugues। তবে এই গ্রন্থটি বাংলা ভাষার পূর্ণ ব্যাকরণগ্রন্থ ছিল না; শুধুমাত্র একটি অধ্যায়ে বাংলা ভাষা নিয়ে কিছু আলোচনা করা হয়েছিল।
• বাংলা ভাষার প্রথম ব্যাকরণ গ্রন্থ রচনা করেন নাথায়িল ব্রাসি হ্যালহেড।
• তার গ্রন্থের নাম ছিল A Grammar of the Bengal Language।
• এটি ইংরেজি ভাষায় রচিত এবং ১৭৭৮ সালে হুগলী থেকে প্রকাশিত হয়।
• বাংলা ভাষায় প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাংলা ব্যাকরণগ্রন্থ রচনা করেন রাজা রামমোহন রায়।
• তার গ্রন্থের নাম ছিল গোড়ীয় ব্যাকরণ।
• এটি ১৮৩৩ সালে প্রকাশিত হয়।
উল্লেখযোগ্য যে, বাংলা ব্যাকরণ রচনার বিষয় যদি বলা হয়, উত্তর হবে মানোএল দ্য আস্সুম্পসাঁও, কিন্তু প্রথম বাংলা ব্যাকরণগ্রন্থ রচনার ক্ষেত্রে উত্তর হবে নাথায়িল ব্রাসি হ্যালহেড।
0
Updated: 1 month ago
'গোবৈদ্য' এর প্রবাদ বাক্য কোনাটি?
Created: 1 month ago
A
মূর্খ
B
চালাক
C
হাতুড়ে
D
অলস
বাংলা প্রবাদে ‘গোবৈদ্য’ শব্দটি বিশেষভাবে হাতুড়ে বা অদক্ষ ব্যক্তিকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত এমন কাউকে বোঝানো হয় যিনি কোনো বিষয়ে দক্ষ নন, অথচ তবুও সেই কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন। বিশেষ করে একজন অদক্ষ ডাক্তার বা চিকিৎসকের ক্ষেত্রে এই শব্দটি বেশি প্রযোজ্য। শব্দটি এসেছে ‘গো’ (গরু) এবং ‘বৈদ্য’ (চিকিৎসক) থেকে, যার আক্ষরিক অর্থ গরুর ডাক্তার। তবে প্রবাদে এটি অদক্ষতা ও হাতুড়ে মনোভাবের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
সঠিক উত্তর: গ) হাতুড়ে
অন্যান্য অপশন বিশ্লেষণ:
-
(ক) মূর্খ: গোবৈদ্য সরাসরি মূর্খতা বোঝায় না, বরং দক্ষতার অভাবকে প্রকাশ করে।
-
(খ) চালাক: চালাকির সঙ্গে গোবৈদ্যের কোনো সম্পর্ক নেই; বরং উল্টোভাবে অদক্ষতার প্রতি ইঙ্গিত করে।
-
(ঘ) অলস: গোবৈদ্য অলসতাকে নির্দেশ করে না; এটি কাজে অযোগ্যতা বা হাতুড়ে স্বভাবকে বোঝায়।
0
Updated: 1 month ago
“তাজা মাছ” – এখানে “তাজা” কোন প্রকার বিশেষণ?
Created: 1 month ago
A
অবস্থাবাচক
B
গুণবাচক
C
বর্ণবাচক
D
অংশবাচক
অবস্থাবাচক বিশেষণ:
“তাজা মাছ” উদাহরণে, তাজা হলো অবস্থাবাচক বিশেষণ। এটি বিশেষিত পদের অবস্থা প্রকাশ করে।
-
উদাহরণ: তাজা মাছ, রোগা ছেলে, খোঁড়া পা
নাম-বিশেষণ:
নাম-বিশেষণ হলো সেই বিশেষণ যা কোনো বিশেষ্য বা সর্বনাম শব্দকে বিশেষিত করে।
নাম-বিশেষণের প্রকারভেদ:
-
বর্ণবাচক: বিশেষিত পদের রং বা বর্ণ নির্দেশ করে।
-
উদাহরণ: সবুজ মাঠ, নীল আকাশ, কালো মেঘ
-
-
গুণবাচক: বিশেষিত পদের গুণ বা বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে।
-
উদাহরণ: চৌকস লোক, দক্ষ কারিগর, ঠান্ডা হাওয়া
-
-
অংশবাচক: বিশেষিত পদের অংশ প্রকাশ করে।
-
উদাহরণ: অর্ধেক সম্পত্তি, ষোল আনা দখল, সিকি পথ
-
-
সংখ্যাবাচক: বিশেষিত পদের সংখ্যা নির্দেশ করে।
-
উদাহরণ: হাজার
-
0
Updated: 1 month ago
নিম্নে বর্ণিত কোনটি ভাষার গুণ নয়?
Created: 2 months ago
A
আকাঙ্ক্ষা
B
যোগ্যতা
C
আসক্তি
D
আসত্তি
বাক্য
-
যে সুবিন্যস্ত পদসমষ্টি দ্বারা কোনো বিষয়ে বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায়, তাকে বাক্য বলা হয়।
-
কয়েকটি পদ একত্রিত হলেও তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাক্য হয় না।
-
বাক্যের বিভিন্ন পদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বা অন্বয় থাকা আবশ্যক।
-
এছাড়াও বাক্যের অন্তর্গত পদসমূহ মিলিতভাবে একটি অখণ্ড ভাব সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করতে হবে।
ভাষার বিচারে বাক্যের তিনটি গুণ:
১. আকাঙ্ক্ষা:
-
বাক্যের অর্থ স্পষ্টভাবে বোঝার জন্য এক পদের পর অন্য পদ শোনার ইচ্ছা।
২. আসত্তি:
-
মনোভাব প্রকাশের জন্য পদসমূহ এমনভাবে সাজানো যাতে বাক্যের অর্থ ও ভাব প্রকাশ বাধাগ্রস্ত না হয়।
৩. যোগ্যতা:
-
বাক্যের পদসমূহের অর্থগত ও ভাবগত মিলবন্ধন।
-
উদাহরণ: "বর্ষার বৃষ্টিতে প্লাবনের সৃষ্টি হয়।" — এখানে পদসমূহের অর্থ ও ভাব একত্রে সমন্বিত।
0
Updated: 2 months ago